§ আদিপুস্তক l নামে তাহার সহোদরকে প্রসব করিল ; ঐ হাবিল মেষপালক, ও কাবিল ছিল । * অপর কালানুক্রমে কাবিল উপহাররূপে পরমেশ্বরের উদ্দেশে জুমুত্পন্ন ফল উৎসর্গ করিল। " এবং হাবিল আপন পালের প্রথমজাত কএক পশু ও তাহাদের মেদ উৎসর্গ করিল, তাহাতে পরমেশ্বর হাবিলকে ও তাহার উপহার গ্রাহ্য করিলেন। * কিন্তু কাবিলকে ও তাহার উপহার গ্রাহ্য করিলেন না ; এই নিমিত্তে কাবিল অতিশয় ক্রুদ্ধ হইয়! বিষম্নবদন হইল। - তাহাতে পরমেশ্বর কাবিলকে কহিলেন, তুমি কেন ক্রোধ করিলা ? ও কেন বিষণ্ণবদন হইলা ? যদি সংক্রিয়া কর, তবে কি গ্রাহ্য হইব না ? ? আর যদি সংক্রিয়া না কর, তবে পাপ দ্বারে থাকে। সে তোমার বশীভূত, এবং তুমি তাহার উপরে কতৃৰ্তা করিব।
- অপর কাবিল আপন ভাতার সহিত কথোপ
কথন করিল ; পরে তাহার ক্ষেত্রে গেলে কাবিল আক্রমণ করিয়া আপন ভুতি হাবিলকে বধ করিল।
- অনন্তর পরমেশ্বর কাবিলকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমার ভুতি ছাবিল কোথায়? সে উত্তর করিল, আমি জানি না ; আমার ভুতার রক্ষক কি মামি ? - তাহাতে তিনি কহিলেন, তুমি কি করিলা ? তোমার ভুক্তিার রক্ত ভূমিহইতে আমার প্রতি উচ্চৈঃস্বর করিতেছে । ** অতএব যে ভূমি মুখ র্যাদান করিয়া তোমার হস্তদ্বারা হত ভুতার রক্ত পান করিয়াছে, সেই ভূমিতে ভূমি অভিশপ্ত হইলা তাহাতে কৃষিকর্ম করিলেও সে আপন শক্তি দিয়া তোমার সেবা আর করিবে না; তুমি পৃথিবীতে পর্যটনকারী ও ভূমণকারী হইবা । ৩ তাহাতে কাবিল পরমেশ্বরকে কহিল, আমার অপরাধের ভার অসহ্য। ** দেখ, অদ্য জুমি ভূতলহইতে আমাকে তাড়াইয়। দিলা, তাহাতে তোমার দৃষ্টিহইতে আমাকে লুকাইতে
হয় ; এই রূপে পৃথিবীতে পর্যটনকারী ও ভূমণ-1 কারী হইলে যে আমাকে পাইবে, সেই আমাকে বধ করিবে। * তাহাতে পরমেশ্বর তাহাকে কহিলেন, এই হেতুক কাবিলকে যে বধ করিবে, তাহার সাত গুণ দণ্ড হইবে ; অনন্তর পরমেশ্বর কাবিলেতে এক চিহ্ন রাখিলেন, পাছে কেহ তাহাকে পাইলেই বধ করে।
- অপর কাবিল পরমেশ্বরের সাক্ষাৎ হইতে প্রস্থান করিয়া এদনের পূর্বদিগে, নোদ নামক দেশে বাস করিল। ** পরে কাবিল আপন স্ত্রীতে উপগত হইলে সে গৰ্ববর্তী হইয়া হনোক নামে এক পুত্র প্রসব করিল, তাহাতে কাবিল এক নগর পত্তন করিয়া আপন পুত্রের ठू তাহার নাম হুনোক রাখিল। ’৮ ঐ হনোকের
4. [৫ অধ্যtয় । পুত্র ঈরদ, ও ঈরদের পুত্র মিছুয়ায়েল, ও মিহুয়ায়েলের পুত্র মিথুশায়েল, ও মিথুশায়েলের পুত্ৰ লেমক। ** ঐ লেমক দুই স্ত্রী বিবাহ করিল, এক স্ত্রীর নাম আদি ও অন্যার নাম সিল্লা । ** ঐ আদার গৰ্ত্তে যাবল জন্মিল, সে তাম্বুগৃহবাসি পশুপালকদের আদিপুরুষ ছিল। ২১ এবং যুবল নামে তাহার সহোদর বীণা ও বংশীধারি সকলের আদিপুরুষ ছিল। ২২ আর সিল্লার গৰ্ত্তে জুবলকাবিল জন্মিল, সে পিত্তলের ও লৌহের নানা প্রকার অন্ত্র গঠিত ; ঐ তুবল র নয়মা নামনী এক সহোদরা ছিল। ** পরে লেমক আপন স্ত্রীদিগকে কহিল, হে আদে ও হে সিলে, তোমরা আমার কথা শুন ; হে লেমকের ভার্ষাগণ, আমার বাক্যে মনোযোগ কর ; আঘাতের পরিশোধে আমি নরহত্য ও প্রহারের পরিশোধে যুববধ করিয়া থাকি। ** যদি কাবিলের বধের প্রতিফল সাত গুণ হয়, তবে আমার বধের প্রতিফল সাতাত্তর গুণ হইবে ।
- অনন্তর আদম পুনৰ্ব্বার আপন ভাষা হবাতে উপগত হইলে সে পুত্র প্রসব করিয়া তাহার নাম শেথ (বিনিময় ) রাখিল । কেননা সে কহিল, কাবিল কর্তৃক হত হাবিলের বিনিময়ে ঈশ্বর আমাকে আর এক পুত্র দিলেন। ২° পরে ঐ শেথের এক পুত্র জন্মিলে সে তাহার নাম ইনোশ রাখিল ; তৎকালে লোকের পরমেশ্বরের নামে প্রার্থনা করিতে লাগিল।
৫ অধ্যায় । ১ আদমের বিবরণ, ও ও শের্থের বিবরণ, ৯ ও ইনোশের বিবরণ, ১২ ও কৈলনের বিবরণ, ১৫ ও মহলন্সেলের বিবরণ, ১৮ ও যেরদের বিবরণ, ২১ ও হনোকের বিবরণ, ২৫ ও মিগুশেলহের বিবরণ, ২৮ ও লেমকের বিবরণ।
- আদমের বংশাবলির বিবরণ। যে দিনে ঈশ্বর মনুষ্যেৰ সৃষ্টি করিলেন, সেই দিনে ঈশ্বরের সাদৃশ্যে তাহার সৃষ্টি করিলেন। স্ত্রী ও পুরুষ করিয়া তাহাদিগের সৃষ্টি করিলেন ; এবং সেই সৃষ্টি দিনে তাহাদিগকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া আদম (মনুষ্য ) এই নাম দিলেন। * পরে আদম এক শত ত্রিশ বৎসর বয়সের সময়ে আপন সাদৃশ্যে ও প্রতিমূৰ্ত্তিতে পুত্রের জন্ম দিয়া তাহার নাম শেথ রাখিল । * শেথের জন্মের পর আদম আট শত বৎসর জীবৎ থাকিয় আরো সন্তান সন্ততির জন্ম দিল । * সৰ্ব্বশুদ্ধ আদমের নয় শত ত্রিশ বৎসর বয়স হইলে তাহার মৃত্যু হইল।
- পরে শেথ এক শত পাঁচ বৎসর বয়সে ইনোশের জন্ম দিল ইনোশের জন্মের পর শেথ আট শত সাত বৎসর জীবৎ থাকিয়া আরো সন্তান সন্ততির জন্ম দিল। ৮ সৰ্ব্বশুদ্ধ