১৬ অধ্যায় ।] ক্ষেত্রস্থ শস্যের দঃk করণ ৬ ও অহঙ্গর স্ত্রীর ও শ্বশুরের দগ্ধ হওন ৭ ও শিযশোনের অনেক লোক ৰব করণ ১ ও যিহুদীয় লোকদ্বারা তাহার বদ্ধ ও সযপিত হওন ১৪ ও গন্ধভের হনদ্ধারণ সহস্ৰ লোককে বৰ করণ ১৮ ও পিপাসা জল পাওন । * পরে গোম শস্যচ্ছেদনের সময়ে শিমশোন এক ছাগবৎস সঙ্গে লইয়া আপন স্ত্রীর সহিত সাক্ষাৎ করিতে গিয়া কহিল,আমি আপন স্ত্রীর নিকটে অন্তঃপুরে যাইব ; কিন্তু ২ তাহার পিতা তাহাকে অন্তরে যাইতে দিল না। এবথ তাহার পিতা কহিল,তুমি তাহাকে অতিশয় ঘৃণা করিলা, ইহা নিশ্চয় ভাবিয়া আমি তাহাকে তোমার সহচরকে দিলাম; তাহার কনিষ্ঠ ভগিনী কি তাহার অপেক্ষা সুন্দরী নয়? আমি নিবেদন করি, তুমি ইহার পরিবর্ষে তাহাকে গ্রহণ কর * । তাহাতে শিমশোন কহিল, আমি এখন পিলেফ্টীয়দের প্রতি অতুষ্টিকর কর্ম করিলেও তাঁহাদের অপেক্ষা ই অধিক নিৰ্দ্দোষ হইব। পরে শিমশোন যাইয়া তিন শত শৃগাল ধরিয়া মসলি লইয়া তাহাদের লেজে ২ যোগ করিয়া দুই ২ লেজেতে এক ২ মসলি বাধিল। * পরে সেই মসালে অগ্নি দিয়া পিলেষ্টীয়দের শস্যক্ষেত্রে ছাড়িয়া দিল তাহাতে জিত বৃক্ষের ক্ষেত্রের সহিত বাধা আটি ও অচ্ছিন্ন শস্য সকলি দগ্ধ হইল। * তখন পিলেষ্টীয়েরা জিজ্ঞাসা করিল, এমত কর্ম কে করিল? লোকেরা কহিল, শিমশোনের স্ত্রীকে লইয়া তাহার সহচরকে দিল, এই জন্যে তিমনার্থীয়ের জামাতা শিমশোন এই কর্ম করিল ; তাহাতে পিলেষ্টীয়ের আসিয়া সেই স্ত্রীকে ও তাহার পিতাকে অগ্নিদ্বারা দগ্ধ করিল। ৭ শিমশোন তাহাদিগকে কহিল, তোমরা যদি এমত কর্ম করিলা,তবে আমি তোমাদিগকে প্রতিফল না দিয়! ৮ ক্ষান্ত হইব না। ইহা কহিয়া সে সৰ্ব্বতোভাবে + মহা আঘাতে আঘাত করিয়া তাহাদিগকে বধ করিল ; পরে সে ঐটম পৰ্ব্বতের গহ্বরে যাইয়া বাস করিল। ৯ ঐ সময়ে পিলেষ্টীয়েরা যাইয়া যিহুদা প্রদেশে শিবির স্থাপন করিয়া লিহী পৰ্য্যন্ত ব্যাপিয়া থাকিল। -- তাহাতে যিহুদার লোকেরা জিজ্ঞাসিল, তোমরা আমাদের প্রতিকুলে কেন আইলা? তাহারা কহিল, শিম শোন আমাদের প্রতি যেমন করিল, আমরাও তাহার প্রতি তদ্রুপ করিতে ও তাহাকে বাধিতে আইলাম। তখন যিহুদার তিন সহস্ৰ লোক ঐটম পৰ্ব্বতের গহ্বরে যাইয়া শিমশোনকে কহিল, পিলেষ্টীয়েরা যে আমাদের কৰ্ত্তা, তাহা কি তুমি জান না? আমাদের প্রতি তুমি কি করিলা ? সে কহিল, তাহারা আমার প্রতি যে রূপ ২ করিল, আমিও তাহীদের প্রতি তদ্রুপ করিলাম। [১৫ অধ্য : ১, ২] বি ১৪ , ১৯ ॥–[৬] ১৪ ; ১৫ –[১১] ৩ ; ৩১ –[১১] ১ শি ১৪ ; ২৭ ৷ –[২৭] বি ১৩ : ১ ।
- (ইবু সে তোমার হওক। } (ইন্দ্র) কটি ও ওক
বিচারকর্তৃবিবরণ। ২৪৩ তাহারা তাহাকে কহিল, এখন আমরা তোমাকে বন্ধন করিয়া পিলেফ্টীয়দের হন্তে সমপণ করিতে আইলাম ; শিমশেনি তাহাদিগকে কহিল, তোমরা আমাকে বধ করিব না, ইহা অামার কাছে দিব্য কর। তাহাতে তাহার কহিল, না, কেবল তোমাকে দৃঢ় রূপে বন্ধ করিয়া তাহাদের হন্তে সমপণ করিব, কিন্তু আমরা নিতান্ত তোমাকে বধ করিব না; পরে তাহারা দুই নূতন রজম্বুদ্বারা তাহাকে বাধিয়া ঐ পৰ্ব্বতহইতে লইয়া গেল। পরে সে লিহীতে উপস্থিত হইলে পিলেষ্টীয়ের তাহার প্রতিকুলে উচ্চৈঃশব্দ করিল, কিন্তু পরমেশ্বরের আত্মা তাহাতে আবির্ভূত হইলে তাহার বাহুস্থিত রজ্জ অগ্নিদ্বারা দগ্ধ শণের ন্যায় হইয় তাহার হস্তহইতে খসিয়া পড়িল। পরে এক গন্ধভের এক কাচা হনু পাইল, তাহ হস্ত বিস্তার পূর্বক লইয়া তাহাদ্বারা এক সহসু লোককে বধ করিল। তখন শিমশোন কহিল,গৰ্দ্ধ ভের হনূদ্বারা লোকদিগকে রাশি ২ করিলাম,ও গন্ধভের হনুদ্বারা সহসু লোককে বধ করিলাম। পরে কথা সমাপ্ত ১৭ করিয়া হস্ত হইতে ঐ হনু নিক্ষেপ করিয়া সেই স্থানের নাম রামৎ-লিহী (হনুর নিক্ষেপ) রাখিল। পরে সে তুষ্ণাতুর হইয়া পরমেশ্বরের কাছে প্রাথন করিয়া কহিল, তুমি আপিন দাসকে এই মহোদ্ধার কর্ম দিয়াছ, এখন আমি কি তৃষ্ণাতে মরিব ও অচ্ছিন্নভােকদের হস্তগত হইব ? তাহাতে পরমেশ্বর লিহীস্থিত এক ১s স্থান বিদীণ করিলে তাহাহইতে জল নিগত হইল ; তখন সে জল পান করিয়া প্রাণ পাইয়া সচেতন হইল ; অতএব সেই স্থানের নাম ঐনহকেকারী (প্রাথনাকারির উনুই) রাখিল ; সে স্থান অদ্যাপি লিহীতে আছে। পিলেষ্টীয়দের সময়ে শিমশোন বিংশতি বৎসর পর্যন্ত ইসুয়েল বংশের বিচার করিল। ১২৩ অধ্যায় । ১ আসতে শিযশোনের গমন ৪ ও দিল্লীলাতে পেয়ীসক্ত হওন ও তাহার গুপ্ত কৰ্ণ পাইতে দিলীলার চেষ্ণ ও শিশোনের পুকণশ না করণ ১৫ ও গুপ্ত কথা প্রকাশ করণে তাহার বলহু স হওন ২১ ও তাঁহার কারাগারে বন্ধ হওন ও পিলেষ্টীয়দের সহিত তাহীর মৃত্যু । তখন শিমশোন অসাতে যাইয়া সেখানে এক বেশ্যাস্ত্রী- • কে দেখিয় তাহাতে উপগত হইল। তাহাতে শিমশোন ২ এই স্থানে আসিয়াছে, এই কথা শুনিয়া অসতীয়েরা তাহা বেষ্টন করিয়া সমস্ত রাত্রি তাহার জন্যে নগরদ্বারে লুকাইয়া থাকিল, এবং প্রাতঃকালে দিন হইলে আমরা তাহাকে বধ করিব,এই কথা কহিয়া সমস্ত রাত্রি তুষ্ট্ৰীভূত হইয়া থাকিল। অপর শিমশোন মধ্যরাত্রি ও পৰ্য্যন্ত শয়ন করিয়া মধ্যরাত্রিতে উঠিয়া অগল শুদ্ধ নগরের দ্বারের কবাট ও দুই স্তন্ড লইয়াপ্রস্থান করিল, y > >
> * ১৩; ১ । ১৪ ; ৪ l–[১৪] ১৪ ; ৬, ১৯ । ১৬; ১২ Il—[**] 243