পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় । >\うな যদি নিকট প্রবৃত্তি সকল পুনঃ পুনঃ অতিমাত্র উত্তেজিত হইয়। জ্ঞান ও ধর্মের শাসন অতিক্রম করিতে থাকে তাহা হইলে, তাহার ক্রমশঃ প্রবল হইয় উঠে, এবং তাহাদিগকে চরিতার্থ করা অভ্যাস পাইয়া সতত অসৎ পথেই প্রবৃত্তি জন্মে। অতএব, বাল্যকালাবধিই অবৈধ পরিত্যাগ ও বৈধ-কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান অভ্যাস করা মনুয্যের পক্ষে সৰ্ব্বতোভাবে কৰ্ত্তব্য । অনুষ্ঠান না করিয়া কেবল জ্ঞানানুশীলনে নিযুক্ত থাকিলে, শিক্ষা-কার্যের সম্পূর্ণ ফল প্রাপ্ত হওয়া যায় না। ’ যে প্রণালী অনুসারে শিক্ষিত হইলে, কৰ্ম্মানুষ্ঠান অভ্যাস করিতে হয়, তাহ। আনুষ্ঠিকী প্রণালী বলিয়। উল্লিখিত হইতে পারে। উপদেশ ও অনুষ্ঠান এ উভয়ে অনেক বিশেষ আছে । কোন বিযয় অবগত করাকে উপদেশ কহে, আর সেই উপদেশানুষায়ী কার্য্য করাকে অনুষ্ঠান বলে । শারীরিক ও মানসিক শক্তি পরিচালন পূর্বক বিহিত কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিয়া তাহা অভ্যামগত করা আনুষ্ঠিকা প্রণালীর উদ্দেশ্য । ব্যায়ামবিষয়ক নিয়ম সমুদায় জ্ঞাত করাকে তদ্বিষয়ক উপদেশ বলা যায়, কিন্তু তাহাকে ব্যায়ামের অনুষ্ঠান কহা যায় না । একাদিক্ৰমে শত বৎসর পর্যন্ত এরূপ উপদেশ শ্রবণ করিলেও, ব্যায়াম-শিক্ষার কিছুমাত্র উন্নতি হয় না । তাহ শিক্ষা করিতে হইলে, নির্দিষ্ট নিয়মানুসারে হস্ত-পদাদি সঞ্চালন পূর্বক পুনঃ পুনঃ ব্যায়াম করিতে হয় । তাহ হইলেই, ব্যায়াম-শিক্ষার উন্নতি