এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
২৩৮
- আর ইলকানা যজ্ঞ করণ দিনে আপন ভাৰ্য্যা পিনিম্নাকে ও তাহার সমস্ত পুত্র ও কন্যাদিগকে অ৭শ দিত বটে ; “ কিন্তু হন্নাকে দ্বিগুণ অRশ দিত ; কেননা পরমেশ্বর হন্নার গৰ্ত্ত রুদ্ধ করিলেও সে তাহাকে প্রেম করিত। * কিন্তু পরমেশ্বর তাহার গৰ্ত্ত রুদ্ধ করাতে তাহার সপতনী তাহাকে দুঃখ দিতে যতনপূৰ্ব্বক বিদ্রপ করিত। ঐ বৎসরে ২ পরমেশ্বরের মন্দিরে গেলে তাহার স্বামী ঐ রূপ কর্ম করিত, এব^ fপনিন্নাও ঐ প্রকারে তাহাকে বিদ্রুপ করিত ; অতএব সে ভোজন না করিয়া ক্ৰন্দন করিত। ৮ তাহাতে তাহার স্বামী ইলকান তাহাকে কহিত, হে হৰা, কেন ক্ৰন্দন করিতেছ ? এবং কেন ভোজন কর না ? তোমার মন শোকাকুল কেন ? তোমার কাছে দশ পুত্ৰহইতেও কি আমি উত্তম নহি ?
শ এক সময়ে শীলোতে ভোজন পান করণানন্তর হল্প উঠিয় দাড়াইল ; তৎকালে এলি যাজক পরমেশ্বরের মন্দিরের দ্বারের নিকটে আসনোপরি বসিয়াছিল । * তখন হন্না তিক্রমন৷ হইয়া পরমেশ্বরের উদ্দেশে প্রার্থনা করিয়া অনেক রোদন করিতে লাগিল। ** এবথ মানত করিয়া কহিল, হে সৈন্যাধ্যক্ষ পরমেশ্বর, যদি তুমি আপন দাসীর দুঃখের প্রতি দৃষ্টি করিয়া অামাকে স্মরণ কর, ও বিস্মৃত না হইয় আপন দাসীকে অপত্য দেও, তবে আমি তাহার যাবডঞ্জীবন তাহাকে পরমেশ্বরের উদ্দেশে নিবেদন করিব ; তাহার মস্তকে ক্ষুর উঠিবে না।
- ২ হন্না পরমেশ্বরের সাক্ষাতে দীর্ঘকাল প্রাথনা করিলে এলি যাজক তাহার মুখের প্রতি চাহিয়া রহিল। ৩ কেননা হন্না মনে ২ প্রার্থন করাতে তাহার ওষ্ঠাধর লড়িল বটে, কিন্ড তাহার শব্দ শুনা গেল না ; এই জন্যে এলি তাহাকে মৰা জ্ঞান করিল। ** অতএব এলি তাহাকে কহিল, তুমি কত ক্ষণ মত্ত হইয়া থাকিবা ? তোমার দ্রাক্ষারস তোমাহইতে দূর কর। * তাহাতে হয়। উত্তর করিল, হে আমার প্রভো, তাহা নয়, আমি দুঃখিনী স্ত্রী, দ্রাক্ষারস কিম্বা সুরা পান করি নাই, কিন্তু পরমেশ্বরের সাক্ষাতে আমি মনের কথা ভাঙ্গিয় কহিলাম। তমি আপন দাসীকে দুষ্টা স্ত্রী জ্ঞান করিও না ; আমার চিন্তার ও মনোদুঃখের বাহুল্য প্রযুক্ত আমি সেই অবধি কথা কহিলাম। তাহাতে এলি উত্তর করিল, তুমি কুশলে যাও ; ইস্রায়েলের ঈশ্বরের কাছে যাহা প্রার্থনা করিল, তাহ তিনি তোমাকে দিবেন। ৮ পরে সে কহিল, তুমি আপন দৃষ্টিতে আপন দাসীকে অনুগ্রহ পাইতে দেও। পরে সে স্ত্রী আপন পথে যাইয় ు করিল ; তাহার মুখ আর বিষম হইল না।
68 ১ শিমুয়েল। [২ অধ্যায় ।
- পরে তাহার প্রত্ব্যুষে উঠিয়া পরমেশ্বরের সাক্ষাতে ভজনা করিলে পর ফিরিয়া রামতে আপন বাটীতে আইল। অনন্তর ইলকানা অাপন ভার্ষ্য হন্নাতে উপগত হইলে পরমেশ্বর তাহাকে স্মরণ করিলেন। ** তাহাতে হয়। গৰ্বধারণ করিয়া পূর্ণ সময়ে পুত্র প্রসব করিল ; আর সে পরমেশ্বরের কাছে তাহাকে যাজ্ঞা করিয়াছিল, এই জন্যে তাহার নাম শিমুয়েল (ঈশ্বরষাচিত) রাখিল । ** পরে ষখন ইলকানা সপরিবারে পরমেশ্বরের উদ্দেশে বার্ষিক বলিদান ও মীনত নিবেদন করিতে গেল, ** তখন হন্না গেল না, কারণ সে আপিন স্বামিকে কহিল, বালকের স্তনপান ত্যাগ হইলেই আমি তাহাকে লইয়া যাইব, তাহাতে সে পরমেশ্বরের সাক্ষাতে উপস্থিত হইয়া সে স্থানে সৰ্ব্বদা থাকিবে। **তাহাতে তাহার স্বামী ইল্কান। তাহাকে কহিল, তোমার যাহা ভাল বোধ হয়, তাহী কর ; তাহার স্তনপান ত্যাগ পর্যন্ত বিলম্ব কর ; পরমেশ্বর কেবল আপন বাক্য স্থির করুন। তাহাতে সে স্ত্রী গৃহে থাকিয়া যাবৎ বালক স্তনপান ত্যাগ না করিল, তাবৎ তাহাকে স্তনপান করাইল ।
- * পরে তাহার স্তনপান ত্যাগ হইলে সে তিন বৃষ ও এক ঐফা_সুজি ও এক কুপা দৃক্ষরিসের সহিত তাহাকে শীলোতে পরমেশ্বরের আবাসে লইয়া গেল ; তখন বালক অল্পবয়স্ক ছিল। ** পরে তাহার। বৃষ বলিদান করিয়া বালককে এলির কাছে আনিল। ** এবং হন্না কহিল, হে আমার প্রভো, আমি মহাশয়ের প্রাণের দিব্য করিয়া কহি, যে স্ত্রী পরমেশ্বরের উদ্দেশে প্রার্থনা করিতে ২ এই স্থানে তোমার সম্মুখে দাড়াইয়াছিল, সেই আমি এই বালকের জন্যে প্রার্থনা করিয়াছিলাম ; পরমেশ্বরের কাছে আমি যাহা চাহিয়াছিলাম, তিনি আমাকে তাহ দিয়াছেন। ২৮ এই জন্যে আমিও ইহাকে যাবজীবন ঋণরূপে পরমেশ্বরকে দিলাম ; এ পরমেশ্বরকে দত্ত ঋণস্বরূপ। পরে বালক সেই স্থানে পরমেশ্বরের ভজনা করিতে লাগিল ।
২ অধ্যায় । ১ হন্নার গীত, ১১ ও গৃহে গমন এবং এলির পুত্রগণের পাপ, ১৮ ও শিমুয়েলের কর্ম, ২০ ও এলির বরদ্বারা ছন্নার আরো পুত্র প্রসব করণ, ২২ ও আপন পুত্ৰগণের বিষয়ে এলির অনুযোগকথা, ২৭ ও এলির বংশের বিরুদ্ধে অভিশাপ ।
- পরে ঐ হয়। প্রার্থনা করিয়া কহিল, আমার মন পরমেশ্বরেতে উল্লাস করিতেছে, এবং পরমেশ্বরদ্বারা আমার ত্রর উন্নতি হইতেছে, ও