৯ অধ্যায় ।] তের উপরে জাহাজ লাগিয়া রহিল। * পরে দশম মাস পর্যন্ত জল ক্রমে ২ সরিয়া অল্পতর হইল ; ঐ দশম মাসের প্রথম দিনে পৰ্ব্বতগণের শৃঙ্গ দৃশ্য হইল।
- অপর আরো চল্লিশ দিন গত হইলে নোহ আপন নির্মিত জাহাজের বাতায়ন খুলিয়৷ ” একটা দাড়কাককে উড়াইয়া দিল। তাহাতে সে উড়িয়। ভূমির উপরিস্থ জল শুষক না হওন পর্যন্ত ইতস্ততে গতায়াত করিল। ৮ অনন্তর ভূমির উপরিস্থ জল হ্রাস পাইয়াছে কি না, তাহ জানিবার জন্যে নোহ আপনার নিকটহইতে এক কপোতকে উড়াইয়া দিল । * তাহাতে সমস্ত পৃথিবী জলাচ্ছাদিত প্রযুক্ত কপোত পদাপণের স্থান না পাওয়াতে জাহাজে তাহার নিকটে ফিরিয়া আইল ; তখন নোহ হন্ত বিস্তার পূর্বক তাহাকে ধরিয়া জাহাজের ভিতরে আপনার নিকটে আনিল।
- তদনন্তর সে আর এক সপ্তাহ বিলম্ব করিয়া জাহাজহইতে সেই কপোতকে পুনৰ্ব্বার উড়াইয় দিলে ** সেই কপোত সন্ধ্যাকালে তাহার নিকটে ফিরিয়া আইল ; তখন তাহার চঞ্চতে জিতবৃক্ষের এক নবীন পত্র দেখিয়া নোহ বুঝিল, ভূমির উপরিস্থ জল হ্ৰাস পাইয়াছে। *ং পরে সে আর এক সপ্তাহ বিলম্ব করিয়া সেই কপোতকে উড়াইয়া দিল, কিন্তু সে তাহার নিকটে আর ফিরিয়া আইল না । ** নোহের বয়সের ছয় শত এক বৎসরের প্রথম মাসের প্রথম দিনে পুথিবীর উপরিস্থ জল শুষক হইয়াছিল ; তাহাতে নোহ জাহাজের ছাত খুলিয়া অবলোকন করিয়া ভূতলকে নির্জল দেখিল। ** পরে দ্বিতীয় মাসের সাতাইশ দিনে পৃথিবী শুষক হইল।
- পরে क्लेश्वद्भ নোহকে কহিলেন, ي هدfa আপন স্ত্রী ও পুত্ৰগণ ও পুত্রবধূগণকে সঙ্গে লইয় জাহাজহইতে নিগর্ত হও । ** এবং তোমার সঙ্গি পক্ষী ও পশু ও ভূচর কীট প্রভূতি যত জীবজন্তু আছে, সেই সকলকে তোমার সঙ্গে বাহিরে আন ; তাহারা পুথিবীকে প্রাণিময় করুক, এবং পৃথিবীতে প্রজাবন্ত ও বছৰংশ হউক। * তখন নোহ আপন স্ত্রী ও পুত্ৰগণ ও পুত্রবধূগণকে সঙ্গে লইয়া বাহিরে আইল । ** এবং স্ব ২ জাতানুসারে প্রত্যেক পশু ও কীট ও পক্ষি প্রভূতি ভূচর প্রাণী সকলে জাহাজহইতে নিগর্ত হইল।
- অনন্তর নোহ পরমেশ্বরের উদ্দেশে যজ্ঞবেদি নির্মাণ করিয়া তাবৎ প্রকার গুচি পশু ও তাবৎ প্রকার শুচি পক্ষির মধ্যে কতক লইয়। বেদির উপরে হোম করিল। ২° তাহাতে পরমেশ্বর তাহার সৌরভ আত্মাণ করিয়া মনে ২ কছিলেন, আমি মনুষ্যের জন্যে পৃথিবীকে আর অভিশাপ দিব না; যদ্যপি বাল্যকালাবধি মনু
আদিপুস্তক l ষ্যের মনস্কল্পনা দুষ্ট, তথাপি যেমত করিলাম, সেমত আর কখনো তাবৎ প্রাণিকে সAহার করিব না। ২২ যে পর্যন্ত পুথিবী থাকে, তাবৎ শস্য বপনের ও শস্য ছেদনের সময়, এবং শীত ও উষ্ণ, এবং গ্রীষমকাল ও হেমন্তকাল, এবং দিব ও রাত্রি, এই সকলের নিবৃত্তি হইবে না। : ৯ অধ্যায়। , ७ ८मांदइन्न धडि छेश्व८ब्रव्र श्रीभीगर्दांम, ध्> ७ ८मां८ हज़ সঙ্গে ঈশ্বরের নিয়ম স্থির করণ, ১৮ ও নোহের মত্ত হওনের বৃত্তান্ত ও হামকে অভিশাপ দেওন, ২৮ ও নোছের মৃতু্য । • . I
- পরে ঈশ্বর নোহকে ও তাহার পুত্রগণকে এই আশীৰ্ব্বাদ করিলেন, তোমরা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হইয়া পৃথিবীকে পরিপূর্ণ কর। পৃথিবীর তাবৎ পস্ত ও খেচর পক্ষী ও ভূচর প্রাণী ও সমুদ্রের মৎস্য সকলেই তোমাদের হইতে ভীত ও শঙ্কাযুক্ত হইবে ; সে সকল তোমাদের হস্তে সমপির্ত আছে। • প্রত্যেক গমনশীল প্রাণী তোমাদের খাদ্য হইবে, আমি হরিদৃ ওষধির ন্যায় সে সকল তোমাদিগকে দিলাম। - কিন্তু সজীবন অর্থাৎ সরক্ত মাৎস ভোজন করিও না । * এব^ তোমাদের জীবনরূপ রক্ত পাতিত হইলে আমি তাহার পরিশোধ লইব ; পশুর নিকটে হউক কিম্ব সমানজাতীয় মনুষ্যের নিকটে হউক, মনুষ্যের জীবনের পরিশোধ আমি অবশ্য লইব । * যে কেহ মনুষ্যের. রক্তপাত করিবে, মনুষ্যকর্তৃক তাহার রক্তপাত হইবে কেননা ঈশ্বর অাপন সাদৃশ্যে মনুষ্যের সৃষ্টি করিয়াছেন। " তোমর প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও, এবং পুথিবীতে বহুতর হইয়া বন্ধিষ্ণু হও। ,
৮ অপর ঈশ্বর নোহকে ও ডাহার সঙ্গি পুত্রগণকে কহিলেন, " দেখ, তোমাদের সহিত ও তোমাদের ভাবিব^শের সহিত ** ও তোমাদের সঙ্গি পক্ষি এবং গ্রাম্য ও বন্য পশু প্রভূতি পৃথিবীস্থ যত প্রাণী জাহাজহইতে নিগর্ত হইয়াছে, তাহাদের সহিত আমি আপন নিয়ম স্থির করি। ** আমি তোমাদের সহিত এই নিয়ম স্থির করি, জলপলাবনের দ্বারা তাবৎ প্রাণী আর উচ্ছিন্ন হইবে না ; এবৎ পৃথিবীর বিনাশার্থে আর জলপলাবন হইবে না। *ং ঈশ্বর আরো কহিলেন, আমি তোমাদের সহিত ও তোমাদের সঙ্গি তাবৎ প্রাণির সহিত যে নিত্য নিয়ম স্থির করিলাম, তাহার চিহ্ন এই। * আমি মেঘে আপন ধনু স্থাপন করি, তাহাই পৃথিবীর সহিত আমার নিয়মের চিহ্ন হইবে। * যে সময়ে আমি পৃথিবীর উর্কে মেঘের সঞ্চার করিব, তৎকালে সেই মেঘধনু দষ্ট হইবে । * তাহাতে তোমাদের 7