`०१२ গ্রহণ কর। - কিন্তু সে কহিল, আমি যাহার সম্মুখে দণ্ডায়মান আছি, সেই পরমেশ্বর, যদি অমর হন, তবে আমি কিছু গ্ৰহণ করিব না। তাহাতে সে তাহা গ্রহণ করিতে তাহাকে অনেক বিনয় করিল, তথাপি সে অস্বীকার করি’ল । * পরে নামান কহিল, বিনয় করি, দুই অশ্বতরের ভারযোগ্য মৃত্তিক কি তোমার দাসকে দিতে পারা যায় না ? কেনন অদ্যাবধি তোমার দাস পরমেশ্বর ব্যতিরেকে কোন ইতর দেবতার উদ্দেশে হোম কিম্বা বলিদান আর করিবে না। - ৮ কেবল ইহাতে পরমেশ্বর তোমীর দাসকে ক্ষমা করুন ; আমার প্রভু পূজাথে রিন্মোণের মন্দিরে প্রবেশ করণ সময়ে আমার হস্তুে নির্ভর দিলে আমি যদি রিস্মোণের মন্দিরে প্রণাম করি, তবে রিম্মোণের মন্দিরে প্রণাম করণ বিষয়ে পরমেশ্বর আপন দাসকে ক্ষমা করিবেন। তাহাতে ইলীশায় তাহাকে কহিল, তুমি কুশলে যাও। তাহাতে সে প্রস্থান করিয়া কিছু পথ গমন করিল।
- * তখন ঈশ্বরের লোক ইলীশায়ের দাস গেহসি মনে ২ কহিল, আমার প্রভু এই অরামীয় নামানের প্রতি মৃদু প্রযুক্ত তাহার হস্তহইতে তাহার আর্নীত দ্রব্য গ্রহণ করিলেন না ; কিন্তু পরমেশ্বর যদি অমর হন, তবে আমি তাহার পশ্চাৎ ২ দৌড়িয়া তাহাহইতে কিছু লইব । ** পরে গেহসি নামানের পশ্চাৎ গমন করিলে নামান আপন পশ্চাতে তাহাকে দেীড়িতে দেখিয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করণাথে রথ হইতে নামিয়া জিজ্ঞাসিল, কি সকল মঙ্গল ? ২২ তাহাতে সে কহিল, সকল মঙ্গল । আমার প্রভু এই কথা কহিতে আমাকে পাঠাইলেন, এই ক্ষণে ইফুয়িম পৰ্ব্বতহইতে দুই জন শিষ্য ভবিষ্যদ্বক্ত আইল ; আমি বিনয় করি, তাহাদিগকে এক মণ রূপ ও দুই যোড়া বস্ত্র দেও। ২• তাহাতে নামান কহিল, অনুগ্রহ করিয়া দুই মণ রূপা লও। এই রূপে তাহাকে সাধ্যসাধনা করিলে সে দুই যোড় বস্ত্রের সহিত मूझे থৈলীতে দুই মণ রূপ বান্ধিয়া দুই দাসকে দিলে তাহারা অগ্লে ২ বহিয়া চলিল। ** পরে উপপৰ্ব্বতে উপস্থিত হইলে সে তাহাদের হস্তুহইতে তাহ লইয়া গৃহে রাখিল, এবং সেই লোকদিগকে বিদায় করিলে তাহারা চলিয়া গেল। ** পরে গেহfস ভিতরে যাইয় আপন প্রভূর সম্মুখে দাড়াইলে ইলীশায় তাহাকে কহিল, হে গেহসি, তুমি কোথাহইতে আইলা ? সে কহিল, তোমার দাস কোন স্থানে যায় নাই । ** কিন্তু সে তাহাকে কহিল, সেই মানুষ তোমার. সহিত সাক্ষাৎ করিতে রথহইতে
372 ২ রাজাবলি। {ণ্ড অধ্যায়। নামিয়া আইলে আমার মন কি ব্যস্ত হইল ন ? রূপ্য ও বস্ত্র ও জিতবৃক্ষ ও দ্রাক্ষাক্ষেত্র ও মেঘ ও গোরু ও দাস দাসী লইবার সময় কি এই ? অতএব নামানের সেই কুণ্ঠরোগ তোমাতে ও তোমার বৎ শেতে চিরকাল লগ্ন থাকুক। তাহাতে গেহসি বরফের ন্যায় কুষ্ঠগুপ্ত হইয় তাহার নিকটহইতে প্রস্থান করিল। や マエTJT江出 ১ ইলীশায়ের কুড়াfলর কলা ভাসাওন, ৮ ও অরামীয় রাজার পরামর্শ ইস্রায়েল্ রাজাকে জ্ঞাত করণ, ১৩ ও আরামীয় সৈন্যগণকে অন্ধ করণ, ১৯ ও শোমিরোণে তাহাদিগকে লইয়া যাইয়। ভোজন করাইয়া বিদায় করণ, ২৪ ও দুৰ্ভিক্ষ, ২৬ ও শ্ৰীলোকের আপন বালক ভোজন করণ, ৩০ ও ইলীশায়কে বধ করিতে রাজার চেষ্টা করণ ।
- পরে শিষ্য ভবিষ্যদ্বক্তারা ইলীশায়কে কহিল, দেখ, আমরা তোমার গোচরে এই যে স্থানে বাস করিতেছি, সে সঙ্কীণ। " অতএব বিনয় করি, আমরা যদ্দনের কুলে যাইয়া প্রত্যেক জন তথা হইতে এক ২ কড়িকাষ্ঠ লইয়া আপনাদের জন্যে সেই স্থানে বাসস্থান প্রস্তুত করি। তাহাতে সে কহিল, যাও । * পরে আর এক জন কহিল, তুমি অনুগ্রহ করিয়া আপন দাসদের সহিত চল । তাহাতে সে কহিল, আমি যাইব । * সে তাহাদের সহিত গেলে তাহারা যদনের নিকটে উপস্থিত হইয়া কাষ্ঠ ছেদন করিতে লাগিল । " এক জন কড়িকাষ্ঠ ছেদন করিতেছিল, ইতিমধ্যে কুড়ালির ফলা জলে পড়িল, তাহাতে সে উচ্চৈঃস্বরে কহিল, হায় ২ ! হে প্রভো, তাহা ঋ৭বস্তু। * তখন ঈশ্বরের লোক জিজ্ঞাসিল, তাহা কোথায় পড়িল ? পরে সে তাহাকে সেই স্থান দেখাইলে ই লীশায় এক কণ্ঠ কাটিয়া সেই স্থানে ফেলিল, তাহাতে লৌহ ভাসির উঠিল । * তখন ইলীশায় তাহাকে কহিল, তাহা তুলিয়া লও। তাহাতে সে হস্তু বিস্তার করিয়া তাহ তুলিয়া লইল।
৮ সেই সময়ে অরামের রাজা ইস্রায়েল লোকদের সহিত যুদ্ধ করিতেছিল, তাহাতে সে যখন আপন দাসদের সহিত মন্ত্রণা করিয়া কহিত, আমি অমুক ২ স্থানে শিবির স্থাপন করিব, * তখন ঈশ্বরের লোক ইস্রায়েলের রাজার কাছে কহিয়া পাঠাইত, সাবধান, অমুক স্থানের উপেক্ষা করিও না, সে স্থানে অরামীয়ের আমিতেছে । * তা হাতে ঈশ্বরের লোক ষে স্থানের বিষয়ে সমাচার দিয়া সাবধান করিত, সেই স্থানে ইসায়েলের রাজা সৈন্য পাঠাইয় আপনাকে রক্ষা করিত। এমত অনেক বার হইত। ... অতএব এ বিষয়ে অরামের