পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫২ ধৰ্ম্মনীতি । কোন লঘু পাপের প্ররতি উপস্থিত হয়, তখন তাহ। হষ্টতে কি পর্যন্ত ঘোরতর পাপের উৎপত্তি হইতে পারে তাহাই বিবেচনা করা কৰ্ত্তব্য, এবং বিবেচনা করিয়া তাহ। হইতে নিরক্ত হওয়া বিধেয় । যেমন পুষ্পোদ্যানস্থিত কণ্টকী লতার অঙ্কর উৎপাটন না করিলে, তাহ হইতে এক বিশাল লতা উৎপন্ন হইয় পাশ্ববর্তী পুষ্প-রক্ষ } সকল নষ্ট করিতে পারে, সেইরূপ, পপাস্করের মূল উন্মলন না করিলে অবশেষ তাহ হইতে অতি রহত। অধৰ্ম্ম-লত উৎপন্ন হইয় চিত্ত-ক্ষেত্র আচ্ছন্ন করিতে পারে । অতএব, কোন সীমান্য কুকৰ্ম্মেরও এক বার भांज़७ श्रब्रूळांम করিব না প্রতিজ্ঞা করিয়া সংসার-যাত্রা নির্বাহ করা কর্তৰা । পূর্বেই লিখিত হইয়াছে, অধৰ্ম্মের প্রতি সচ্চরিত্র ব্যক্তিদিগের যে প্রকার স্বভাব-সিদ্ধ ঘৃণা ও দ্বেষ আছে, তাছার হ্রাস হওয়াই দোষ । অসৎ সংসর্গ এ দোষের এক প্রবল কারণ। অধাৰ্ম্মিকদিগের সহিত সৰ্ব্বদা সহবাস করিতে স্বাহীদের প্রৱত্তি হয়, অধৰ্ম্মেতে যেরূপ য়ণ। থাকা উচিত তাহ তাহদের কখনই থাকে মন । স্বভাব সৰ্ব্বোপরি প্রবল বটে, কিন্তু অভ্যাসও সামান্য প্রবল নছে । ষে পরমার্থ-পরায়ণ পুণ্যৰন্থ ব্যক্তি পাপের সংস্পর্শ পর্যন্ত অসহ জ্ঞান করিয়া অসৎ সংসর্গ বিষবৎ পরিত্যাগ করেন, পরে মান কারণে কুলেণকের সহিত সহবাস করা তাহারও অভ্যাস পাইতে পারে, তদার অধৰ্ম্মের প্রতি অশ্রদ্ধা হ্রাস হইতে পারে, পরিশেষে নানাপ্রকার পাপাচরণে প্রবৃত্তি হইতে পারে।