পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 ধৰ্ম্মনীতি । পদার্থ বহির্গত হইতে না পায়, তবে রক্তের সহিত মিশ্রিত হইয় তাহাকে দোষাশ্রিত করে । রক্ত দূষিত হইলেই শরীর অসুস্থ হয়। শরীর হইতে যে স্বেদ নির্গত হয় তাহীর জলীয় ভাগ বাঙ্গ হইয়া উঠিয় যায়, অবশিষ্ট ভাগ গাঢ় হইয় লোম-কূপ সমুদায় রোধ করে । অতএব, তাহাদিগকে পরিষ্কৃত রাখিবার নিমিত্ত অল্প সকল প্রক্ষালন ও মার্জন করা কর্তব্য । যে বস্ত্র এ প্রকার ছিদ্র-যুক্ত ও পরিষ্কৃত, যে অনায়াসে স্বেদ শোষণ করিতে পারে, এবং যে বস্ত্রের মধ্য দিয়া স্বেদ বহির্গত হইতে পারে, তাহাই পরিধান করা বিধেয়, নতুবা শরীর অপরিস্কৃত থাকিলেও যে প্রকার অপকার হয়, অত্যন্ত ঘন ও মলিন বস্ত্র পরিধান করিলে ও সেই প্রকার হইয় থাকে । চৰ্ম্ম যেমন লোম-কৃপ দ্বারা শরীরের নন্ট পদার্থ বাহির করিয়া দেয়, সেইরূপ আবার বাহিরের বস্তুও শোষণ করে । অতএব, গাত্র পৌত ও মাৰ্জ্জিত না করিলে, দুই প্রকার অনিষ্ট ঘটিয়া থাকে। এক প্রকার এই যে, লোম-কূপ রুদ্ধ হওয়াতে, অনিষ্টকর নন্ট পদার্থ সকল শরীর হইতে বহির্গত হইতে পায় না, আর এক প্রকার এই যে, গাত্রে যে সকল মল থাকে, তাহা শরীরে প্রবিষ্ট হইয় রোগ উপস্থিত করে । শরীরস্থ চৰ্ম্মের এই প্রকার গুণাগুণ বিবেচনা করিয়া দেখিলে, গাত্র ও বস্ত্র পরিস্কৃত পরিচ্ছন্ন রাখা অবশ্য-কৰ্ত্তব্য বলিয়। প্রতীত হয় । র্যাহার এই প্রকারে এই নিয়ম অবগত হইয়াছেন, তাহার তৎপ্রতিপালনে ষেমন যত্নবাৰ্ন হন: ইতর ব্যক্তিদিগের তাদৃশ হইবার সম্ভাবন নাই ।