পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>>b" ধৰ্ম্মনীতি । মনোহর মধুক্রম প্রস্তুত করে, মনুষ্যদিগকে সেরূপ নিৰ্ম্মাণ করিতে হইলে, অনেক দর্শন, বিস্তর কৌশলজ্ঞান, ও গণিতবিদ্যায় বিশিষ্টরূপ বুৎপত্তি থাকা আবশ্যক করে। মধুমক্ষিকাগণ গণিতবিদ্যাও শিক্ষণ করে মা, মনুষ্যের ন্যায় প্রগাঢ়-বুদ্ধি-বিশিষ্টও নহে, পরমেশ্বর তাহাদিগকে এ বিষয়ে যে সকল স্বভাব-সিদ্ধ আন্দ্রোন্ত সংস্কার প্রদান করিয়াছেন, তাহারণ তাহীরই অনুবর্তী হইয়া এই দুরূহ ব্যাপার সম্পন্ন করিয়া থাকে । আমদিগকে উক্তরূপ উৎকট গৃহ প্রস্তুত করিতে হইলে, তৎসংক্রান্ত সমুদায় বিষয় অবধারণ করণীর্থ কত শতাব্দ পর্যন্ত অনুশীলন করিতে হইত, তাহ নিশ্চয় করা সুকঠিন । ইতর জন্তুরা পরমেশ্বর-প্রদত্ত স্বভাব-সিদ্ধ সংস্কাল বিশেষের বশবর্তী হইয়। শিশুগণের ষে প্রকার পরিপাটী রূপ রক্ষণাবেক্ষণ করিয়া থাকে, তাহণ সর্বোৎক্লষ্ট । মনুষ অশেষবিধ বুদ্ধি-কৌশল করিয়াও স্বয় সন্তানদিগের ভরণ পোষণাদি বিষয়ে ইতর জন্তুদিগের তুল্যরূপ নৈপুণ্য প্রকাশ করিতে পারেন না । তাহাদিগকে মনুষ্যের ন্যায় বুদ্ধি পরিচালন করিয়া এ সকল বিষয় নিরূপণ করিতে হয় না । পরমেশ্বর তাহাদিগকে যে সমস্ত ভ্রান্তি-শূন্য স্বাভাবিক সংস্কার প্রদান করিয়াছেন, তাছাই তাহাদিগের উপদেশরু, স্বরূপ । কৰুণাময় পরমেশ্বর মনুষ্যগণকেও তদনুরূপ কতকগুলি স্বাভাবিক সংস্কার প্রদান করিয়াছেন, তাহার সন্দেহ নাই। কিন্তু বুদ্ধিৰ্বত্তি ও ধৰ্ম্মপ্ররক্তিই তাহাদিগের পক্ষে সর্ব-প্রধান । অপত্যস্নেহ ও উপচিকীর্ঘারতি