* १ २. মার অসাধ্য, ** কেননা দেখ, তোমাদের প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের বৃদ্ধি করাতে তোমরা সম্প্রতি আকাশের তারাগণের ন্যায় বহুসংখ্যক হইয়াছ ; ** আর তোমাদের পৈতৃক প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের আরো সহস্র গুণ বৃদ্ধি করুন, ও তিনি তোমাদিগকে যেরূপ কহিয়াছেন, তদ্রুপ আশীৰ্ব্বাদ করুন; ** আমি এক! তোমাদের এতে বোঝা ও ভার ও বিবাদ কি প্রকারে সহ্য করিতে পারি ? ** তোমরা আপন ২ ব"শের মধ্যে বুদ্ধিমান ও জ্ঞানি ও বিখ্যাত লোকদিগকে মনোনীত কর, আমি তাহাদিগকে তোমাদের অধ্যক্ষরূপে নিযুক্ত করিব। * আমার এই কথাতে তোমরা উত্তর করিলা, তুমি যাহা করিতে বলিতেছ, তাহ উত্তম । ** পরে আমি তোমাদের ব^শের প্রধান ও জ্ঞানি ও বিখ্যাত লোকদিগকে গ্রহণ করিয়া সহস্পতি ও শতপতি ও পঞ্চাশৎপতি ও দশপতি করিয়া তোমাদের অধ্যক্ষরূপে ও বখশদের শাসনকর্তৃরূপে নিযুক্ত করিলাম। - এবং তৎকালে তোমাদের সেই বিচারকত্ত্বাদিগকে এই আজ্ঞা করিলাম, তোমরা আপন ২ ভুতিাদের কথা শুনিয়া উভয় পক্ষের প্রতি, অর্থাৎ ভাতৃগণ কিম্বা সহবাসি বিদেশীয়দের প্রতি যথার্থ বিচার করিব । তোমর বিচারে কাহারে মুখাপেক্ষা করিব না, ফুদ্রের কথা যেমন, মহতের কথাও তেমনি শুনিব1 ও মনুষ্যের মুখ দেখিয়া ভয় করিব না, কেননা বিচার ঈশ্বরের অধিকার ; এবং যে কথা বিচার করিতে তোমাদের দুযকর হয়, তাহ আমার কাছে আনিবা, আমি তাহ শুনিব । ** এই রূপে সেই সময়ে তোমাদের সমস্ত কৰ্ত্তব্য কর্মের বিষয়ে আমি আজ্ঞা করিয়াছিলাম। ** পরে আমরা আপন প্রভু পরমেশ্বরের আজ্ঞানুসারে হোরেবহইতে প্রস্থান পূৰ্ব্বক ইমোরীয়দের পর্বতে যাইবার পথে তোমরা যে বৃহৎ ও ভয়ঙ্কর প্রান্তর দেখিয়াছ, তাহার মধ্য দিয়া যাত্রা করিয়া কাদেশ-বর্ণেয়ে পহুছিলাম। ২° পরে আমি তোমাদিগকে কহিলাম, প্ৰভু পরমেশ্বর আমাদিগকে যাহাদের দেশ দিবেন, সেই ইমোরীয়দের পর্বতে তোমরা উপস্থিত হইলা দেখ, তোমাদের প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের হস্তে দেশ সমপর্ণ করিলেন ; অতএব তোমরা আপনাদের পৈতৃক প্রভু পরমেশ্বরের আজ্ঞানুসারে যাইয়া তাহ অধিকার কর; তাহাতে ভীত ও নিরাশ হইও না । ২২ তখন তোমরা সকলে আমার নিকটে আসিয়া কহিলা, অগ্নে আমরা সে স্থানে লোক পাঠাই, তাহারা আমাদের জন্যে দেশ অনুসন্ধান করিয়া আমাদিগকে কোন পথ দিয়াঘা 172 দ্বিতীয় বিবরণ। [১ অধ্যায়। ইতে হইবে, ও কোন নগরে উপস্থিত হইতে হইবে, তাহার সংবাদ লইয়া আইসুক। ২৩ তখন আমি এই কথাতে সন্তুষ্ট হইয়া তোমাদের প্রত্যেক বKশহইতে এক ২ জন লইয়া বারে জন গ্রহণ করিলাম। ** পরে তাহারা প্রস্থান পূৰ্ব্বক পৰ্ব্বতারোহণ করিয়া ইষকোল উপত্যকাতে উপস্থিত হইয়া দেশের অনুসন্ধান করিল। ২৭ এর২ হন্তে সেই দেশের কিছু ২ ফল লইয়া আমাদের নিকটে আনিয়া এই সRবাদ দিয়া কহিল, আমাদের প্রভূ পরমেশ্বর আমাদিগকে যে দেশ দিবেন, সে উত্তম দেশ। তথাপি তোমরা সেই স্থানে যাইতে অসম্মত হইয়া আপনাদের প্রভু পরমেশ্বরের আজ্ঞার বিরুদ্ধাচারী হইল। ** এবং আপন ২ তাম্বুতে বচস করিয়া কহিলা, পরমেশ্বর দ্বেষ প্রযুক্ত আমাদিগকে মিসরদেশহইতে বাহির করিয়া বিনাশার্থে ইমোরীয়দের হস্তে সমপণ করিতে চাহেন। ১৮ আমরা কোথায় ঘাইতেছি ? আমাদের অপেক্ষ সেই দেশীয় লোকেরা পরাক্রমী ও দীর্ঘকায়, ও তাহাদের নগর সকল অতি বৃহৎ এবং গগণসপশি প্রাচীরে বেষ্টিত আছে; এবং সে স্থানে আমরা অনাকীয় ব^শকেও দেখিলাম; এই কথাতে আমাদের ভাতৃগণ আমাদের মনোভঙ্গ করিল। ২৯ তখন আমি তোমাদিগকে কহিলাম, উদ্বিগ্ন হইও না, ও তাহাদের হইতে ভীত হইও না। “ তোমাদের যে প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের অগ্রগামী হন, তিনি মিসরদেশে তোমাদের চক্ষুগোচরে তোমাদের সহিত যে ব্যবহার করিয়াছিলেন, "° এবং এই প্রান্তরেও তোমরা যাহা দেখিয়াছ, তদনুসারে তোমাদের পক্ষে যুদ্ধ করিবেন। যেহেতুক পিতা যেমন আপন পুত্রকে বহন করে, তদ্রুপ তোমরা যে পথে যাত্রা করিয়া এই স্থানে উপস্থিত হইল, সেই সমস্ত পথে তোমাদের প্রভু পরমেশ্বর তোমাদিগকে বহন করিয়া আসিতেছেন। তং তথাপি তোমাদের শিবির রাখিবার স্থান অনুসন্ধান করণার্থে যিনি যাত্রাকালে তোমাদের অগ্রগামী হইয়া রাত্রিতে অগ্নিদ্বারা ও দিবসে মেঘদ্বারা তোমাদের গন্তব্য পথ দর্শন করাইতেন, ৩ তোমাদের সেই প্রভু পরমেশ্বরেতে তোমরা বিশ্বাস করিলা না ।
- পরে পরমেশ্বর তোমাদের বাক্য শুনিয়া ক্রুদ্ধ হইয়া এই দিব্য করিলেন, * আমি তোমাদের পূৰ্ব্বপুরুষদিগকে যে দেশ দিতে শপথ করিয়াছি, সেই উত্তম দেশ এই দুষ্ট বংশীয় মনুষ্যদের মধ্যে অন্য কেহ দেখিতে পাইবে না, ** কেবল যিফুল্লির পুত্র কালেব, তাহ দেখিবে, এবং সে যে দেশে পদাপর্ণ করিয়া গমন