পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 \, ধৰ্ম্মনীতি । বিদ্যালয়ে প্রবিষ্ট হইবার কিছু কাল পরেই ষে ক্রমে ক্রমে শীর্ণ হইতে দেখা যায়, তাহার কারণ এই । সেই সমস্ত বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের ছাত্রদিগের শারীরিক নিয়ম প্রতিপালনের বিষয়ে বিশিষ্টরূপ দৃষ্টি ন৷ রাখতে, এবং বিদ্যালয়স্থ সমস্ত ছাত্রকে শারীরবিধান বিদ্যা শিক্ষণ দেওয়া আপনাদের অবশ্য-কৰ্ত্তব্য বলিয়। ন জানাতেই, এই মহানর্থের উৎপত্তি হইয়াছে । এক্ষণে বিষয়-কৰ্ম্মের যে প্রকার রীতি প্রচলিত আছে, তাহ অত্যন্ত অনিষ্টকর। বিষয়ী ব্যক্তিরা দিবসের অধিক ভাগ কেবল বিষয় কার্য্যেই ক্ষেপণ করেন, জ্ঞান ও ধৰ্ম্ম অনুশীলন করিতে অবকাশ পান না । কিন্তু মনুষ্যের সকল প্রকার রক্তিই যথানিয়মে চালনা করা উচিত, এবং কিঞ্চিৎ কাল বিশ্রাম ও আমোদ প্রমোদ করণও কর্তব্য । তদ্ব্যতিরেকে কোন মতেই সম্পূর্ণ রূপে মুস্থ ও সৰ্ব্বতোভাবে সুখী হওয়া যায় না। যখন পরম কাৰুণিক পরমেশ্বর রূপণ করিয়া অামাদিগকে গম-শক্তি ও পরিহাস-প্ররত্তি প্রদান করিয়াছেন, তখন তন্নিবন্ধন বৈধ মুখ সম্ভোগ করা কোন মতেই গৰ্হিত মহে । তাহাদিগকে অসং বিষয়ে অসৎ প্রবৃত্তির উত্তেজনার্থে নিয়োজন করাই অধৰ্ম্ম । নির্দোষ আমোদ স্বাস্থ্য-সাধন-পক্ষে অত্যন্ত উপকারী ও সৰ্ব্বতে ভাবে বিধেয় । এই রূপে পরিপাক-শক্তি, শোণিত-সংস্কার প্রভৃতি লাম। বিষয়ের তত্ত্বানুসন্ধান করিয়া পশ্চাল্লিখিত নিয়ম সমুদায় নিরূপিত হইয়াছে। প্রতিদিন পরিমিত ভোজন