२०२ প্রসিদ্ধ আছ, ইহা দেখিয়া পুথিবীস্থ সমস্ত জাতি তোমাদিগকে ভয় করিবে। ** এব^ পরমেশ্বর তোমাদিগকে যে দেশ দিতে তোমাদের পূৰ্ব্বপুরুষদের কাছে দিব্য করিয়াছেন, সেই দেশে তিনি তোমাদের শরীরের ফল ও পশুর ফল ও ভূমির ফলরূপ মঙ্গলদ্বারা তোমাদের ঐশ্বৰ্য্য করবেন । * আর পরমেশ্বর উপযুক্ত কালে তোমাদের ভূমিসেচক বৃষ্টি দিতে ও তোমাদের হস্তকৃত সমস্ত কর্ম আশীৰ্ব্বাদযুক্ত করিতে আপনার আকাশরুপ উত্তম ভাণ্ডার খুলিবেন ; এব^ তোমরা অনেক ভিন্নজাতীয়দিগকে ঋণ দিবা, কিন্তু ঋণ লইব না। - তোমাদের প্রভু পরমেশ্বরের এই যে সকল আজ্ঞা মান্য করিতে ও পালন করিতে তোমাদিগকে অদ্য আজ্ঞা করিতেছি, তাহা শ্রবণ করাতে পরমেশ্বর তোমাদিগকে উত্তমাঙ্গস্বরূপ করিবেন, লাঙ্গুলস্বরূপ করিবেন না ; তোমরা অধম না হইয়া কেবল উত্তম হইবা । * * অতএব আদ্য আমি তোমাদিগকে যে ২ আজ্ঞা করিতেছি, তাহার দক্ষিণে কিম্বা বামে ফিরিয়া ইতর দেবগণের সেবা করিতে তাহাদের পশ্চাৎ গমন করিও না ।
- কিন্তু আমি অদ্য তোমাদিগকে যে আজ্ঞা ও বিধি আদেশ করি, সেই সকল মান্য ও পালন করণাথে আপন প্রভু পরমেশ্বরের বাক্য যদি না শুন, তবে এই সমস্ত অভিশাপ তোমাদের প্রতি বৰ্ত্তিবে ও তোমাদিগেতে আশ্রয় করিবে। - তোমরা নগরে শাপগুস্ত ও ক্ষেত্রে শাপগ্ৰস্ত হইব। ** এবং তোমাদের চুপড়ি ও ময়দার পাত্ৰ শাপগুস্ত হইবে । ২৮ এবং তোমাদের শরীরের ফল ও ভূমির ফল ও গোমেষাদি পালের বৃদ্ধি শাপগ্ৰস্ত হইবে। ** এবং তোমরা গৃহে আগমন সময়ে ও বাহিরে গমন সময়ে শাপগুস্ত হইব । ২° এব২ আমাকে ত্যাগ করণরূপ দৃষ্টতার ক্রিয় প্রযুক্ত যে পর্যন্ত তোমাদের সxহার ও শীঘু বিনাশ না হয়, তাবৎ তোমাদের সমস্ত কর্মে পরমেশ্বর তোমাদের প্রতি অভিশাপ ও উদ্বেগ ও ভৎসনা প্রেরণ করিবেন। ** এব^ তোমরা যে দেশ অধিকার করিতে যাইবা, সেই দেশহইতে যাবৎ উচ্ছিন্ন না হও, তাবৎ পরমেশ্বর তোমাদিগকে মহামারীর আশ্রয় করিবেন। ২২ পরমেশ্বর যক্ষম ও ডবের ও জবালা ও অতিদাহ ও খড়গ এবং চিটা ও তেজোহীন
শস্যদ্বারা তোমাদিগকে আঘাত করিবেন ; এই সকল তোমাদের বিনাশ পর্যন্ত তোমাদিগকে তাড়না করিবে । ** এব^ তোমাদের মস্তুকো পরিস্থিত আকাশ পিৰলস্বরূপ, ও অধঃস্থিত ভূমি লৌহস্বরূপ হইবে। " পরমেশ্বর তোমা 202 - দ্বিতীয় বিবরণ । [২৮ অধ্যায় । দের দেশে জলের পরিবর্ষে ধূলি ও বালি বর্ষণ করিবেন ; যে পৰ্য্যন্ত তোমাদের বিনাশ না হয়, তাবৎ তাহা আকাশহইতে তোমাদের উপরে পড়িবে। ২৭ পরমেশ্বর তোমাদের শলুদের সম্মুখে তোমাদিগকে তাড়াইয়া দিবেন ; তোমরা এক পথ দিয়া শজুদের প্রতিকুলে যাইবা, কিন্তু সাত পথ দিয়া তাহাদের সন্মুখহইতে পলায়ন করিবা; এবং পৃথিবীর তাবৎ রাজ্যস্থ লোকদের সম্মুখে শঙ্কাসপদ হইব । * * এবথ তোমাদের শব থেচর পক্ষিগণের ও ভূচর পশুগণের ভক্ষ্য হইবে ; তাহাদিগকে কেহ তাড়াইয়া দূর করিবে না। ২ পরমেশ্বর তোমাদিগকে মিস্ট্রীয় নাড়ীর্ণ ও অশ ও পামা ও খুজলি, এই সকল অপ্রতিকার্য রোগদ্বারা প্রহার করিবেন । ২৮ এবঞ্চ পরমেশ্বর উন্মাদ ও অন্ধত ও মনের স্তব্ধতাদ্বারা তোমাদিগকে আঘাত করিাবেন । ২৯ যেমন অন্ধ লোক অন্ধকারে হাতড়িয়া বেড়ায়, তদ্রুপ তোমরা মধ্যাহ্নকালে হাতড়িয়া বেড়াইবা ; ও আপন ২ পথে কৃতকাৰ্য্য হইব না, এবং সৰ্ব্বদা উপদ্রুত ও অপহৃত হইবা, কেহ তোমাদের উপকার করিবে না। ** তোমরা কন্যার প্রতি বাগদান করিলে অন্য পুরুষ তাহাতে উপগত হইবে ; এবং গৃহ নিমৰ্মাণ করিলে তাহাতে বাস করিতে পাইবা না ; ও দ্রাক্ষাক্ষেত্র প্রস্তুত করিলে তাহার ফল চয়ন করিব না । ** এবং তোমাদের গোরু তোমাদের সম্মুখে হত হইবে, কিন্তু তোমরা তাহ ভোজন করিতে পাইবা না ; ও তোমাদের গৰ্দ্দভ তোমাদের সাক্ষাতে বলদ্বারা হত হইবে, কেহ তাহা তোমাদিগকে ফিরাইয়া দিবে না ; ও তোমাদের মেষাদি তোমাদের শত্ৰুগণকে দত্ত হইবে, কেহ তোমাদের উপকার কfরবে না। -২ ও তোমাদের পুত্ৰগণ ও কন্যাগণ অন্যজাতীয়দিগকে দত্ত হইবে, ও সমস্ত দিবস তাহাদের অপেক্ষায় চাহিতে ২ তোমাদের দৃষ্টি ক্ষীণ হইবে, তোমরা তাহাদের দর্শন পাইতে পারিব না। “ও তোমাদের অজ্ঞাত লোক তোমাদের ভূমি ও শ্রমের তাবৎ ফল ভোগ করিবে; তোমরা সৰ্ব্বদা কেবল উপদ্রুত ও ক্লিষ্ট হইবা । ** এবং তোমাদের চক্ষু যাহা দেখিবে, তৎপ্রযুক্ত তোমরা উন্মত্ত হইব । * এবং পরমেশ্বর তোমাদের জানু ও জ৭ঘ ও পদতলাবধি মন্তক পৰ্য্যন্ত অপ্রতীকার্য দুষ্ট নাড়ীব্ৰশদ্বারা প্রহার করিবেন। ৩° এবং পরমেশ্বর তোমাদিগকে ও তোমাদের স্থাপিত রাজাকে তোমাদের ও তোমাদের পূৰ্ব্বপুরুষদের অজ্ঞাত এক জাতির স্থানে লইয়া যাইবেন ; সেই স্থানে তোমরা প্রস্তরময় ও কাষ্ঠময়, ইতর দেবগণের সেবা করিবা৷ ” এব^