৪২ ঐ ক্ষীণ সাত শীষ সেই উত্তম সাত শীষকে গ্রাস করিল। এই স্বপ্ন আমি মায়াবিদিগকে কহিলাম, কিন্তু কেহ ইহার অর্থ আমাকে কহিতে পারিল না।
- তখন যুষফ ফিরেীণকে উত্তর করল, ফিরোণের দুই স্বপ্ন একই ঈশ্বর যাহা করিতে উদ্যত আছেন, তাহাই ফিরেীণকে জ্ঞাত করিলেন। ২ * ঐ সপ্ত উত্তম গোরু সপ্ত বৎসরস্বরূপ, এবং ঐ সপ্ত উত্তম শীষও সপ্ত বৎসরস্বরূপ ; দুই স্বপ্ন একই। এবং তাছার পশ্চাৎ উঠিয়াছে যে কৃশ ও কুৎসিত সপ্ত গোরু তাহারাও সপ্ত বৎসরস্বরূপ ; এবং পূৰ্ব্বীয় বায়ুতে শুষক যে সপ্ত কৃশ শীষ, তাহারা দুভিক্ষের সপ্ত বৎসরস্বরূপ। ২৮ আমি ফিরেীণকে তাহা কহিয়াছি, ঈশ্বর যাহা করিতে উদ্যত আছেন, তাহ ফিরেীণকে দেখাইলেন। ২ দেখ, অগ্নে সমস্ত মিসরদেশে সপ্ত বৎসর অতিশয় সুভক্ষ্য হইবে। ৩° পশ্চাৎ সপ্ত বৎসর এমত দুর্ভিক্ষ হইবে, যে মিসরদেশে সমস্ত সুভক্ষ্যের বিস্মৃতি হইবে। এবং সেই দুর্ভিক্ষেতে দেশ নষ্ট হইবে । ৩১ এবং সেই পশ্চাদ্বন্তি দুর্ভিক্ষপ্রযুক্ত দেশে পূৰ্ব্বকার সুভক্ষ্যের অনুভব হইবে না ; আর তাহা অতি অসহ্য হইবে। °ং ফিরেণের দুই বার স্বপ্ন দর্শনের ভাব এই ; ঈশ্বর ইহা নিশ্চয় করিয়াছেন, এবং তিনি তাহ শীঘু ঘটাইবেন। ৩৩ অতএব এক বিবেচক জ্ঞানি পুরুষের চেষ্টা করিয়া তাহাকে মিসরদেশের উপরে নিযুক্ত করুন। * আর ফিরেীন এই কর্ম করুন ; দেশে অধ্যক্ষগণ নিযুক্ত করিয়া যে সপ্ত বৎসর সুভক্ষ্য হইবে, সেই সময়ে মিসরদেশহইতে শস্যের পঞ্চমাংশ গ্রহণ করুন। * ফলতঃ তাহারা সেই আগামি উত্তম বৎসরের শস্য সংগ্ৰহ করিয়া ফিরেীণের হস্তে তাহ সঞ্চয় করিয়া প্রতি নগরে খাদ্যের জন্যে রক্ষা করুক। ** এই রূপে মিসরদেশে ভাবি দুর্ভিক্ষের সপ্ত বৎসরের নিমিত্তে দেশের নির্বাহাথে সেই ভক্ষ্য সঞ্চিত থাকিলে দুর্ভিক্ষেতে দেশ নষ্ট হইবে না।
- তখন ফিরেীণের ও তাহার সকল ভূত্যদের দৃষ্টিতে এই কথা উত্তম বোধ হইল। ৩৮ তাহাতে ফিরৌন্ ভূতাদিগকে কহিল, ইহার তুল্য পুরুষ, যাহাতে ঈশ্বরের আত্মা আছেন, এমত আর কাহাকে পাইব । * তখন ফিরেীন যুষফকে কহিল, ঈশ্বর তোমাকে এই সকল জ্ঞাত করিয়াছেন, অতএব তোমার তুল্য বিবেচক ও জ্ঞানী কেহই নাই। “ “ তুমিই আমার বাটীর অধ্যক্ষ হও আমার তাবৎ লোক তোমার কথার বশীভূত থাকবে, কেবল সি হাসনে আমি তোমাহইতে বড় থাবিব। ** ফিরেীন যুষফ.
42 ■ - আদিপুস্তক l [৪১ অধ্যায় । কে আরো কহিল, দেখ, আমি তোমাকে সমস্ত মিসরদেশের উপরে নিযুক্ত করিলাম। " পরে ফিরেীন আপন হস্তুহইতে অঙ্গরীয় খুলিয়। যুষফের হস্তে দিয়া তাহাকে সূক্ষমবস্ত্র পরিধান করাইয়া তাহার গলদেশে সুবর্ণহার দিল। ** এব^ তাহাকে আপনার দ্বিতীয় রথে আরোহণ করাইল, এবং লোকেরা তাহার অগ্লে ২ অবুেক ২ (হাঁটু পাত ২) বলিয়া ঘোষণা করিল। এই রূপে সে । সমস্ত মিসরদেশের অধ্যক্ষপদে নিযুক্ত হইল । ** পরে ফিরেীন যুষফকে কহিল, আমি যদি ফিরেীন হই, তবে তোমার আজ্ঞা বিন সমস্ত: মিসরদেশে কোন লোক হাত পা নাড়িতে পারিবে না। " - এলএ ফিরৌন মূৰফের নাম সাফিনৎ-পানেহ (নিগৃঢ়প্রকাশক) রাখিল। এব^ ওন নগরনিবাসি পোটীফেরঃ নামক যাজকের আসিনৎ নামনী কন্যার সহিত তাহার বিবাহ দিল। পরে যুষফ সমুদয় মিসরদেশে গমনাগমন করিতে লাগিল ।
- যুষফ ত্রিশ বৎসর বয়সের সময়ে মিস্ট্রীয় ফিরোম্রাজের সাক্ষাতে উপস্থিত হইয়াছিল ; পরে যুষফ ফিরেীণের নিকটহইতে প্রস্থান করিয়া মিসর দেশের সর্বত্র ভূমণ করিল। ** পরে সেই সুভক্ষ্যের সপ্ত বৎসর ভূমিতে প্রচুর রূপে শস্য জন্মিল। ৭ ৮ মিসরদেশে উপস্থিত সেই সপ্ত বৎসরে সে সকল শস্য সংগ্ৰহ করিয়া প্রতি নগরে সঞ্চয়, করিল । ফলতঃ যে নগরের চতুঃসীমাতে যে শস্য হইল, সেই নগরে তাহ সঞ্চয় করিল। ** এই রূপে যুষফ সমুদ্রের বালুকার ন্যায় এত বাহুল্যরূপে শস্য সংগ্ৰহ করিল, যে তাহ মাপিতে নিবৃত্ত হইল, কেননা তাহা অপরিমেয় ছিল।
- অপর দুভিক্ষবৎসরের পূৰ্ব্বে যুষফের ঔরসে ওন নগরনিবাসি পোটীফেরঃ যাজকের অrসিনৎ নামনী কন্যাতে দুই পুত্র জন্মিল। * তাহাতে যুষফ তাহাদের জ্যেষ্ঠের নাম মিনশি (বিস্মৃতি) রাখিল, কেননা সে কহিল, ঈশ্বর আমার সকল ক্লেশের ও নিজ পিতৃগৃহের বিস্মৃতি জন্মাইয়াছেন। ** এবং দ্বিতীয় পূত্রের নাম ইফুয়িমু (ফলবান ) রাখিল, কেননা সে কহিল, আমার দুঃখভোগের দেশে ঈশ্বর অামাকে ফলবান করিয়াছেন।
- পরে মিসরদেশে ঘটিত সুভক্ষ্যের সপ্ত বৎসরের শেষ হইলে যুষফের বাক্যানুসারে मूভিক্ষের সপ্ত বৎসরের আরম্ভ হইল। * ° তাহাতে অন্য সমস্ত দেশে দুর্ভিক্ষ হইল, কিন্তু সমস্ত মিসরদেশে ভক্ষ্য ছিল। ** পরে সমন্ত মিসরদেশে দুভিক্ষ ঘটিলে প্রজাবৰ্গ ফিরোণের নিকটে ভক্ষ্যের জন্যে প্রার্থনা করিল ; তাহাতে