পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>> ধৰ্ম্মনীতি । অতএব, সকল-প্রকার মনোন্নত্তি পরম্পর মিলিত ও অবিরোধী থাকিয় যেরূপ উপদেশ প্রদান করে, তদনুযায়ী ব্যবহারই বৈধ ব্যবহার, এবং তদ্বিৰুদ্ধ ব্যবহারই অবৈধ । যে স্থলে নিরুষ্ট প্রবৃত্তির সহিত বুদ্ধিরক্তি ও ধৰ্ম্মপ্ররক্তির বিরোধ উপস্থিত স্বয়, সে স্থলে এই শেষোক্ত শ্রেষ্ঠ রক্তি সমুদায়ের অনুমতি প্রতিপালন করাই শ্রেয়ঃ কম্প । এইরূপ ব্যবহারের নামই ধৰ্ম্ম ও পণ্য । ধৰ্ম্ম ও পুণ্য কোন স্বতন্ত্র পদার্থ নহে । যেমন কতকগুলি ভিন্ন ভিন্ন লোমারত চতুষ্পদ প্রাণীর সাধারণ নাম পশু, এবং কতকগুলি ভিন্ন ভিন্ন পক্ষবিশিষ্ট দ্বিপদ প্রাণীর সাধারণ নাম পক্ষী, সেইরূপ, সমুদায় বৈধ কৰ্ম্মের সাধারণ নাম ধৰ্ম্ম ও পুণ্য । বৈধ কৰ্ম্মের সহিত ধৰ্ম্ম ও পূণ্যের কিছুমাত্র বিশেষ নাই । পরস্পর ঐক্য-ভাবাপন্ন সমুদায় মনোরক্তির অভিমত কার্যাকে বৈধ কার্য বলে, তাহাকেই কৰ্ত্তবা কহে, এবং তাছাই ধৰ্ম্ম ও পণ্য বলিয়া উল্লিখিত হয় । সমুদায় কর্তব্য কৰ্ম্ম ভক্তি, উপচিকীর্ষণ, ন্যায়পরত। এই তিন রাত্তিরই অভিমত তাহীর সন্দেহ নাই । কিন্স সকল ধৰ্ম্মপ্ররন্তি সকল স্থলে পরস্পর সহকত হইয় একত্র কার্য্য করে এমত নহে । তাহারণ অনেক স্থলেই স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র কার্য করে । যদি কোন ব্যক্তি সহস। নদীগৰ্বে পতিত হয় অণর অন্য কোন দয়া-শীল ব্যক্তি তৎক্ষণাৎ তাহ দেখিতে পান, এবং তাহার সন্তরণ করিবার সমর্থ্য থাকে, তবে তিনি স্বভাব-সিদ্ধ প্রগাঢ় উচিকীৰ্ষামাত্রের বশীভুত হইয় তাহার উদ্ধারার্থ ধাৰ