পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२० ধৰ্ম্মনীতি । স্বেরূপ আবশ্যক বোধ হয়, এ সমস্ত বৃত্তি নিস্তেজ হইলে সেরূপ ন হইতে পারে। বোধ হয়, যাহাদের এই সমুদয় রত্তি অত্যন্ত দুৰ্ব্বল, এবং ভক্তি-রত্তি ও কৌতূহল-জনক কোন কোন বুদ্ধি-বৃত্তি অভিশয় প্রবল র্তাহারাই সন্ন্যাসাশ্রম গ্রহণ পূর্বক তীর্থ ভ্রমণ করিতে উপদেশ দিয়া, থাকিবেন । দ্বিতীয়তঃ - বুদ্ধি-দোষেও অনেকানেক অবিধেয় কৰ্ম্ম বিধেয় বোধ হয়, এবং বিধেয় কৰ্ম্মও অবিধেয় ৰোধ হয় । পরম কাৰুণিক পরমেশ্বরের নিয়ম সমুদায় প্রতিপালন করা যে কর্তব্য এবিষয় সৰ্ব্ব-বাদি-সম্মত ; কিন্তু বুদ্ধিরতি পরিচালন করিয়া সেই সমুদায় নিয়ম নিরূপণ না করিলে, তাহ জানিতে পারা ষায় মা । তাতার দেশীয় লোকের বিদেশীয় লোকদিগকে বৈরী বলিয়া হৃদয়ঙ্গম আছে, একারণ তাহারা বিদেশীয়দিগের অর্থাপহরণ ও প্রাণ সংহার করা শ্নাষার বিষয় ৰোধ করিয়া থাকে । এরূপ ব্যবহার অত্যন্ত নির্দয় ও ন্যায়বিৰুদ্ধ বলিয়। এমত বিবেচনা করা উচিত নহে, ষে, তাহদের কিছুমাত্র দয়া ও ন্যায়পরতা নাই । যদি কোন ক্রমে তাহাদিগের এরূপ বিশ্বাস উৎপাদন করিতে পারা যায়, ষে, কোন দেশের লোক তাহাদিগের বৈরী নছে, সকল লোকে তাহাদিগকে মিত্র জ্ঞান করিয়া তাহাদের হিতাকাঙক্ষণ করিয়া থাকে, এবং পরে যদি জিজ্ঞাসা করা যায়, বিদেশীয় লোকমাত্রেরই ধন প্রাণ হরণ করণ কর্তব্য কি না, তবে আর তাহারণ কোম ক্রমে ইহা বিধেয় বলিয়। স্বীকার করিবে না । অতএব,