পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম অধ্যায় । > N○ প্রবলতাই ইহার মূলীভূত । যখন লক্ষ লক্ষ লোক এতাদৃশ বিকদ্ধ-স্বভাব, যে পরপনলোভে লুব্ধ হইয়া চৌধী, প্রতারণা ও দসু্যতারক্তি অবলম্বন করে, তখন দায়াদদিগের না হত তাহীদের বিরোধ উপস্থিত হইবে ইহাতে তাশ্চর্য্য কি ? পরস্পর প্রতিপক্ষীয় উভয় ভ্রাতার স্বভাব এরূপ বিৰুদ্ধ হইলে, তাহারা কতক্ষণ নিৰ্ব্বিরোধ ও কলহশূন্য থাকিতে পারেন ? কিন্তু দুঃশীল লোকে বিবাদ বিসম্বাদে প্রত্নত্ত হয় বলিয়া সরল স্বভাব সুশীল ভ্রাতারাও যে তদনুরূপ অপবিত্র আচরণে অনুরক্ত হইবেন এরূপ বিবেচনা করা উচিত নহে । যে মহাশয় ব্যক্তির উৎকট বুদ্ধির ত্তি ও প্রবল ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তি অধিকার করিয়া ভূমিষ্ঠ হইয়াছেন ও বাল্যাবপি জ্ঞানানুশীলনে ও ধৰ্ম্মানুষ্ঠানে নিয়োজিত হইয়াছেন, তাহারা অবশ্য সুধাময় দোভ্রাত্ররূপ অমূল্য ধন উপাৰ্জ্জন করিয়া মুখে কাল হরণ করিতে পারেন। তাছাদের ব্যবহারভূমি ক্ষমাগুণ প্রদশনের প্রধান স্থল । ঠাহীদের মধ্যে সকলেরই সকলের অপরাধ মার্জন করা বিধেয় । সকলেরই স্বীয় স্বীয় ত্র স্বীকার করণ কর্তব্য । দেশষণকর স্বার্থপরতাকে স্নেহ ৫ বা ইসলা সলিলে বিসর্জন দেওয়া অবশ্যক । পরমপবিত্র ভ্রাতৃ-প্রণয় রূপ পুণ্য-ধামের অধিবাসী হইয়া প্রতারণা ও কপটতাকে একেবারে বিস্মৃত হওয়াই শ্রেয়ঃকম্প । কিন্তু সৰ্ব্বদা একত্র অবস্থিতি করিতে शहेटल, অনেকপ্রকার বিৰাদস্থল উপস্থিত হইতে পারে। অতএব ভ্রাতৃগণের চিরকাল একান্নে থাকিয় একত্র জীবন যাপন করা অবশ্য কৰ্ত্তব্য বলিয়া কোল ক্রমেই নিৰ্দ্ধারণ করা যায়