পাতা:ধর্ম্মপুস্তক অর্থাৎ পুরাতন ও নূতন ধর্ম্মনিয়ম সম্বন্ধীয় গ্রন্থসমূহ.djvu/৩৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

No Bb আন্তঃকরণ যেমন সৰ্ব্বতোভাবে আপন প্রভূ পরমেশ্বরের প্রতি ছিল, তাহার তদ্রুপ থাকিল না। * কিন্তু সুলেমান সীদোনীয় অস্তারোৎ দেবীদের ও অন্মোনীয়দের মিলকম নামে ঘুণাহ দেবের পশ্চাদগামী হইল। - এই রূপে সুলেমান পরমেশ্বরের দৃষ্টিতে কদাচরণ করিল ; আপন পিতা দায়দের ন্যায় সম্পূর্ণরূপে পরমেশ্বরের অনুগত হইল না। " সেই সময়ে সুলেমান যিরশালমের সমুখস্থ পৰ্ব্বতে মোয়াবীয় কিমোশ ও অন্মোনীয় মেলিক এই দুই ঘৃণাহ দেবের জন্যে টিকরস্থান নিৰ্ম্মাণ করিল। ৮ তাহার যত বিদেশীয় স্ত্রী আপন ২ দেবের উদ্দেশে ধূপ জবালাইত ও বলিদান করিত, সেই সকলের জন্যে তদ্রুপ করিল।

  • যে পরমেশ্বর সুলেমানকে দুই বার দর্শন দিয়াছিলেন, এবং ইতর দেবের পশ্চাদগমনে তাহাকে নিষেধ করিয়াছিলেন, ইস্রায়েলের সেই প্রভু পরমেশ্বরহইতে সে মন ফিরাইল, “ এবx পরমেশ্বরের আদেশ পালন করিল না, এই জন্যে পরমেশ্বর তাহার প্রতি ক্রুদ্ধ হইলেন । ** এবং পরমেশ্বর সুলেমানকে কহিলেন, আমি যে নিয়ম ও বিধি তোমাকে আদেশ করিয়াছিলাম, তাহ তুমি পালন কর নাই ; তোমার এই মত আচরণ হওয়াতে আমি অবশ্য তোমাহইতে রাজ্য কাড়িয়া লইয়া তোমার . দাসকে দিব। - কিন্তু আমার দাস দায়ুদের অনুরোধে তোমার বর্তমান কালে তাহা করিব না ; তোমার পুত্রের হস্তহইতে তাহ কাড়িয়া লইব। **তথাপি সমুদয় রাজ্য কাড়িয়া লইব না; আপন দাস দায়ুদের ও আপন মনোনীত, ফিকশালমের জন্যে তোমার পুত্রকে এক বৎশ দিব।
    • পরে পরমেশ্বর সুলেমানের সহিত ইদোম দেশীয় রাজব^শোদ্ভব ইদোমীয় হদদৃ নামক ব্যক্তির শত্ৰুত জন্মাইলেন। * দায়ুদের ইদোমে থাকন সময়ে যোয়াল সেনাপতি হত লোকদিগকে কবর দিতে গমন করিয়া ইদোমের সকল পুরুষদিগকে আঘাত করিয়াছিল । ** যাবৎ ইদোমের সকল পুরুষ উচ্ছিন্ন না হয়, তাবৎ কাল অর্থাৎ ছয় মাস পর্যন্ত যোয়াব ও ইস্রায়েলের লোক সকল ইদোমে রহিয়াছিল। ** কিন্তু হদদ ও তাহার সহিত তাহার পিতার ভূত্য কএক ইদোমীয় লোক মিসরে পলায়ন করিয়াছিল ; তখন হদদ ক্ষুদ্র বালক ছিল । * তাহারা মিদিয়নহইতে যাইয়া পারণে গিয়াছিল ; পর পারণহইতে লোকদিগকে সঙ্গে লইয়া মিসরে ফিরেীন রাজার নিকটে উপস্থিত হইলে ফিরেীন তাহাকে এক বাটী ও তাহার আহারার্থে বৃত্তি ও ভূমি নিরূপণ করিয়া দিল । * পরে ছদদ ফিরেীণের সাক্ষাতে অতিশয় অনুগ্রহ পাইলে

348 - ১ রাজাবলি । [১১ অধ্যায় । ফিরেীন আপন ভাৰ্য্য তহপিনেষ রাজ্ঞীর ভগিনীর সহিত তাহার বিবাহ দিলু। ২* অপর তহপিনেষের ভগিনী গিনুবৎ নামে এক পুত্র প্রসব করিলে তহপিনেষ ফিরোণের গৃহে তাহার স্তন্যপান ত্যাগ করাইল, এবং গিনুবৎ ফিরৌধের গৃহে ফিরেীণের পুত্রদের মধ্যে থাকিল। ** পরে দায়ুদ আপন পিতৃলোকদের সহিত মহানিদ্বাগত হইয়াছে ও যোয়াব সেনাপতি মরিয়াছে, এই সমাচার হদদৃ মিসরে শুনিয়া ফিরেীণকে কহিল, আমাকে বিদায় কর, আমি স্বদেশে যাই। তাহাতে ফিরেীন তাহাকে কহিল, আমার এখানে তোমার কিসের অভাব আছে, ষে তুমি স্বদেশে যাইতে বাঞ্ছা কর । সে কহিল, কিছুরই অভাব নাই, তথাপি আমাকে বিদায় কর । * ঈশ্বর সুলেমানের সহিত ইলিয়াদার পুত্ৰ রিষোন্‌ নামক আর এক জনের শজুতা জন্মাইলেন ; সে সোবার রাজা হদদেষর নামক আপন প্রভূর নিকটহইতে পলায়ন করিয়াছিল। ** ফলতঃ ষে সময়ে দায়ুদৃ তাহার স্বদেশীয় লোকদিগকে আঘাত করিল, তৎকালে সে আপনার নিকটে এক দল সৈন্য একত্র করিয়া সেনাপতি হইয়াছিল ; পরে তাহারা দন্মেষকে যাইয়া সেখানে বাস করিয়া দন্মেষকে রাজ্য করিল। ** এই রূপে সুলেমানের তাবৎ বর্তমান সময়ে হি২সাচারি হদ ভিন্ন সেও ইস্রায়েলের শত্রু ছিল, এবং ইসুয়েলকে ঘৃণা করিয় অরামের উপরে রাজল করিল। - -

    • যারবিয়াম্ নামে সুলেমানের এক দাস ছিল ; তাহার পিতার নাম সিরোদ নিবাসি ইফুয়িমীয় নিবাট, কিন্তু সিরীয় নামে তাহার মাতা সে সময়ে বিধবা ছিল ; সেও রাজার বিরুদ্ধে হস্ত বিস্তার করিল। ২* রাজার বিরুদ্ধে তাহার হস্ত বিস্তার করণের বৃত্তান্ত এই সুলেমান মিল্লো নির্মাণ করিতেছিল, ও আপন পিতা দায়দের নগরের ভগ্ন স্থান সারাইতেছিল। ২৮ তখন যারবিয়াম বীর্যবান পুরুষ ছিল, অতএব সুলেমান তাহাকে কর্মে তৎপর যুবা দেখিয়া মূষফবংশীয় কর্মকারকদের অধ্যক্ষ করিয়াছিল। ২• তৎকালে যারবিয়াম এক দিন যিরূশালঙ্কোর বাহিরে বেড়াইলে শীলোনীয় অহির ভবিষ্যদ্বক্ত পথে তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিল ; তখন সে নূতন বস্ত্র পরিহিত ছিল, এবং কেবল তাহার দুই জন ক্ষেত্রে একত্র ছিল । * তাহাতে আহিয় তাহার গাত্রীয় নুতন বস্ত্র ধরিয়া চিরিয়া দ্বাদশ খণ্ড করিয়া ষারবিয়ামকে কহিল, ** ইহার দশ খণ্ড তুমি লও, কেননা ইস্রায়েলের প্রভু পরমে- ' শ্বর এই কথা কহেন, দেখ, আমি সুলেমানের হস্তুহইতে রাজ্য কাড়িয়া লইব, ও তাঁহার মধ্যে