৩৯ অধ্যায় ।] হইয় অদুল্লমীয় হীরা নামক বন্ধুর সহিত তিমনাথায় আপন মেষলোমচ্ছেদকদের নিকটে চলিল। ** তখন তোমার শ্বশুর তিমনাথাতে আপন মেষলোম কাটিতে যাইতেছে, এক জন তামরকে এই সমাচার দিল। ** তাহাতে তামর বৈধব্য বস্ত্র ত্যাগ করিয়া আবরক বস্ত্র পরিাধান করিয়া আপনাকে আচ্ছাদন করিয়া তিমনাথার পথের পাশ্বস্থিত ঐনমের প্রবেশস্থানে বসিয়া থাকিল ; কারণ সে দেখিল, শেলা বড় হইলেও তাহার সাইত বিবাহ হইল না।
- তখন যিহুদা তাহাকে দেখিয় বেশ্য জ্ঞান করিল, কেননা সে মুখ আচ্ছাদন করিয়াছিল। ** অতএব সে পথের পাশ্বে তাহার নিকটে গিয়া পুত্রবধূকে চিনিতে না পারাতে কহিল, আইস, আমি তোমাতে উপগত হই ; তাহাতে তামর কহিল, তুমি উপগত হওনের কারণ আমাকে কি দিব ? *? সে কহিল, পালহইতে একটা ছাগবৎস পাঠাইয়া দিব। তামর কহিল, যাবৎ তাহা না দেও, তাবৎ আমাকে কি কোন বন্ধক দিব ? ১৮ যিহুদা কহিল, কি বন্ধক দিব ? তামর কহিল, তোমার এই মোহর ও সুত্র ও
হস্তের যষ্টি। তখন যিহুদী তামরকে সেই সকল | দিয়া তাহাতে উপগত হইলে সে গৰ্ববর্তী হইল। ** অনন্তর তামর উঠিয়া প্রস্থান করিল, এবৎ আবরক বস্ত্র ত্যাগ করিয়া বৈধব্য বস্ত্র পরিধান করিল। ** অপর যিহুদা ঐ স্ত্রীহইতে বন্ধক দ্রব্য লইতে আপন অদুল্লমীয় বন্ধুদ্বার ছাগবৎস পাঠাইয়া দিল, কিন্তু সে তাহার দেখা পাইল না। ২ * অতএব সে তথাকার লোকদিগকে জিজ্ঞাসিল, ঐনমে পথের পাশ্বে যে বেশ্যা থাকে, সে কোথায় ? তাহারা কহিল, এ স্থানে কোন বেশ্য থাকে না । ** পরে সে যিহুদার নিকটে ফিরিয়া গিয়া কহিল, আমি তাহার দেখা পাইলাম না, এবং তথাকার লোকেরাও কহিল, এ স্থানে কোন বেশ্য থাকে ন। ২৩ তখন ষিদ্ভুদ কহিল, তাহার স্থানে যাহা আছে, সে তাহী লউক, আমরা কেন লজ্জাসপদ হইব ? দেখ, আমি ছাগবৎস পাঠাইয়াছিলাম, কিন্তু তুমি তাহার দেখা পাইলা না। ং অপর প্রায় তিন মাসের পরে কেহ যিহদাকে কহিল, তোমার পুত্রবধু তামর ব্যভিচারিণী হইয়াছে, তাহাতে তাহার গৰ্ত্ত হইয়াছে ; তখন যিহুদী কহিল, তাহাকে বাহিরে আনিয়া অগ্নিতে দগ্ধ কর। ২* পরে তাহাকে বাহিরে আনিলে সে শ্বশুরকে কহিয়া পাঠাইল, যাহার এই সকল বস্তু, সেই পুরুষহইতে আমার গৰ্ব হইয়াছে ; আরো কহিল, এই মোহর ও সুত্র ও যষ্টি-কাহার ? তাহা চিনিয়া দেখ। ** তখন আদিপুস্তক। ^లి S যিহুদা সেই সকল বস্তু আপনার স্বীকার করিয়া কহিল, - সে আমাহইতেও অধিক ধৰ্মিষ্ঠা, কেননা আমি তাহাকে আপন শেলা পুত্রকে দিলাম না ; কিন্তু যিহুদা তাহাতে আর উপগত হইল না। • - -. r
- অপর তামরের প্রসবকাল উপস্থিত তাহার উদর হইতে যমজ সন্তান জন্মিল। ২৮ আর তাহার প্রসববেদনা উপস্থিত হইলে এক বালকের হস্ত নিগর্ত হইল ঃ তাহাতে ধাত্রী তাহার সেই হন্তে রক্তবর্ণ সুত্র বাধিয়া কহিল, এই জ্যেষ্ঠ। &* কিন্তু সে আপন হন্ত টানিয়া লইলে তাহার ভুতি ভূমিষ্ঠ হইল ; তখন ধাত্রী কহিল, তুমি কি প্রকারে ভেদ করিয়া আইলা । অতএব তাহার নাম পেরস (ভেদ) হইল। ** পরে হস্তে রক্তবর্ণসুত্রবদ্ধ তাহার ভূতি ভূমিষ্ঠ হইলে তাহার নাম সেরাহ হইল।
৩৯ অধ্যায় । ১ পোটফরের গৃহে যুষফের উন্নতি, ৭ ও পোটীফ রের শ্রী যুষফেতে প্রেমাসক্ত হইয়া আপন অভিপ্রেত্ত না পাইলে মিথ্যা অপবাদদ্বার। তাছাকে ক্যরাগারে বন্ধ করাওন । -
- যুষফ মিসরদেশে আনীত হইলে পর ফিরৌণরাজের এক জন ভূত্য অর্থাৎ মিষ্ট্ৰীয় পোটীফর নামে রক্ষকসৈন্যাধিপতি তথায় আনয়নকারি ইসমায়েলীয় লোকদের হইতে তাহাকে ক্রয় করিয়াছিল। ২ কিন্তু পরমেশ্বরের সহায়তা প্রযুক্ত যুষষ্ণ শুভাম্বিত হইল, ও আপন মিস্ট্রীয় প্রভুর গৃহে বাস করিল। * তাহাতে পরমেশ্বরের সহায়তাতে তাহার কৃত সমস্ত কর্মই সফল হয়, ইহা সেই প্রভু আপনি দেখিল। * অতএব সে তাহাকে অনুগ্রহ করিয়া আপনার সেবাতে নিযুক্ত করিল, এবx আপন বাটীর অধ্যক্ষ করিয়া তাহার হস্তে আপনার সৰ্ব্বস্ব সমপর্ণ করিল। “ এই রূপে যুষফকে আপন বাটীর ও সৰ্ব্বস্বের অধ্যক্ষ করণবিধি যু• ষফের অনুরোধে সেই মিস্ট্রীয় ব্যক্তির বাটীর প্রতি পরমেশ্বরের অনুগ্রহ হওয়াতে বাটীতে ও
| ক্ষেত্রে স্থিত তাহার তাবৎ সম্পদের প্রতি পর মেশ্বরের আশীৰ্ব্বাদ বৰ্ত্তিল । * অতএব সে যুষফের হস্তে আপন সৰ্ব্বস্বের এমত ভার দিল, যে আপনি স্বীয় খাদ্য দ্রব্য ব্যতিরেকে আর কিছুরই অনুসন্ধান করিত না । যুষফ রূপেতে ও সৌন্দর্য্যেতে মনোহর ছিল ; এ কারণ সময়ক্রমে তাহার, প্রভুর ভাষা যুষফের প্রতি দৃষ্টি করিয়া তাহাকে কহিল, তুমি আমার সহিত শয়ন কর । ৮ কিন্তু যুষফ অস্বীকার করিয়া প্রভুর স্ত্রীকে কহিল, দেখ, আমার প্রভু 39