পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/২৪

দ্বিতীয় অধায় । >(" কহে । আত্ম-প্রসাদ অমূল্য ধন । যিনি অসমুচিত চিত্তে কহিতে পারেন, আমি নিরপরাধ ও নিষ্কলঙ্ক থাকিয় পরম পিতা পরমেশ্বরের নিয়া সমুদায় প্রতিপালন করিতেছি—যথাসাধ্য পরোপকার-ব্রত পালন করিতেছি-sসকল লোকের সহিত অন্যায়াচরণ পৰিত্যাগ করিয়া নিরবচ্ছিন্ন ন্যায়যুক্ত ব্যবহারে প্রত্নত্ত রহিয়াfছ—প্রগাঢ় ভক্তি ও সাতিশয় শ্রদ্ধা সহকালে পরমেশ্বরের শরণাপন্ন হইয়। রহিয়াড়ি, তিনি অপ্রাকত মনুষ্য । তাছার প্রশস্ত চিত্ত অত্যাশ্চর্য অনিৰ্ব্বচনায় বিশুদ্ধ মুখের নিকেতন । তিনি আপনার নিৰ্ম্মল-জলতুল্য পবিত্র চরিত্র পুনঃ পুনঃ পর্যালোচনা করিয়া পরম পরিতোষ প্রাপ্ত হন । যদিও ত{হfর সাধু ব্যবহার ষেবতীয় মনুয্যের অগোচর থাকে, সুতরাং একবারত্র ও লোক-মুখে স্বীয় মুখ্যাতি শ্রবণ করিবার সম্ভাবন না থাকে, তথাপি তিনি আপনাকে ধৰ্ম্মরূপ ব্রত পালনে কুত-কাৰ্য্য জানিয়া অনুপম মুখ সম্ভোগ করেন । দুঃখীর দুঃখ-মোচন, বিপন্নের বিপদুদ্ধার, জ্ঞানান্ধকে জ্ঞানোপদেশ প্রদান ইত্যাfদ কোন স্বানুষ্ঠিত সং ক্রিয়। এক বার মাত্ৰ স্মরণ করিলে, যেরূপ পরিশুদ্ধ সানন্দ অনুভূত হয়, অখণ্ড ভূমণ্ডলের আদিপত্যরূপ প্রচুর মূল্য প্রাপ্ত হইলে ও তাহ বিক্রয় করা যায় না । সকলের শুভ সাধন করাই দীন-দয়ালু ধৰ্ম্মশীল ব্যক্তির সঙ্কল্প, অতএব তিনি সকলেরই প্রিয় হইতে পারেন , *আর যদি অজ্ঞানাচ্ছন্ন মূঢ় লোকে তাঙ্গার কৰ্ম্মের মৰ্ম্মবোধে অসমর্থ হইয়া বিদ্বেষ-প্রকাশ ও অলিস্ট-চেষ্ট।