পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'S - ধৰ্ম্মনীতি । পুত্রবধূত্র মুখ-চন্দ্র দর্শন করিয়া আহ্লাদ-সাগরে অবগাহন করা যায় এবং তাহণকে গুহ-কার্য্যে নিযুক্ত করিয়া অনেক বিষয়ে সাহাষ্য পাওয়া যায়, তাহ, পরম মুখের বিষয়, অতএব অবশ্যই কর্তব্য । কিন্তু দূর-দশী বিজ্ঞ ব্যক্তির বিবেচনা করেন, পুত্ৰ-বধূর মুখাবলোকন মুখজনক বটে, কিন্তু বালক বালিকা পরস্পর উদ্বাঙ্গ-সূত্রে সংযুক্ত হইলে, পর সম্পরের মর্যাদা জানিতে পারে না, এবং কাহার কিরূপ চরিত্র তfহণও অবগত হইতে সমর্থ হয় না । যদি দুৰ্ভাগ্য-ক্রমে পরম্পর বিৰুদ্ধ-স্বভাবণ ক্রাপ্ত হয়, তাহা হইলে তাহাদিগকে চির জীবন দুঃসহ যন্ত্রণ সহ্য করত বিবাদ কলহ করিয়া কালক্ষেপ করিতে হয় । আর যদি অলপ বয়সে অর্থাৎ শরীরের পূর্ণবস্ত প্রাপ্তি ন হইতে হইতে, সন্তান উৎপন্ন হয়, তবে সে সন্তান দুর্বল, জার্ণ ও রোগার্হ হয়, এবং অল্প বয়সে কালগ্রাসে প্রবিষ্ট হইয়। অত্যাচার পিতা মাতাকে শোককুল করিয়া যায়। তদ্ভিন্ন, যদি বিবাহিত পুত্ৰ অলপ কালে ভার-গ্রস্ত হইয়া রীতিমত বিদ্যা ও বিষয়কৰ্ম্ম শিক্ষার্থে অবসর না পায়, এবং সেই কারণে সংসার-যাত্র। নিৰ্ব্বণহার্থে পর্যাণ গু অর্থ উপার্জন করিতে সমর্থ না হয় তাহা হইলে দাৰুণ দৈন্য-দশায় পতিত হইয়া চিরজীবন যৎপরোমাস্তি ক্লেশ-রাশি ভোগ করিতে থাকে। অতএব বাল্য বিবাহে দোষের ভাগই অধিক । যাহাতে এই সমস্ত বিষম সঙ্কট উপস্থিত হইবার সম্ভাবনা, তাহণ কোন মতে অপমাদের উপচিকার্য ও ন্যায়পরতীর অভিমত হইতে পারে না, সুতরাং তা হল কোন ক্রমেই