পাতা:ধর্ম্মপুস্তক অর্থাৎ পুরাতন ও নূতন ধর্ম্মনিয়ম সম্বন্ধীয় গ্রন্থসমূহ.djvu/১২৬

S X 6 সে ব্যাধি বাড়িয় থাকে, তবে সে সAহারক কুষ্ঠ তাহ অশুচি। * অতএব বস্ত্রে কিন্তু লোমকৃত কিম্বা মসিনাকৃত তানাতে বা পড়িয়ানেতে কিম্ব চর্মনির্মিত দ্রব্যে, যে কিছুতে সে ব্যাধি হয়, তাহা দগ্ধ হইবে ; তাহাই সRহারক কুষ্ঠ, তাহ অগ্নিতে দগ্ধ হইবে। ** এবথ যাজক দেখিলে সে ব্যাধি যদি বস্ত্রেতে কিম্বা তানাতে বা পড়িয়ানেতে কিম্বা চর্মের কোন বদ্ধমান না হয়, “” তবে যাজক সেই ব্যাধিবিশিষ্ট দ্রব্য ধৌত করিতে আজ্ঞা দিবে, এবং আর সাত দিবস তাহ রুদ্ধ করিয়া রাখিবে। ** ধৌত হইলে পর যাজক তাহ দেখিবে ; তাহাতে সে ব্যাধি যদি অন্যবর্ণ না হইয়া থাকে ও না বাড়িয়া থাকে, তবে তাহ অশুচি, তুমি তাহ অগ্নিতে দগ্ধ করিবা; তাহা ভিতরে কিম্বা বাহিরে উৎপন্ন কুষ্ঠরোগ। ** কিন্তু ধৌত করণের পরে যাজকের দৃষ্টিতে যদি তাহা মলিন হয়, তবে সে ঐ বস্ত্ৰহইতে কিম্বা চর্মহইতে কিম্বা তানা বা পড়িয়ানহইতে তাহা চিরিয়া ফেলিবে। “ ঐ তথাপি যদি তাহা সেই বস্ত্রে কিম্বা তানাতে বা পড়িয়ানেতে কিম্বা চর্মনির্মিত কোন দ্রব্যে পুনরায় দৃষ্ট হয়, তবে তাহাই বন্ধিৰ্ষ কুষ্ঠ ; যাহাতে সে ব্যাধি থাকে, তাহা তুমি অগ্নিতে দগ্ধ করিব। ** এবং যে বস্ত্ৰ কিম্বা বস্ত্রের তানা বা পড়িয়ান , কিম্বা চর্মের যে কোন দ্রব্য ধৌত করিব, তাহাহইতে যদি সে ব্যাধির উপশম দেখ, তবে দ্বিতীয় বার তাহা ধৌত করিব ; তাহাতে তাহ শুচি হইবে। ** লোম কিম্বা মসিনাকৃত বস্ত্রের কিম্বা তানার বা পড়িয়ানের কিম্ব চর্মের কোন পাত্রের শৌচাশৌচ কথন বিষয়ে কুষ্ঠ ব্যাধির এই ব্যবস্থা । - - ১ ৪ অধ্যায় { ১ কুষ্ঠিকে শুচি করণের বিধি ও প্রায়শ্চিত্ত, ৩৩ ও গৃহের কুণ্ঠরোগের চিহের নির্ণয়, ৪৮ ও গৃহকুষ্ঠের শুচি করণের বিধি ও প্রায়শ্চিত্ত। * অনন্তর পরমেশ্বর মূসাকে কহিলেন, কুষ্ঠা রোগির শুচি হওন দিবসে তাহার এই ব্যবস্থা, সে ফাজকের নিকটে আনীত হইবে। ° যাজক শিবিরের বাহিরে ঘাইয় তাহাকে দেখিবে ; যদি কুষ্ঠির কুষ্ঠরোগের উপশম হইয় থাকে, “ তবে যাজক সেই শোধ্যমান লোকের নিমিত্তে দুই জীবৎ গুচি পক্ষী ও এরস, কাষ্ঠ ও রক্তবর্ণ লোম ও এসেবি, এই সকল লইতে আজ্ঞা করিবে। “ এবং মৃৎপাত্রস্থিত উনুইর জলের উপরে এক পক্ষিকে বলিদান করিতে আজ্ঞা করিবে। * পরে সে ঐ জীবৎ পক্ষী ও ..] 10 লেৰীয় পুস্তক। [১৪ অধ্যায় । এরস কাষ্ঠ ও রক্তবর্ণ লোম ও এসোব লইয়া, ঐ উনুইর জলের উপরে হত পক্ষির রক্তে জীবৎ পক্ষির সহিত সে সকল ডুবাইয়। * কুষ্ঠহইতে শোধনীয় ব্যক্তির উপরে সাত বার প্রোক্ষণ করিয়া তাহাকে শুচি করিয়া ঐ জীবৎ পক্ষিকে প্রান্তরে ছাড়িয়া দিবে। * তখন সেই শোধ্যমান . ব্যক্তি, আপন বস্ত্ৰ ধৌত করিয়া ও কেশ মুগুন করিয়া জলেতে স্নান করিবে, তাহাতে সে শুচি হইবে ; পরে সে শিবিরে প্রবেশ করিতে পারিবে বটে, কিন্তু সাত দিবস আপন তাম্বুর বাহিরে থাকিবে। * পরে সপ্তম দিবসে সে আপন মস্তকের কেশ ও শ্মশ্র ও ভ্র ও সৰ্ব্বাঙ্গের লোম মুগুন করিবে, এবং আপন বস্ত্র ধৌত করিয়া আপনি জলে স্নান করিয়া শুচি হইবে। - * অপর অষ্টম দিবসে সে নিদোষ দুই মেষশাবক ও একবর্ষীয় নিৰ্দ্দোষ এক মেষবৎস ও ভক্ষ্য নৈবেদার্থে তৈলমিশ্রিত সুজির - দশাংশের তিন অথশ ও এক লোগ তৈল লইবে । ** পরে শুচিকারি যাজক ঐ শোধ্যমান মনুষ্যকে ও ঐ সকল বস্তু লইয়। মণ্ডলীর আবাসের দ্বার নিকটে পরমেশ্বরের সম্মুখে স্থাপন করিবে। ** পরে যাজক এক মেষশাবক ও এক লোগ তৈল লইয়। দোষবলিরূপে উৎসর্গ করবে, এবং আন্দোলনীয় নৈবেদ্যার্থে পরমেশ্বরের সম্মুখে দোলাইবে । ** এবং যে স্থানে প্রায়শ্চিত্ত ও হোমবলি বধ করা যায়, সেই পবিত্র স্থানে ঐ মেষশাবককে বধ করিবে, কেননা প্রায়শ্চিন্তু বলির ন্যায় দোষবলিও যাজকের অংশ; তাহ অতি পবিত্র। , * পরে যাজক ঐ দোষবলির কিঞ্চিৎ রক্ত লইয়া ঐ শোধ্যমান ব্যক্তির দক্ষিণ কর্ণের প্রান্তে ও দক্ষিণ হস্তের অঙ্গুষ্ঠে ও দক্ষিণ পাদাঙ্গুষ্ঠে দিবে। ** এবং যাজক সেই এক লোগ তৈলহইতে কিঞ্চিৎ তৈল লইয়া আপন বাম হস্তুের তালুতে ঢালিবে । ** পরে যাজক সেই বাম হন্তের তালুস্থিত তৈলে আপন দক্ষিণ হস্তাঙ্গুলি ডুবাইয়া অঙ্গুলিদ্বারা সেই তৈলহইতে কিঞ্চিং ২ সাত বার পরমেশ্বরের সম্মুখে প্রক্ষেপ করিবে। " এবং আপন হস্তের তালুস্থিত অবশিষ্ট তৈল লইয়। যাজক ঐ শোধ্যমান ব্যক্তির দক্ষিণ কর্ণের প্রান্তে ও তাহার দক্ষিণ হস্তাঙ্গুষ্ঠে ও দক্ষিণ পাদাঙ্গুষ্ঠে ঐ দোষবলির রক্তের উপরে দিবে। ৮ পরে যাজক আপন হস্তের তালুস্থিত তৈল লইয়া ঐ শোধ্যমান ব্যক্তির মস্তকোপরি ঢালিবে, এবং যাজক পরমেশ্বরের সম্মুখে তাহার নিমিত্তে প্রায়শ্চিন্তু করিবে। ও যাজক প্রায়শ্চিত্তের বলিদান