পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> >。 ধৰ্ম্মনীতি । সদ্ভাব রাখিয়া চল যে সৰ্ব্বতোভাবে বিধেয় ইহাত সন্দেহ নাই । যে সকল ব্যক্তি প্রথম বয়সে, কি ক্রীড়াভূমিতে, কি পাঠমন্দিরে, কি প্রকারান্তর প্রমোদ স্থলে উৎসাহ সহকারে বহুদিন একত্র ক্ষেপণ করিয়ছে, পরে তাহীদের পরস্পর প্রণয়-বদ্ধ থাকিয়া সহবাস ও সদালাপ জনিত অনিৰ্ব্বচনীয় অনন্দ অনুভব করা যদি অতীব প্রার্থনীয় হয়, তবে যাহার এক জননীর গর্ভে জন্ম গ্রহণ করিয়াছে, এক-স্নেহময়ী জননীর সুকুমার ক্রোড়ে আরোহণ করিয়া সুধা-সম স্তন্য দুগ্ধ পান করিয়াছে, একত্র অাহার, বিহার, শয়ন, উপবেশন ও কথোপকথন করিয়া মনের সুখে কাল হরণ করিয়! আসিয়াছে, একত্র এক উৎসবেই উৎসব প্রকাশ করিয়া স্ব স্ব হৃদয়ানন্দ চতুগুণ বদ্ধন করিয়াছে, এবং এক বিপদে বিপন্ন হইয়। একত্র আৰ্ত্তনাদ প্রকটন ও অ শ্র জল বিসৰ্জ্জন করিয়াছে, তাহদের পর স্পর প্রতিপাশে বদ্ধ থাকিয়া পরমপবিত্র প্রণয়রসসম্বলিত সদ্ব্যবহার করা কত দূর কৰ্ত্তব্য, তাহ বাকে বলিয়। শেষ করা যায় না । তাছাদের পর সম্পর স্নেহবন্ধনে বদ্ধ হওয়া নর জাতির স্বভাব-সিদ্ধ অসাধারণ পৰ্ম্ম । ইহাকে নৈসর্গিক ধৰ্ম্ম কহে। ইহা শিক্ষাসাপেক্ষ নহে। ভ্রাতা ও ভগিনীগণের পরস্পর প্রীতি ও স্নেহ প্রকাশ পূর্বক পরস্পরের হিতানুষ্ঠান করা সৰ্ব্বথ। কর্তব্য ও নিতান্ত আবশ্যক হইলে ও যে প্রায় সকল পরিবণরষ্ট ভ্রাতৃবিরোধ রূপ বিষম বিষে জর্জরীভূত দেখিতে পা ওয়া যায়, ইহা অত্যন্ত আক্ষেপের বিষয় । সাতিশয় স্বর্থপরতা ইহার প্রবল কারণ। নিকট প্রবৃত্তির অতিমাত্র