পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯ ჯy o ধৰ্ম্মনীতি । তাহা পাঠ করিয়া, মনোমধ্যে লোভ, দ্বেষ, যুযুৎসাদি সঞ্চারিত না হয়, বরং সে সকল বিষয়ে অপ্রবৃত্তি ও অশ্রদ্ধা জন্মে, সেইরূপ করাই বিধেয় । 8 –এই সকল পুস্তকে ধৰ্ম্মনীতি সংক্রান্ত ও বিশ্বপতির বিশ্বকার্য সম্বন্ধীয় নানাপ্রকার বাস্তবিক বিষয়ই অধিক নিবেশিত করা উচিত । অকিঞ্চিৎকর অবাস্তবিক আখ্যান একেবারেই পরিত্যাগ করণ কর্তব্য । শিশুগণের শিক্ষেপযোগ পুস্তকে মনুষ্য, পশু, পক্ষ্যাদি ঘটিভ কম্পিত কথা রচনা করিবার রীতি সৰ্ব্ব প্রকারেই দূষণীয় বলিয়া প্রতীয়মান হইতেছে । ঐ সকল অযথার্থ আখ্যান অধ্যয়ন দ্বারা অশেষ প্রকার কুসংস্কার বালকগণের চিত্তভূমিতে বদ্ধমূল হইতে পারে । আর উহাতে যত পরিশ্রম ও সময় ব্যয় হয়, তৎসমুদায় অকাল্পনিক হিতকারী বিষয় সংক্রান্ত সহজ সহজ প্রস্তাব পাঠে নিয়োজিত হইলে, সমধিক উপকার দশে, তাছার সন্দেহ নাই । 2" শিক্ষেণপযোগী পুস্তক রচনা বিষয়ে এই সংক্ষিপ্ত সূত্র চতুষ্টয় মাত্র লিখিত হইল। কোন্ত গ্রন্থ কি রূপে প্রস্তুত করিতে হয়, তাহার সবিশেষ বৃত্তান্ত লিখিতে হইলে, অত্যন্ত বাহুল্য হইয় পড়ে । ধৰ্ম্মনীতি বিষয়ক পুস্তকের মধ্যে এ বিষয়ের এতাদৃশ বাহুল্য করা কোন ক্রমেই সঙ্গত বোধ হয় না । তথাপি বিদ্যা-শিক্ষণ বিষয়ক প্রস্তাব অতিশয় ওকতর প্রস্তাব বলিয়া অনেক স্থলে বাহুল্য করিতে হইতেছে। ইতিপূৰ্ব্বে, বিদ্যালয়ে যে সকল বস্তু সংগৃহীত করিয়া রাখিবার কথা উল্লিখিত হইয়াছে, তাহণ পর্যালোচনা করিয়া দেখিলেও, পূৰ্ব্বোক্ত