পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> >8 ধৰ্ম্মনীতি । রহিয়াছে, ভ্ৰমেও এক বার অনুধাবন করেন না । যেমন পুৰুষদিগকে স্বীয় ব্যবসায়-সংক্রান্ত সমস্ত কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম সুন্দর রূপে শিক্ষণ করিতে হয়, সেইরূপ, শিশুগণের লালন পালন ঘটিত সমুদায় বিষয়ে সুশিক্ষিত হওয় শ্ৰীগণের পক্ষে অবশ্য-প্রতিপাল্য সনাতন ধৰ্ম্ম । কোন অদৃষ্টপূর্ব সুচাৰু পুষ্প দৃষ্টি করিলে, তাহ কিরূপ রক্ষে উৎপন্ন হয়, কিরূপ স্থানে কি প্রকারে রোপণ করিতে হয়, কোন্থ সময়ে কিরূপে জল সেচন করিলে উত্তমরূপ বৰ্দ্ধিত হয়, শীত গ্রীষ্মাদি ঋতু-বিশেষেই বা তাহ কিরূপে রক্ষা করিতে হয়, তাহার। এই সমস্ত বিষয় সবিশেষ শ্রবণ করিবার নিমিত্ত ব্যগ্র হন, এবং শ্রবণ করিয়৷ তদনুসারে কাৰ্য্য করিতে প্রত্নত্ত হন । কিন্তু কি আক্ষেপের বিষয় ! দেখ, তঁtহারা আপন সন্তানের রক্ষণাবেক্ষণ-সম্বন্ধীয় নিয়মপ্রণালী শিক্ষা করিবার নিমিত্র তদনুরূপ কিছুমান ষত্ব প্রকাশ করেন না, এবং পুৰুষেরাও তাহাদিগকে তদ্বিষয়ে উপদেশ দেওয়া তাদৃশ অবশ্যক বোধ করেন না । ফলতঃ, স্ত্রীগণের রীতিমত বিদ্যা-শিক্ষার প্রথা প্রচলিত না হইলে, কোন রূপেই আর ভদ্রস্থতা নাই । শারীরবিধান বিদ্যা অধ্যয়ন পূর্বক শারীরিক নিয়ম শিক্ষণ করা কি স্ত্রী কি পুরুষ, কি ধনী কি নির্ধন, সকলের পক্ষে অত্যন্ত অবশ্যক । এ বিষয় যে কিরূপ গুরূতর তাহ অতি প্রসিদ্ধ পণ্ডিত ব্যক্তিরণ ও যথোচিত বিৰেচন করেন না । এ বিষয়ের জ্ঞানাভাবে ভূমণ্ডলের সৰ্ব্বস্থানে যে প্রভূত দুঃখ-রণশি উৎপন্ন হুইয়া থাকে, তাছা বর্ণনা করিয়া শেষ করা যায় মা। রোগ ও অকাল