পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/১৬১

ృగ్రీ ఫి ধৰ্ম্মনীতি । পথ ও মনোহর রক্ষ-শ্রেণিতে মুশোভিত করা এবং স্থানে স্থানে রক্ষ লতাদি প্রণালী-বদ্ধ করিয়া উদ্ভিদবিদ্যা শিক্ষার উপযোগী করিয়া রাখা অবশ্যক। যদি উল্লিখিত প্রমোদকর পথের মধ্যে মধ্যে নিবিড় স্থান ও পরিষ্কত আসন প্রস্তুত করিয়া রাখা যায়, তাহা হইলে, বালকেরা সময়ে সময়ে সেই পথে ভ্রমণ ও উপবেশন পুরঃসর অশেষবিধ বোধজনক বিষয়ের প্রসঙ্গ করিয়া পুলকিত হইতে পারে । তাহার। যদি এমন রম্য স্থানে সুনিপুণ শিক্ষক সন্নিধানে সুপ্রণাম ক্রমে শিক্ষণ করিতে পায়, তাহা হইলে, বিদ্যালয়ের প্রতি বিরাগ ও বিদ্বেষ প্রকাশ করা দূরে থাকুক, তাহ পরম সুখকর সুরম্য স্থান জ্ঞান করে, তাহার সন্দেহ নাই । কিন্তু কেবল সুখকর কেন ? উল্লিখিত প্রকষ্ট পদবী সমুদায়কে ছাত্ৰগণের শিক্ষাসাধন ও চরিত্ৰশোধনের বিলক্ষণ উপযোগী করা যাইতে পারে। যদি ঐ পথের মধ্যে সক্রেটস, বেকন, নিউটন, ফ্রাঙ্কলিন, পাস্কেল, ওয়াশিংটন, আর্যভট্ট, ভাস্করাচার্য্য, রামমোহন রায় প্রভৃতি জগদ্বিখ্যাত মহাত্মাদিগের, বিশেষত: যাহারা প্রথম বয়সেই জ্ঞানানুশীলন ও ধৰ্ম্মানুষ্ঠান বিষয়ে বিশেষরূপ যশোভাজন হইয়াছিলেন, তা হাদিগের প্রতিমূর্তি স্থানে স্থানে স্থাপন করা যায়, এবং মধ্যে মধ্যে কাঠফলক রোপণ করিয়া পরমার্থ-ঘটিত ও সুনীতিসূচক নীতিসার ও পদার্থবিদ্যাদি বিজ্ঞানশাস্ত্র সম্বন্ধীয় সিদ্ধান্তিত কথা সকল খোদিত করিয়া রাখা যায়, তাহন হইলে, ঐ সমুদায় বিষয় বালকদিগের নেত্রপথে সতত পতিত হইয়া নিরন্তর স্মরণারূঢ় থাকে, এবং