পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় । >8> এতাদৃশ মুখাবহ সংসর্গ দুর্লভ সম্পত্তি । এই উভয় লাভার্থে অপরসাধারণ সকলকে সুশিক্ষিত ও সুবিনীত করিবার উপায় করা মনুষ্যের এক প্রধান কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম । কত দিনে আমাদিগের এই গুৰুতর ধৰ্ম্মে দৃঢ়তর প্রতীতি জম্বিাবে তাহ কে বলিতে পারে ? " > শিশুগণ যেরূপ দৃষ্টান্ত দেখে, সেইরূপ শিক্ষণ করে. সেইরূপ কৰ্ম্ম করে, এবং ক্রমে ক্রমে তাহাদিগের চরিত্র সেইরূপ হইয় উঠে । বিশেষতঃ, গুৰুজনদিগের যেরূপ আচরণ দেখিতে পায়, তাহীদের সেইরূপ প্ররত্তি জন্মান সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক সম্ভব । অতএব, বালক বালিকাদিগকে সুশীল সচরিত্র করিতে হইলে, জমক জননী ও শিক্ষণ গুৰুকে ও সেইরূপ হইতে হয় । র্যাহারণ পাপ-পক্ষে পতিত হইয় পরিলষ্ঠিত হইতেছেন, তাহদের কথা কি কহিব ? তাহার স্বীয় সন্তানগণের যত অকল্যাণ উৎপাদন করিতেছেন, বোপ হয়, ভূমণ্ডলে অন্য কাছার ও কর্তৃক এত হইবার সম্ভাবনা নাই । দুৰ্ব্বাক্য কথন, অশিষ্ট্যচরণ, ভূত্যাদিকে প্রহার করণ, শিশুগণকে শারীরিক দণ্ড প্রদান ইত্যাদি কতকগুলি কুরীতি ও অশেষ অনর্থের হেতু । যে সমস্ত শিশু সতত এই সকল কুব্যবহার প্রত্যক্ষ করে, তাহদের কারুণঃর সাভিষিক্ত সুকুমাল ভাবের তিরোভাব হইয়া ক্রমশঃ উ গ্র ভাবেরই আবির্ভাব হয় । শিশুগণকে কটু বাক্য বল, প্রস গুরূপ তাড়ন ও ভংসন করা এবং শারীরিক দণ্ড প্রদান করা অনিষ্টকর ব্যতিরেকে কদাপি ইষ্টকর নহে । তদ্ধারণ তাহণদের কেবল ক্রোধাদি রিপুই