পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

११ ধৰ্ম্মনীতি । কন্যা পাত্রের বয়ঃক্রমের বিষয় বিবেচনা করা যে কর্তব্য, নামাদেশীয় প্রাচীন পণ্ডিতেরা এ নিয়ম সম্পূর্ণ বা অসম্পূর্ণ রূপে অবগত ছিলেন, এবং স্ব স্ব বুদ্ধি সাধ্যানুসারে তদ্বিষয়ের ব্যবস্থাও করিয়াছিলেন । লগইকগমৃ নামক গ্রীশ-দেশীয় ব্যবস্থাপক এইরূপ নিয়ম করেন যে, পুৰুষের ৩৭ বৎসর বয়ঃক্রমের পূৰ্ব্বে, এবং স্ত্রীলোকের ১৭ বৎসর বয়ঃক্রমের পূর্বে বিবাহ করা বিধেয় নছে । এরিস্টটল নামক প্রসিদ্ধ পণ্ডিত এই বিধান করেন যে, স্ত্রীলোকের অষ্টাদশ বর্ষ বয়ঃক্রম না হইলে বিবাহ হওয়া উচিত নহে । প্লেটে এই প্রকার ব্যবস্থা দেন যে, পুৰুষের পক্ষে ৩০ অবপি ৫৫ বৎসর পর্যন্ত, এবং স্ত্রীলোকের পক্ষে ২০ অবধি ৪০ বৎসর পর্যন্ত সন্তানেৎপাদনের নিরূপিত কাল । আগস্টস্থ মামক রোমক রাজ্যেশ্বরের রাজত্ব কালে রোমক জাতির মধ্যে পুৰুষের ৩০ বৎসর ও স্ত্রর ৫০ বৎসর অপেক্ষায় অলিক বয়স্ক হইলে বিবাহ করিতে পারিত না । ভারতবর্ষ-প্রচলিত মনুসংহিতার মতে পরমায়র প্রথম ভাগ বিদান শিক্ষায় ক্ষেপণ করিবেক, দ্বিতীয় ভাগে দার পরি গ্রহ পূৰ্ব্বক গহ স্থা ধৰ্ম্ম পালন করিবেক পরে জরণগ্রস্ত হইলে গৃহ-কৰ্ম্ম পরিত্যাগ পূর্বক নির্জন বন-বাস অবলম্বন’ করিবেক । অধুনাতন পণ্ডিতদিগের মধ্যে ডাক্তর হিউজ লণ্ড কহেন, স্ত্রীলোকের পক্ষে অস্টাদশ বৎসর বিবাহের মুখা কাল। তদপেক্ষ অলপ-বয়স্ক ব্যক্তিদিগের গাছ স্থা ধৰ্ম্মপালনে সক্ষম হু ওয়া মুকঠিম মাছগর সন্দেহ নাই ।