১৮ অধ্যায় ।] রের রাজা ইসুয়েলীয়দিগকে অশূর দেশে লইয়। যাইয়া হলহে ও গোষন দেশের হাবোর নদীতীরে ও মাদীয়দের নানা নগরে স্থাপন করিল। *২ কেননা তাহারা আপনাদের প্রভু পরমেশ্বরের কথা মানিত না, এবং র্তাহার নিয়ম ও পরমেশ্বরের দাস মূসার আড়া লঙ্ঘন করিত, তাহ শুনিতে কিম্বা পালন করিতে ইচ্ছা করিত না ।
- পরে হিষিক্রয় রাজার অধিকারের চতুৰ্দশ বৎসরে অশূরের সনৃহেরীব রাজা যিহুদার প্রাচীরবেষ্টিত নগর সকলের বিরুদ্ধে আসিয়া তাহা হস্তগত করিল তাহাতে যিহুদার হিষিকয় রাজা লাখীশ নগরে অশূরের রাজার নিকটে এই কথা কহিয়া লোক পাঠাইল, আমি অপরাধ করিলাম, আমার নিকটহইতে ফিরিয়া যাও ; তুমি আমাকে যে দণ্ড দিব, তাহ আমি সহ্য করিব। তাহাতে অশূরের রাজা ধিক্কুদার হিঙ্কিয় রাজার তিন শত মণ রূপা ও ত্রিশ মণ স্বর্ণ দণ্ড নিরূপণ করিল। ** অতএব হিষিকয় পরমেশ্বরের গৃহে ও রাজবাটীর ভাণ্ডারে প্রাপ্ত সকল রূপ। তাহাকে দিল । ** ঐ সময়ে হিষিকয় পরমেশ্বরের মন্দিরের দ্বারের, ও যিহুদার রাজা হিঙ্কিয় যে স্তম্ভ মণ্ডিত করিয়াছিল, তাহারও স্বর্ণ কাটিয়া অশূরের রাজাকে দিল ।
- পরে অশূরীয় রাজা বিস্তুর সৈন্যসামন্তের সহিত তৰ্ত্তনকে ও রবসারীষকে ও রব - শাকিকে লাখীশ নগর হইতে ষিরশালম নগরে হিষিকয় রাজার কাছে প্রেরণ করিলে তাহার যাত্রা করিয়া যিব্ধশালমে উপস্থিত হইল, এব^ আসিয়া উপরিস্থ পুষ্করিণীর প্রণালীতে রজকের ভূমিতে যাওন পথে অবস্থিতি করিল। ’৮ পরে তাহার রাজাকে আহ্বান করিলে হিলকিয়ের পুত্র ইলিয়াকীম নামে রাজবাটীর অধ্যক্ষ ও শিবন লেখক ও আসফের পুত্ৰ যোয়াহ নাম ইতিহাসরচক তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে বাহিরে গেল। ** তাহাতে রবশাকি তাহাদিগকে কহিল, তোমরা হিষিকয়কে এই কথা বল, মহারাজ অর্থাৎ অশূরের রাজা কহেন, তুমি ষে বিশ্বাস করিতেছ, সে কেমন বিশ্বাস তুমি কহিতেছ, সংগ্রাম করিতে আমার মন্ত্রণ ও বল আছে, কিন্তু তাহ শব্দমাত্র; অতএব তুমি কাহাতে ভরসা করিয়৷ আমার অনাজ্ঞাবহ হইলা দেখ, তুমি ঐ ভাঙ্গা নলকুপ যষ্টিতে, অর্থাৎ মিসরেতে বিশ্বাস করিতেছ; কিন্তু যে কেহ তাহাতে নির্ভর দেয়, তাহার হস্ত বিন্ধ হইয়া ক্ষতযুক্ত হয় ; আপন তাবৎ শরণাগতের প্রতি মিস্ট্রীয় ফিরেীণ রাজা তদ্রুপ। * আর
২ রাজাবলি । و سرانه যদি তোমরা বল, আমরা আপন ঈশ্বর যিহোবাতে প্রত্যাশা করি, তবে ( আমি বলি,) হিকিয় যাহার টিকরস্থান ও বেদি সকল দূর করিয়া যিস্থানীয়দিগকে ও ঘিরুশালম্স্থিত লোকদিগকে কহিয়াছে, তোমরা কেবল যিরশালমস্থ এই বেদির নিকটে ভঞ্জন করিব, তিনি কি সে নন ? “ এখনি আমার প্রভু অশূরীয় রাজার সহিত পণ কর, তুমি যদি আরোহক লোক দিতে পার, তবে আমি তোমাকে দুই সহস্ৰ অশ্ব দিব। ২° তাহা না পারিলে কি প্রকারে আমার প্রভুর অতি নীচ দাসগণের মধ্যে এক জন সেনাপতিকে পরাজুখ করিব ? কিন্তু তুমি রথ ও অশ্বের জন্যে মিসরেতে বিশ্বাস করিতেছ। ২৭ আর আমি কি যিহোবার সাহায্য ব্যতিরেকে এ দেশ উচ্ছিন্ন করিতে এখন আইলাম ? তুমি ঐ দেশে গিয়া বিনাশ কর, যিহোবাই আমাকে এই আজ্ঞা দিয়াছেন। ২• তাহাতে হিলকিয়ের পুত্র ইলিয়াকীম ও শিবন ও যোয়াহ রবশাকিকে কহিল, বিনয় করি, আরামীয় ভাষাতে আপনকার দাসদিগকে কহুন, কেননা আমরা তাহ বুঝিতে পারি } প্রাচীরের উপরিস্থ লোকদের কর্ণগোচরে আমাদের প্রতি যিহুদীয় ভাষাতে না কহুন। * রবশাকি উত্তর করিল, আমার প্রভু কি কেবল তোমার রাজাকে ও তোমাকে এই কথা কহিতে আমাকে পাঠাইয়াছেন ? ঐ যে লোকের তোমাদের সহিত আপন ২ বিষ্ঠা ভোজন করিতে ও আপন ২ মূত্র পান করিতে প্রাচীরের উপরে বসিয়া আছে, তাহাদিগকেও কহিতে কি নয় ? ২৮ পরে রবশাকি দাড়াইয়া উচ্চৈঃস্বরে ষিকুর্দীয় ভাষাতে কহিতে লাগিল, তোমর মহারাজের অর্থাৎ অশূরীয় রাজার কথা শুন । ** মহারাজ কহিলেন, তোমাদিগকে ভুলাইতে হিষিকয়কে দিও না, কেননা আমার হস্তহইতে তোমাদিগকে রক্ষা করিতে তাহার সাধ্য নাই। “ এবদ যিহোৱাঃ আমাদিগকে অবশ্য উদ্ধার করিবেন, এই নগর কখনো অশূরীয় রাজার হস্তগত হইবে না, ইহা কহিয়া হিষিকয় যেন তোমাদিগকে পরমেশ্বরে বিশ্বাস না করায় । ** fহষিকয়ের কথা শুনিও না ; কেননা অশূরের রাজা কহেন, তোমরা আমার সঙ্গে সন্ধি করিয়া আমার কাছে আইস ; এব^ প্রত্যেক জন আপন ২ দ্রাক্ষাফল ও ডুম্বুরফল ভোজন কর ও আপন ২ পুধকরিণীর জল পান কর ; ** পরে আমি আসিয়া তোমাদের নিজ দেশের মত শস্য ও দ্রাক্ষারস ও ভক্ষ্য ও দ্রাক্ষাক্ষেত্র ও জিতবৃক্ষ ও তৈল ও মধু বিশিষ্ট কোন দেশে তোমাদিগকে লইয়া যাইব ; তাহ। - 389