পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b← bᎹ ধৰ্ম্মনীতি । প্রাচুর্ভাব, পাপ-জনিত যাতনা-রদ্ধি ও বিপত্তিঘটন এই সমুদায় এই পাপময়ী প্রথার প্রত্যক্ষ প্রতিফল। ? উদ্বাহ-বিষয়ে যে কয়েকটি নিয়মের বিবরণ কর গেল, তাহার অধিকাংশ আrমণ দিগের দেশাচার-বিৰুদ্ধ এ কথা যথার্থ বটে । কিন্ম দেশাচার কদাপি অখণ্ডনীয় নহে । মনুষের যত বোধোদয় হয়, আচার, ব্যবহার, রীতি, নীতি তত পরিবর্তিত হইতে থাকে । ষে নিয়ম বিশ্ব-নিয়ন্ত বিশ্বপতির নিয়মানুগত, তাহাই সৰ্ব্বথা প্রতিপালন করণ বিধেয় । অপর যে প্রথ। র্তাহার মঙ্গলময় নিয়মের বিৰুদ্ধ, তাহণ অনাদি-পরম্পরণ-প্রচলিত হইলেও, বিষবৎ, পরিত্যাগ করণ কর্তৰ্য । যখন পূৰ্ব্বোত্ত উদ্বাহ-বিষয়ক নিয়ম সমুদায় পরম ন্যায়বাল্ব পরমেশ্বরের সাক্ষাৎ আজ্ঞ স্বরূপ প্রতীয়মান হইতেছে, তখন কি তদ্বিরুদ্ধ রীতি নীতিকে মনোমপে ক্ষণমাত্র স্থান দে ওয়া উচিত ? নিশার অন্ধকার কি দিবাকরের উজ্জ্বল জ্যোতি নিবারণ করিতে পারে ? জ্ঞানের সিংহাসন হরণ করিয়া কি তা জ্ঞানকে প্রদান করা যায় ? এই সমস্ত ঘ শর্থ তন্ত্র কেবল কর্ণ-কুহরে প্রবিষ্ট হইলেই ব’ কি হইবে ? কেবল বুদ্ধি-গোচর হইয়া স্মৃতি-পথে আরূঢ় থাকিলেই বা কি ফলে নয় হইবে ? জ্ঞান-নেত্র উম্মলন করিয়া যে সমস্ত ঐশ্বরিক বিধান প্রতীতি করা যায়, তাহতে একান্ত শ্রদ্ধা করা ও নিৰ্ভয় হৃদয়ে তদনুযায়। আচার ব্যবহার সংস্থ - পলে ষত্ব করা সৰ্ব্বতোভাবে কৰ্ত্তব্য ।