পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8o ধৰ্ম্মনীতি । উপস্থিত হইয়। শারীরিক ও মানসিক উভয় প্রকার পরিশ্রম করিতেই ক্লেশ বোধ হয় । কোন কার্য্যোপলক্ষে প্রচণ্ড রৌদ্রে গলদঘৰ্ম্ম কলেবরে অবিশ্রান্ত পথ পৰ্যটন করিলে, অন্তঃকরণ উত্ত্যক্ত হইয় উঠে, কিন্তু প্রাতঃকালে বিশ্বপতির বিশ্ব-কার্য্যের পরমূশ্চৰ্য্য সৌন্দর্য্য সন্দর্শন পুরঃসর সুশীতল সমীরণ সেবন করিলে, মনোমধ্যে পরম পরিশুদ্ধ আনন্দ-রসের উদ্রেক হইতে থাকে । শারীরিক পীড়া হইয়া কত কত ব্যক্তির স্মারকতা-শক্তি হ্রাস হইতে দেখা গিয়াছে, এবং রোগ-শান্তি ও স্বাস্থ্য-ব্লদ্ধি হইয়। কত কত ব্যক্তির স্মরণ-শক্তি প্রবল হইয়াছে । অতএব, যখন শরীরের সহিত মনের এ প্রকার নৈকট্য সম্বন্ধ নিরূপিত রহিয়াছে, এবং যখন শরীর সুস্থ না থাকিলে, কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম সমুদায় বিহিত বিধানে সম্পাদন করিতে পারা যায় না, তখন জীবনরক্ষণ, ধৰ্ম্ম-রক্ষা, সুখ-সাধন প্রভৃতি সকল বিষয়ের নিমিত্তেই শারীরিক স্বাস্থ্য-লাভার্থে যত্নবান থাকা সৰ্ব্বতেভাবে বিধেয়। যদি প্রতি-মনে পরিবার প্রতিপালন করা কৰ্ত্তব্য হয়, পরোপকার করা বিধেয় হয়, পরম পিতা পরমেশ্বরকে প্রগাঢ়রূপ ভক্তি ও শ্রদ্ধ করা উচিত হয়, তবে স্বীয় শরীরকে সুন্দর রূপ সুস্থ ও সচ্ছন্দ রাখা অবশ্য কৰ্ত্তব্য তাহার সন্দেহ নাই ; কারণ শরীর ভয় হইলে, ঐ সমস্ত অবশ্য-কর্তব্য কৰ্ম্ম সুচাৰুরূপে সম্পাদন করিতে সমর্থ হওয়া যায় না। যদি পরম শ্রদ্ধাস্পদ পিতা মাতাকে যন্ত্রণা-রূপ অগ্নি-শিখায় দগ্ধ করা অধৰ্ম্ম হয়, এবং যদি প্রাণাধিক প্রিয়তর পুত্রকন্যাদিকে