পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S > 2 ধৰ্ম্মনীতি । প্রতি অনুরক্ত হওয়া যায়, তাহাই প্রকতরূপ শিক্ষা বলিয়া উল্লেখ করা কৰ্ত্তব্য । যদি এই সমস্ত কল্যাণলাভ বিদ্যা-শিক্ষার উদ্দেশ্য বসিয়া অবধারিত হইল, তবে বালক বালিকাদিগকে কিরূপে কোন কোন্থ বিষয়ের শিক্ষণ দান করন কৰ্ত্তব্য, তাহ বিবেচনা করা উচিত । অনেকে ভাষা-শিক্ষণকেই প্রক্ষত বিদ্যা-শিক্ষণ বোধ করেন, এবং ষে ব্যক্তি অগপমণকে যত প্রকার ভাষায় বুৎপন্ন বলিয়া পরিচয় দেন, তাছার তত পরিমাণে প্রতিষ্ঠা করিয়া থাকেন। তঁrহারা কহিয়া থাকেন, অমুক ইংরেজী, পারসী, আরবী, বাদণল চারি বিদ্যায় বুৎপন্ন, কিন্তু ভাষা-শিক্ষণ ষে প্রকত বিদ্যা-শিক্ষা লঙ্কে, ইহা তাহারণ বিবেচন। করেন না । লি গধাতার অনিৰ্বচনায় স্বরূপ, অীশচর্য্য কৌশল, এবং শুভকর অভিপ্রায় বিষয়ে যে ভাষায় যাহা কিছু শিক্ষণ করা যায়, তাহাই যথার্থ জ্ঞান-শিক্ষা । বস্থত:, ভাষা-শিক্ষণ প্রকভ জ্ঞান-শিক্ষণ নহে, জ্ঞানশিক্ষার উপায় মা ল । ভাষা. জ্ঞানরূপ ভাণ্ডারের দ্বারস্বরূপ। সেই দ্বার উদঘাটন করিয়া জ্ঞান-ভাণ্ডারে প্রবেশ করিতে হয় । চিরজীবনই কেবল দ্বার-দেশে দণ্ডায়মান থাকিলে. কি রূপে জ্ঞান রূপ মহণরত্ন লাভের সম্ভাবনা থাকে ? জ্ঞান-রত্ন লাভার্থে যত্ন না করিয়া কতকগুলি ভাষাশিক্ষণয় কীলক্ষেপ করিলে, অসিদ্ধকাম ভিক্ষুকের মায় কেবল দ্বারে দ্বারে ভ্রমণ করা হয় । এতদেশীয় পণ্ডিতেরা কথা প্রসঙ্গে ব্যক্তিবিশ্লেষকে ৰৈয়াকরণিক বসিয়া প্রশংসা করিয়া থাকেন, কিন্তু ষে ।