পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> >交 ধৰ্ম্মনীতি । এবং হৃদয় ও পাকস্থলী প্রভৃতি শারীরিক যন্ত্র সমুদায়ও নিম্পদ থাকে। কিন্তু ভূমিষ্ঠ হইবামাত্র সম্পূর্ণ বৈপরীতা ঘটিয় উঠে। তখন সে অন্ধকারময় কারাগার হইতে একবারে অনালোকময় লোকালয়ে আগমন করে । তথন তাহার নবীন নেত্ৰ নানাপ্রকার অপূর্ব অপূৰ্ব্ব রূপ দর্শন করে, সুকোমল কৰ্ণ অশেষবিধ শব্দাবলী শ্রবণ করিতে আরম্ভ করে, এবং অন্যান্য ইন্দ্রিয় সমুদয় স্ব স্ব বিষয় প্রাপ্ত হইয়া চরিতার্থ হইতে থাকে । তখন বায়ু-প্রবাহ নিশ্বাস সহকারে হৃদয়-মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়। শরীর-যন্ত্র সঞ্চালিত করে, এবং পাকস্থল ভুক্ত অন্ন গ্রহণ করিয়া জীর্ণ করিতে প্রত্নত্ত হয় । এরূপ পরিবর্তনের সময়ে সেই সদ্যঃপ্রসূত শিশুকে স্বাস্থ্য-সাধক উৎক্লন্ট স্থানে স্থাপন করিয়া তাহার সমুদায় শারীরিক নিয়ম পরিপালন-বিযয়ে সাধ্যমত যত্ন করণ কর্তব্য। কিন্তু কি অণক্ষেপের বিষয় ! এতদেশীয় লোকের কেমন কুসংস্কার, বাটীর মধ্যে যে স্থান সৰ্ব্বাপেক্ষা আঞ্জ ও কদর্য, এবং ষে স্থানে বিশুদ্ধ বায়ু সঞ্চার ও পর্যাপ্ত আলোক প্রাপ্তির সম্ভাৰন না থাকে, উপহার। সেই স্থামেই সূতিকাগার প্রস্তুত করেন, এবং সেই স্থানেই মব প্রস্থত কুমার কুমার জন্ম গ্রহণ করিয়া নানা প্রকার নি গ্রহ ভোগ করে । তাহার এক কণরণগার হইতে উত্তীর্ণ হইয় অপর এক কারণগণরে প্রবেশ করে । কৰুণাময় পরমেশ্বর অপমাদের কল্যাণার্থে ষে সমস্ত ব্যবস্থা স্থাপন করিয়াছেন, তাহার অন্যথাচরণ হইলেই অবশ্যই অকল্যাঃ উৎপন্ন হয় তাহার সন্দেহ মাই। স্মৃতিকাগারসংক্রান্ত অত্যাচার সমুদায় এতদেশীয় মনুষ্য