পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় । * So তাছাদের বুদ্ধিরত্তি মার্জিত না হওয়াতেই, এই বিষম দোষাক্ষর কুসংস্কারের উৎপত্তি হইয়াছে। এতদেশীয় লোকে বিচার-স্থলে সাক্ষ্য দান করা দাৰুণ-দুৰ্গতি-জনক গৰ্হিত কৰ্ম্ম বলিয়া বিশ্বাস করেন । ভারতবর্ষীয় প্রাচীন শাস্ত্রে সাক্ষা-দানের সুস্পষ্ট ব্যবস্থা আছে, কিন্ম ইদানীন্তন লোকের সে বাবস্থ অবলম্বন করিয়া চলে না । চিরণগত কুসংস্কার এই অশেষদোষােকর দেশাচারের মূলীভূত কারণ । কিন্তু যিনি লশন প্রকার প্রাকতিক নিয়ম পর্যালোচনা পূৰ্ব্বক বুদ্ধিরতি মার্জিত করিয়াছেন, তিনি নিশ্চিত জানেন, সাক্ষী হইয়া যথাশ্রত যথাদৃষ্ট যথার্থ কথা কহিতে কিছুমাত্র দোষ নাই, বরং দুষ্ট দমন ও শিষ্ট পালনার্থে সাক্ষ্য প্রদান করা সম্পূর্ণ বিপেয় ও সৰ্ব্বতেভাবে শ্রেয়স্কর । সত্য কথা কহিয়া দোষীর দোষ ও নির্দোষের নির্দোষত সপ্রমাণ করিয়া দেওয়া যে উচিত ইহা অপর-সাধারণ সকলেরই বিদিত তাছে, তাহার সন্দেহ নাই । - - কোন কোন কৰ্ম্মে কিছু কিছু দোষ ও আছে, এবং কতক কতক গুণ ও অাছে । যিনি তাহার দোষ-ভাগ মাত্র দৃষ্টি করেন, তিনি তাহ দূষ্য বোধ করেন, এবং যিনি গুণ-ভাগ' মাত্র দৃষ্টি করেন, তিনি তাহু। বৈধ বলিয়া অঙ্গীকার করেন । অলপ বয়সে পুত্রের বিবাহ দেওয়া উচিত কি ন? এ প্রস্তাব উত্থাপিত হইলে এতদেশীয় লোকে বিশেষতঃ স্ত্রীলোকে এই প্রকার বিবেচনা করিয়া থাকেন, যে যদ্বারা অবিলম্বে স্নেহাস্পদ