পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৬ ধৰ্ম্মনীতি । ও পুৰুষ রিপু-বিশেষের বশীভূত হইয়া অযোগ্য পাত্র বা কন্যার পাণিগ্রহণ পূর্বক চির জীবনের দু:খত্ৰ সঞ্চার করেন । র্তাহার প্রিয় পতি বা প্রিয়তমা পত্নীর রূপ লাবণ্য ও হাস্য-কৌতুক দর্শনে একেবারে বিমোস্থিত হইয় যান, এবং তদীয় গুণগুণ বিষয়ে বিশেষ অনুসন্ধান না করিয়া আপন আপন বিমুগ্ধ চিত্তকে পরম্পরের প্রণয়-পাশে বদ্ধ করিয়া ফেলেন । প্রথমে উভয়ের দেশষ ভস্মাচ্ছাদিত অগ্নির ন্যায় উভয়েরই মোহনবরণে অণরত থাকে, কালক্রমে প্রকাশিত হইয়া উভয়কেই দগ্ধ করিতে আরম্ভ করে । এতদেশীয় লোকদিগের মধ্যেও ঘটনাক্রমে কোন কোন দম্পতীর যৌবনদশায় এই প্রকার প্রণয়ামুর উৎপন্ন হইয় থাকে, পরে কলম্বরূপ অগ্নি-স্ফুলিঙ্গ আবির্ভূত হইয় তাহাকে শুষ্ক করিয়া ফেলে । বয়োরদ্ধি, বিদ্যাশিক্ষণ ও বহু দর্শন দ্বারা বুদ্ধিরত্তি পরিপক্ক ও পরিশোধিত হইয়) বিবাহ হইলে, এই সমস্ত অনিষ্ট ঘটনার সম্ভাবনা অনেক হ্রাস হয় তাহার সন্দেহ নাই । -y. দারিদ্র্য-দুঃখ বাল্য বিবাহের অণর একটি বিষময় ফল । এদেশের ভদ্র লোকেরা সচরাচর ষেরূপ তৰুণ বয়সে পুত্র পেYল্লাদির বিবাহ দিয়া থাকেন, তখন তাহাদের কার্যক্ষম ও উপায়ক্ষম হওয়া দূরে থাকুক, বিবাহরূপ বন্ধন তাছাদের বিদ্যাশিক্ষণরও এক প্রবল প্রতিবন্ধক হইয় উঠে । তাহারণ বিদ্যা এ ব্যবসায় শিক্ষার কাল পায় না ; অপ কালেই পিতৃ উপস্থি প্রাপ্ত হইয়া অত্যন্ত ভারপ্রস্ত হইয় পড়ে। তখন