২২ জু কোন অংশ দেওয়া গেল না। • পরমেশ্বর মূসাকে যে আজ্ঞা দিয়াছিলেন, ইস্রায়েল বংশ তদনুসারে কর্ম করিয়া আপনাদের মধ্যে দেশ বিভাগ করিয়া লইল । “ ঐ সময়ে যিহুদা বখশ গিলগলে যিহোশূয়ের নিকটে আইলে কিনসীয় যিফুল্লির পুত্র কালেব, তাহাকে কহিল, পরমেশ্বর , তোমার ও আমার বিষয়ে কাদেশ-বর্ণেয়ে আপন সেবক মূসাকে যে কথা কহিয়াছিলেন, তাহা তুমি জ্ঞাত আছ। * আমার চল্লিশ বৎসর বয়সের সময়ে পরমেস্বরের সেবক মুসা দেশ নিরীক্ষণ করিতে কাদেশবর্ণেয়হইতে আমাকে প্রেরণ করিয়াছিল, তাহাতে আমি সরল মনে তাহার নিকটে সRবাদ আনিয়া দিলাম। ৮ আমার যে ভুতৃিগণ আমার সহিত গিয়াছিল, তাহার লোকদের মন বিষঃ করিল ; কিন্তু আমি সম্পূর্ণ রূপে আপন প্ৰভু পরমেশ্বরের অনুগত থাকিলাম। - এই জন্যে মূসা ঐ দিবসে দিব্য করিয়া কহিল, যে ভূমির উপরে তোমার পদাপর্ণ হইল, সেই ভূমি তোমার ও তোমার বণ শের নিত্য অধিকার হইবে ; কেননা তুমি সম্পূর্ণরূপে আমার প্রভু পরমেশ্বরের অনুগত হইয়ছি। ** এখন দেখ, প্রান্তরে ইস্রায়েল বংশের ভূমণ কালে যে সময়ে পরমেশ্বর মূসাকে এই কথা কহিয়াছিলেন, তদবধি পরমেশ্বর আপনি বাক্যানুসারে পয়তাল্লিশ বৎসর আমাকে জীবৎ রাখিয়াছেন ; আদ্য আমি পঞ্চাশীতি বৎসর বয়স্ক হইলাম। মূসা যে দিবসে আমাকে প্রেরণ করিয়াছিল, সেই দিবসে আমি যেমন বলবান ছিলাম, অদ্যপি তদ্রুপ আাছি ; যুদ্ধ করণার্থে ও গমনাগমন করণার্থে আমার তখন যেমন শক্তি ছিল, এখনো সেই রূপ আছে। ** অতএব সে দিবসে পরমেশ্বর যে পৰ্ব্বতের বিষয়ে কহিয়াছিলেন, এই সেই পৰ্ব্বত আমাকে দেও ; কেননা অনাকীয়ের সেখানে থাকে, এবং নগর সকল বৃহৎ ও প্রাচীরবেষ্টিত, ইহা তুমি সে দিবসে শুনিয়াছিল ; কিন্তু পরমেশ্বর যদি আমার সহিত থাকেন, তবে পরমেশ্বরের বাক্যানুসারে আমি অবশ্য তাহাদিগকে দূর করিয়া দিব। তাহাতে যিহোলুয় তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ করিল, এৰ যিফুন্নির পুত্র কালেবকে অধিকারার্থে হিন্ত্রোণ দিল। ** এই রূপে হিন্ত্রোণ অদ্য পর্যন্ত কিনসীয় যিফুল্লির পুত্র কালেবের অধিকার হইয়া আসিতেছে ; কেননা সে সম্পূর্ণরূপে ইস্রায়েলের প্রভু পরমেশ্বরের অনুগড় ছিল। * পূৰ্ব্বকালে ঐ হিরোণের নাম কিরিয়থব ছিল ; ঐ অর্ব অনাকীয়দের মধ্যে প্রধান লোক ছিল। পরে দেশে যুদ্ধের বিৱাম হইল । 226 যিহোশয়। ১৫ অধ্যায়। ১৫ অধ্যায় ৷ ১ ৰিছা বংশের সীমা নিৰয়, ১৩ ও হিত্ৰোণ জয় করিয়া কালেবের অধিকার প্রাপ্তি, ১৬ ও দিবীর জয় করিয়া কালেবের কন্য। গ্রহণকারি অথনীয়েলের কথা, ২০ ও যিহুদার অধিকারের নগর নির্ণয় ও যিবুৰীয়দের পরাস্ত না হওনের কথা।
- অপর আপন ২ গোষ্ঠ্যনুসারে যিহুদী বংশের অংশের সীমা নির্ণয় ; ইদোমীর সীমার পাশ্বস্থ সীন প্রান্তর দক্ষিণদিগে তাহার দক্ষিণপ্রান্ত ছিল। * এবং তাহার দক্ষিণ সীমা লবণ সমুদ্রের প্রান্ত অর্থাৎ দক্ষিণদিগভিমুখ খাড়ী অবধি ও দক্ষিণদিক প্রতি আক্রীম নামক উর্দ্ধগামি পথ দিয়া সীন পর্যন্ত গেল, এবং দক্ষিণে কাদেশ-বর্ণেয় পর্যন্ত উৰ্দ্ধগামী হইল ; পরে হিস্ৰোণে যাইয়। আদরের প্রতি উৰ্দ্ধগামী হইয়া কককা পর্যন্ত ঘুরিয়া গেল। * পরে অসমোনের প্রতি হইয়া মিসরনদী পর্যন্ত নিগমন করিল, ঐ সীমার অন্তভাগ সমুদ্রে ছিল; এই তোমাদের দক্ষিণ সীমা হইবে । " এব^ পূৰ্ব্বসীমা যদ্দনের মুহান পর্যন্ত লবণ সমুদ্র ; এবং উত্তর দিগের সীমা যদ্দনের মুহানা অর্থাৎ ঐ সমুদ্রের খাড়ী অবধি * বৈথপ্লার প্রতি গমন করিয়া বৈথরাবার উত্তরদিগ হইয়া গেল, পরে সে সীম রূবেনু বংশীয় বোহনের প্রস্তুর পর্যন্ত । উঠিয় গেল। * পরে সে সীমা আথোর তলভূমিহইতে দিবীরের দিগে গেল ; পরে নদীর দক্ষিণ পারস্থ অদুৰ্ম্মীমের দিগে উৰ্ব্বগামি পথের সম্মুখস্থ গিলগলের প্রতি মুখ করিয়া উত্তরদিগে গেল, ও ঐন-শেমশ নামক জলাশয়ের প্রতি চলিয়া গেল, ও তাহার অন্তভাগ ঐন-রোগেলে ছিল । ৮ সে সীমা বিন হিন্নোম নামে তলভূমি দিয়া উঠিয়া যিবৃষের অর্থাৎ ষিরুশালমের দক্ষিণ পাশ্বে গেল ; পরে ঐ সীমা পশ্চিমে হিন্নোম নামে তলভূমির সম্মুখে অর্থাৎ রিফায়িম নামে সমভূমির উত্তরপ্রান্তে স্থিত পৰ্ব্বতশৃঙ্গ পর্যন্ত গেল। *পরে ঐ সীমা সেই পৰ্ব্বতের শৃঙ্গ অবধি নিপ্তোহের জলের উনূই পর্যন্ত বিস্তৃত হইল, এবং ইফুেণি পৰ্ব্বতস্থ নগরে তাহার অন্তভাগ ছিল। এবং সে সীমা বালা অর্থাৎ কিরিয়ৎ-যিয়ারীম নগরেতে আকৃষ্ট হইল ; ** পরে সে সীমা বালাহইতে সেয়ীর পর্বত পর্যন্ত পশ্চিম দিগে ঘুরিয়া যিয়ারীমু পৰ্ব্বতের পৃষ্ঠ দিয়া উত্তর দিগে খিষালোন পর্যন্ত গেল; পরে বৈংশেমশে অধোগামী হইয়া তিমনাথ পর্যন্ত গেল। ** এবং সে সীম। ইক্রোণের উত্তরদিক পৰ্যন্ত গমন করিল ; পরে সে সীমা শিক্রোণ পর্যন্ত বিস্তুত হইল, এবং বাল পৰ্ব্বত হইয়। যবনিয়েলে তাহার অন্তভাগ ছিল ; ঐ সীমার অন্তভাগ সমুদ্রে ছিল। * এবং পশ্চিম সীমা মহাসমুদ্র ও তাহার তট