পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়। 8億 এই প্রকারে শরীরস্থ অস্থি, মাংসপেশী, মস্তিষ্ক প্রভৃতির স্বভাব ও প্রয়োজন পৰ্য্যালোচনা করিয়া দেখিলে, জানিতে পারা যায়, স্বাস্থ্য-সাধনার্থ শরীর ও মনের অনতিশয় চালনা করা আবশ্যক । কোন অঙ্গকে নিতান্ত নিশ্চল রাখা উচিত নহে, এবং কোন অঙ্গকে অতিমাত্র চালিত করণও শ্রেয়ঃ নহে। উভয়ই দোষ, উভয়েতেই শরীর কগ ও ভগ্ন হয় । সুস্থ শরীরে উৎসাহ সহকারে শরীর ও মনের অনতিশয় চালনা করিলে, আপনাকে সুস্থ ও সচ্ছন্দ বোধ হইয় অতি অপূর্ব বিশুদ্ধ আনন্দ অনুভূত হইতে থাকে । ইন্দ্রিয়-সুখাসক্ত ভোগ-বিলাসী ব্যক্তির তদনুরূপ মুখণস্বাদনে সমর্থ নহেন । র্তাহারা যাহাকে ইন্দ্রিয়-সুখ কহেন, তাহ শারীরিক-সুস্থতা-জনিত বিশুদ্ধ আনন্দ অপেক্ষায় অনেকাংশে নিকষ্ট । সাংসারিক আচার ব্যবহারের এ প্রকার বিশ্ব স্থলী মটিয়াছে, যে প্রায় সকলেই অঙ্গ-সঞ্চালন-বিষয়ক পূর্বোক্ত দুই দোষের কোন না কোন দোষে লিপ্ত আছেন । ধৰ্মীদিগের মধ্যে অনেকে পরিশ্রম-বিমুখ হইয়া আলস্য-সলিলে শারীরিক সচ্ছন্দতাকে বিসর্জন দেন, নির্ধনের ধনোপার্জনার্থ নিয়মতীত পরিশ্রম করিয়া পরমায়ুঃ হ্রাস করিয়া ফেলেন, এবং বিদ্যার্থীর শারীরিক পরিশ্রম পরিত্যাগ পূর্বক অত্যন্ত মানসিক পরিশ্রম করিয়া শরীর শীর্ণ ও জীর্ণ করেন, ও তন্মধ্যে কেছ কেছ চির-রোগী হইয়া বহু কষ্টে সমস্ত জীবন যাপন করেন। প্রধান প্রধান বিদ্যালয়ের অনেকানেক ছাত্রকে