পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অধ্যায় । సె సె হইলে, ঐ দোষী ব্যক্তির ভৰ্ত্ত বা ভাৰ্য্য। তাছাকে পরিভ্যাগ করিতে পরিবেন । ১৯ পূর্বকালে এতদ্দেশে স্থল-বিশেষে স্বামী স্ত্রীকে ও স্ত্রী স্বামীকে পরিত্যাগ করিতে পারিতেন, কিন্তু এক্ষণে এ বিষয়ে এরূপ বিৰুদ্ধ রাভি নীতি প্রচলিত হইয়াছে ষে, যদি কাহারও স্বামী গুৰুতর দণ্ডে দণ্ডিত হইয়া স্বদেশ হইতে রিজীবনের মত নির্বাসিত হন, এবং জীবনাবধি আর র্তাহীর মুখাবলোকনের সম্ভাবন ম' থাকে, তথাপি সে আর পুনৰ্ব্বার বিবাহ করিতে পারে মণ । তাহাকে যাবজ্জীবন অভাগিনী বিধবাদিগের ম্যায় ব্যবহার করিয়া মনোদুঃখে কাল ক্ষেপণ করিতে হয় । ফলতঃ, যে দেশে স্বামীর মৃত্যু হইলেও স্ত্রীর পুনর্বার বিবাহ করিবার রীতি নাই, সে দেশে নির্বাসিত পতির অনাথ পত্নীর পুনঃসংস্কারের নিয়ম থাকিবার সম্ভাবনা কি ? ৮ * ষে দম্পতার মনের ভগব পরস্পর এত বিভিন্ন যে, র্তাহারা অহরহ ; কেবল কলহ কলিয়াই কালক্ষেপ করেন, এবং তাছাদের গৃহে বিবাদ-রূপ অগ্নি-শিখা দিব। মিশি প্রজ্বলিত থাকে, তঁশহণদের পাণিগ্রহণ যথাবিধানে সম্পন্ন হয় নাই । অতএব, র্তাহণদের উদ্বাহ-বন্ধন ছেদন পূর্বক পরস্পর পৃথক হওয়া বিধেয় ব্যতিরেকে কদাপি অবিধেয় মহে । যদি তাহার এরূপ ছুঃসহ ক্লেশ সহ করিতে অসমর্থ হইয়া পরস্পর স্বতন্ত্র হইতে সঙ্কল্প করেন, তা হা হইলে, রাজসিয়ম ও শাস্ত্রীয় শাসন দ্বারা তাহার প্রতিকূলত করা কর্তব্য নছে ।