অর্থাৎ
মূসালিখিত প্রথম পুস্তক।১ অধ্যায়।
১ পৃথিবী ও আকাশের সৃষ্টি ও দীপ্তির সৃষ্টি, ৬ শূন্যের সৃষ্টি, ৯ শুষ্ক ভূমির সৃষ্টি, ১১ বৃক্ষাদির সৃষ্টি, ১৪ চন্দ্র সূর্য্যাদির সৃষ্টি, ২০ মৎস্য ও পক্ষির সৃষ্টি, ২৪ গ্রাম্য ও বন্য পশ্বাদির সৃষ্টি, ২৬ ঈশ্বরের সাদৃশ্যে মনুষ্যের সৃষ্টি, ২৯ মনুষ্যাদির ভক্ষ্য।
১ইব্র ১১;৩। প্রে ১৪;১৫। যো ১;১, ৩। ইব্র ১, ১০॥আদিতে ঈশ্বর আকাশমণ্ডলের ও পৃথিবীর সৃষ্টি করিলেন। ২পৃথিবী বস্তুহীন ও প্রাণীশূন্য ছিল, এবং অন্ধকার গভীর জলের উপরে ছিল, ও ঈশ্বরের আত্মা জলের উপরে[১] ব্যাপ্ত ছিলেন।
৩গী ৩৩;৯। ২ ক ৪;৬॥পরে, দীপ্তি হউক, ঈশ্বর এই আজ্ঞা করিলে দীপ্তি হইল। ৪তখন ঈশ্বর দীপ্তিকে উত্তম দেখিয়া অন্ধকার হইতে তাহাকে পৃথক্ করিয়া ৫দীপ্তির নাম দিবস, ও অন্ধকারের নাম রাত্রি রাখিলেন। এবং সন্ধ্যা ও প্রাতঃকাল হইলে প্রথম দিবস হইল।
৬পরে, জলের মধ্যে শূন্য জন্মিয়া জলকে দুই ভাগে পৃথক্ করুক্, ৭এই আজ্ঞাদ্বারা ঈশ্বর শূন্যের সৃষ্টি করিয়া জলকে অধঃস্থিত ও উর্দ্ধস্থিত দুই ভাগে পৃথক করি৮ লেন; তাহাতে সেই রূপ হইল। ৮এবং ঈশ্বর ঐ শূন্যের নাম আকাশ রাখিলেন। এবং সন্ধ্যা ও প্রাতঃকাল হইলে দ্বিতীয় দিবস হইল।
৯যির ৫;২২। যূব ৩৮;৯, ১০, ১১॥পরে ঈশ্বর এই আজ্ঞা করিলেন, আকাশের নীচস্থ তাবৎ জল এক স্থানে একত্র হউক, ও স্থল সপ্রকাশ হউক্; তাহাতে তদ্রূপ হইল। ১০তখন ঈশ্বর স্থলের নাম পৃথিবী, ও জলরাশির নাম সমুদ্র রাখিলেন, এবং তাহা উত্তম দেখিলেন।
১১গী ১০৪;১৪, ১৫, ১৬॥অপর ঈশ্বর আজ্ঞা করিলেন, এই পৃথিবীতে তৃণ ও সবীজ ওষধি ও নানা জাতীয় সবীজ ফলদায়ক বৃক্ষ উৎপন্ন হউক্; তাহাতে সেই রূপ হইল; ১২অর্থাৎ পৃথিবীতে তৃণ ও সবীজ নানা জাতীয় ওষধি ও সবীজ নানা জাতীয় বৃক্ষ উৎপন্ন হইল; তখন ঈশ্বর সেই সকলকে উত্তম দেখিলেন। ১৩এবং সন্ধ্যা ও প্রাতঃকাল হইলে তৃতীয় দিবস হইল।
১৪অপর ঈশ্বর আজ্ঞা করিলেন, রাত্রিহইতে দিবসকে বিভিন্ন করণের নিমিত্তে, এবং দিবস ও বৎসর ও ঋতু ও চিহ্নের নিমিত্তে আকাশমণ্ডলে জ্যোতির্গণ উৎপন্ন হউক্; ১৫এবং পৃথিবীতে আলো দিবার জন্যে আকাশমণ্ডলে স্থিত হউক্; তাহাতে সেইরূপ হইল। ১৬যূব ৩৮;৩১, ৩২। গী ৮;৩। ১৪৮;৪। যিশ ৪০;২৬॥এই প্রকারে ঈশ্বর দিনের উপরে কর্তৃত্ব করিতে এক মহাজ্যোতি, ও রাত্রির উপরে কর্তৃত্ব করিতে তদপেক্ষা এক ক্ষুদ্র জ্যোতি, এই দুই বৃহৎ জ্যোতির এবং নক্ষত্রগণের সৃষ্টি করিলেন। ১৭পরে পৃথিবীতে দীপ্তি দানের জন্যে, এবং দিবারাত্রির উপরে কর্তৃত্ব করণার্থে, ১৮এবং দীপ্তিকে ও অন্ধকারকে পৃথক্ করণার্থে ঈশ্বর ঐ জ্যোতির্গণকে আকাশ মণ্ডলে স্থাপন করিলেন; এবং ঈশ্বর সে সকলকে উত্তম দেখিলেন। ১৯এবং সন্ধ্যা ও প্রাতঃকাল হইলে চতুর্থ দিবস হইল।
২০পরে জলের মধ্যে নানা জাতীয় উরোগামি প্রাণিবর্গ, এবং পৃথিবীর ঊর্দ্ধে আকাশমণ্ডলে[২] উড়িতে পারে এমত পক্ষিগণ বাহুল্যরূপে উৎপন্ন হউক্, ২১যূব ৪১;॥এই আজ্ঞা করিয়া ঈশ্বর বৃহৎ মৎস্যাদি ও নানা জাতীয় উরোগামি জলচর প্রাণিবর্গ ও নানা জাতীয় পক্ষিগণের সৃষ্টি করিলেন। ২২পরে ঈশ্বর এই সকলকে উত্তম দেখিয়া এই আশীর্ব্বাদ করিলেন, তোমরা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হইয়া সমুদ্রের জল পরিপূর্ণ কর, এবং পৃথিবীর উপরে পক্ষিগণ অনেক হউক্। ২৩এবং সন্ধ্যা ও প্রাতঃকাল হইলে পঞ্চম দিবস হইল।
২৪যূব ৩৯;॥তাহার পর ঈশ্বর আজ্ঞা করিলেন, পৃথিবীতে গ্রাম্য ও বন্য পশু ও উরোগামি জন্তু প্রভৃতি নানা জাতীয় জন্তুবর্গ উৎপন্ন হউক্; তাহাতে সেই রূপ হইল। ২৫এই রূপে ঈশ্বর নানা জাতীয় গ্রাম্য ও বন্য পশুগণকে ও ভূমির নানা জাতীয় উরোগামি জন্তুগণকে সৃষ্টি করিয়া সকলকেই উত্তম দেখিলেন।
২৬কল ১;১৫। ইব্র ১;৩। আ ৫;১। ৯;২। উ ৭;২৯। প্রে ১৭;২৮, ২৯। ইফ ৪;২৪। কল ৩;১০। যাক ৩;৯॥পরে ঈশ্বর কহিলেন, আমরা আপনাদের প্রতিমূর্ত্তিতে ও সাদৃশ্যে আদমের (অর্থাৎ মনুষের) সৃষ্টি করি; তাহারা জলচর মৎস্যগণের ও খেচর পক্ষিগণের এবং