পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় । S\o মান হইতে পারেন । ঐ কার্য ন্যায়-সম্মত ও ঈশ্বরাভিপ্রেত কি না, তিনি সে সময়ে তাহ বিবেচনা না করিলেও লা করিতে পারেন । কিন্তু ষখন আমরা স্থির চিত্তে বিচার করিয়া দেখি, তখন প্রতীতি হয়, এ কার্য্য যেমন উপচিককর্ম-বৃত্তির অভিমত, সেইরূপ, নায়ানুগত, বুদ্ধি-সম্মত এবং ঈশ্বরাভিপ্রেতও বটে। অতএব সমুদায় ধৰ্ম্মপ্ররত্তি ও বুদ্ধিরত্তি এ কার্য্যের বৈধতা স্বীকার করিয়া থাকে। এইরূপ, সমুদায় ন্যায়-যুক্ত কাৰ্য্যই লোকের উপকারী এবং পরমেশ্বরের অভিপ্রেত, এবং যে যে কার্য পরম পূজনীয় পরমেশ্বরের যথার্থ অতিপ্রেত, মুতরাং পরমেশ্বর-বিষয়িণী ভক্তির অনুমোদিত, তাহা উপচিকীর্ষণ ও ন্যায়পরতার ও সম্মত, তাহার সন্দেহ নাই । অতএব, এক পৰ্ম্মপ্ররত্তি অন্যান্য ধৰ্ম্মপ্রৱত্তি ও বৃদ্ধিরত্তির বিকদ্ধাচরণ না করিয়া ষে কাৰ্যো প্ররক্তি প্রদান করে, তাহ স্বভাবতই অন্যান্য ধৰ্ম্মপ্ররক্তিরও অভিমত হইয়া থাকে । - বুদ্ধি ও ধৰ্ম্মপ্ররতি সকল স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র কার্য্য করিলে সকল স্থলে দোষ হয় না বটে, কিক্ষ এক রাত্তির উপর নির্ভর কfরয় চলিলে, পদে পদে ভ্রম হইবার সম্ভাবন । পূর্বেই লিখিত হইয়াছে, উপচিকর্ষণ-রীত্তির সহিত বুদ্ধি ও ন্যায়পরতার সহযোগ না থাকিলে, অপাত্রে দণন, অতিব্যয়শীলতা প্রভৃতি নানা দোষ ঘটিতে পারে । বুদ্ধিৰ্ব্বত্তি মার্জিত না হইলে ভক্তি-রত্তি স্বস্ট ও মনঃকম্পিত বস্তুর উপাসনায় প্ররত্ন হয় । • . অতএৰ, কৰ্ত্তবাণকৰ্ত্তব্য নিরূপণ বিষয়ে পূর্বোক্ত