পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম অধ্যায় । >b-> \ যদি পিতা মাতা সন্তানগণের শারীরিক ও মানসিক প্রকতি অবগত হইতে পারেন, এবং অবগত হইয়। উচিতরূপ ব্যবস্থা করিয়া দেন, তাহ হইলে বালকেরা এক্ষণকার অপেক্ষায় অনেক বাধ্য হয় তাহার সন্দেহ নাই । কৰুণাময় পরমেশ্বর শিশুগণের শুভাfভপ্রায়ে তাহাদের কোন কোন বৃত্তিকে এতাদৃশ তেজস্বিনী করিয়া দিয়াছেন যে, তাহ চরিতার্থ করিবার নিমিত্ত তাহারা সর্বদা অস্থির থাকে। তৎসমুদায় সঞ্চালন করিতে নিষেধ করিলে তাহার ক্ষুন্ন, বিষণ্ণ ও বিরক্ত হয়, এবং তদ্ধার ক্রমে ক্রমে তাহদের অবাধ্য হইবার স্বত্রপাত হইতে থাকে । তাহার। গমন, ধাবন, কুৰ্দ্দন করিবার নিমিত্ত সতত বাস্ত । শারীরবিধানবেত্তা পণ্ডিতেরা ও বিচার করিয়া দেখিয়াছেন, পুনঃ পুনঃ অঙ্গ পরিচালন করা শিশুগণের পক্ষে বিশেষ আবশ্যক। তাহার শরীর সঞ্চালন করিয়া আছাদিত হইবে এবং আছাদিত হইয়া বল ও স্বাস্থ্য লাভ করিবে এই অভিপ্রায়ে পরম পিতা পরমেশ্বর তা হলদিগকে অঙ্গচালনা বিষয়ে দুৰ্জ্জেয় প্ররত্তি প্রদান করিয়াছেন । " কিন্তু কি আক্ষেপের বিষয় ! অনেকে ঐ কল্যাণময়ী প্ররত্তির প্রকত প্রয়োজন অবগত না থাকাতে, বালকগণকে অঙ্গ চালনা করিতে নিষেধ করেন, এবং তাহারণ চালনা করিলে তিরস্কার ও প্রহার করিয়া থাকেন । ইহাতে তাহদের সুখ ও স্বাস্থ্যের ব্যাঘাত হইয় অসন্তোষ ও বিরক্তির উৎপত্তি হয় । , - * *