পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় । সংস্থাপিত হয় । তথায় প্রথমে ৭০ ৷ ৮৪ জন বালক অবস্থিতি করিত । তাহণদের মধ্যে নিয়ত ৪,৫ বা ও জন করিয়া পীড়িত থাকিত, এবং প্রতি মাসে গড়ে এক জন করিয়া মৃত্যু-মুখে পতিত হইত। পরে, যখন তথাকার অধ্যক্ষেরা তাহদের আহারাদির সুনিয়ম সংস্থাপন করিয়া দিলেন, তখন তাহার রোগের হস্ত হইতে মুক্ত হইয়া সুস্থ শরীরে কাল যাপন করিতে লাগিল। " অতএব, শারীরিক নিয়ম লঙঘন যে শিশুদিগের রোগ ও মৃত্যুর একমাত্র কারণ, তাহার আর সন্দেহ নাই । পরিমিত ভোজন, বিশুদ্ধ-বায়ু-সেবন, পরিষ্কৃত পরিশুষ্ক স্থানে বাস, গাত্র-মার্জন, অঙ্গ-সঞ্চালন, অনধিক মানসিক পরিশ্রম, উপযুক্ত পরিচ্ছদ পরিধান, ইত্যাদি শারীরিক নিয়ম সমুদায় প্রতিপালনে সন্তানগণকে নিয়োজিত করা জনক-জননীর অবশ্য-কর্তব্য গুৰুতর কৰ্ম্ম । এই সমস্ত পরম শুভকর শারীরিক বিধান পরিপালনের আবশ্যকতা এতদেশীয় জনসাধারণের হৃদয়ঙ্গম মাই, এ নিমিত্ত র্তাহারা সন্তানের প্রতি এ সকল কর্তব্য কৰ্ম্ম সাধন করিতে সমুচিত ষত্ববান্ত নহেন। পরস্থ উাহদের এ বিষয়ে এক একটি অতি প্রগাঢ় কুসংস্কার থাকাতে, অহরহ অশেষ অনিষ্টের উৎপত্তি হইতেছে । সন্তান যখন জননী-গর্ভে জরায়ুশষ্যণীয় শয়ন থাকে, তৎকালে তাহার সমুদায় বিষয়ই মাতার উপরে নির্ভর করে। তথন মাতার আহারেই সন্তানের আহীর, মাতার পীড়াতেই সন্তানের পীড়া, ও মাতার স্বাস্থ্যতেই সন্তানের স্বাস্থ্যলাভ হয় । তথম তাহার শরীর নিশ্চল, ইক্রিয় নিশ্চেষ্ট,