& 8 ১২ কিন্তু ইস্রায়েল বখশ তাহীদের দ্বারা যত ক্লেশ পাইল, তত বৃদ্ধি ও উন্নতি পাইতে লাগিল; অতএব ইস্রায়েল বংশের জন্যে অতিশয় উদ্বিগ্ন হওয়াতে ৩ মিস্ট্রীয় লোকেরা নিৰ্দ্দয়ত তান হাদিগকে দাস্যকর্ম করাইয়1 ** কদম ও ইষ্টক ও ক্ষেত্রের সমস্ত কর্ম প্রভূতি কঠিন দাস্যকর্মদ্বারা তাহাদের প্রাণ বিরক্ত করিতে লাগিল । তাহারা তাহাদের দ্বারা যে ২ দাস্যকর্ম করাইত, সে সমস্ত অতিশয় নিৰ্দ্দয়ত৷ পূৰ্ব্বক করাইত।
- পরে মিস্ট্রীয় রাজা ইন্দ্রীয় বংশের শিষ্ণু নামে ও পূয়া নামে ধাত্রীদিগকে ডাকিয় - এই কথা কহিল, যে সময়ে তোমরা ইব্রীয় স্ত্রীদের ধাত্রীকার্য্য করিবা, তৎকালে তাহাদের সন্তানগণের কোষ দেখিবা ; তাহাতে যদি পুত্রসন্তান হয়, তবে তাহাকে বধ করিবা ; আর যদি কন্যা হয়, তবে তাহাকে জীবৎ রাখিবা । *? কিন্তু ঐ ধাত্রীরা ঈশ্বরের প্রতি ভয় রাখিয়া মিস্ট্রীয় রাজার অডিানুসারে না করিয়া পুত্রসন্তানগণকে জীবৎ রাখিতে লাগিল। ১৮ অতএব মিসরের রাজা সেই ধাত্রীদিগকে ডাকাইয়া কহিল, তোমর। এমত কর্ম কেন করিতেছ ? পুত্রসন্তানগণকে কেন জীবৎ রাখিতেছ ? ** তাহাতে ধাত্রীরা ফিরেীণকে উত্তর করিল, ইৰ্বীয়দের স্ত্রীগণ মিস্ট্রীয়দের স্ত্রীদের ন্যায় নহে ; তাহার বলবতী, তাহাদের কাছে ধাত্রীর আগমনের পূৰ্ব্বেই তাহারা প্রসব করে। ২° অতএব ঈশ্বর ঐ ধাত্রীদের মঙ্গল করিলেন ; তাহাতে লোকের। অত্যন্ত বৃদ্ধি পাইয়া অতিশয় বলবান হইল। * - সেই ধাত্রীদিগের ঈশ্বরেতে ভয় করণ প্রযুক্ত তিনি তাহাদেরও বংশ বৃদ্ধি করিলেন।
- পরে ফিরৌন আপনার সকল লোককে এই আজ্ঞা দিল, তোমরা নবজাত প্রত্যেক পুত্রসন্তানকে নদীতে নিক্ষেপ করিবা, কিন্তু প্রত্যেক কন্যাকে জীবং রাখিবা ।
২ অধ্যায়। ১ মূসার জন্মের এবং নদীর নিকটে পেটরাতে থাকলের বিবরণ, ৫ ও ফিরেীণের কন্যাদ্বারা গৃহীত হওন, ১১ ও মুসকির্তৃক এক মিশ্রীয় লোকের বধ, ১৫ ও ফিরেীণের ক্রোধ প্রযুক্ত মিদিয়নদেশে পলায়ন করণ, ২৩ ও ইস্রায়েল লোকদের প্রতি ঈশ্বরের দয়া ।
- অনন্তর লেবি বংশজাত এক মনুষ্য লেবি ব^
ণের এক কন্যাকে বিবাহ করিলে ং সে স্ত্রী গৰ্ত্ত ধারণ করিয়া পুত্র প্রসব করিল, এবং বালক কে অতি সুন্দর দেখিয় তিন মাস পর্যন্ত তা হাকে গোপনে রাখিল । * পরে আর গোপন করিতে না পারাতে সে এক নলনির্মিত পে 54 যাত্রাপুস্তক l [২ অধ্যায়। টরা লইয়া শিলাজতু ও আলকাতর। লেপন করিয়া তাহীর মধ্যে ঐ বালককে রাখিয়া নদীতীরস্থ নলবনে স্থাপন করিল। ° এব^ তাহার কি দশা ঘটে, তাহ দেখিতে তাহার ভগিনী দূরে দাড়াইয়া রহিল।
- পরে ফিরেীণের কন্যা স্নানার্থে নদীতে আইলে তাহার দাসীগণ নদীতীরে বেড়াইতেছিল ; ইতোমধ্যে সে নলবনে ঐ পেটরা দেখিয়া আপন দাসীকে পাঠাইয়। তাহা আনাইল । * পরে পেটরা খুলিয়। সেই বালককে দেখিল, তৎকালে বালক ফ্রন্দন করিতেছিল ; তাহাতে সে দয়ান্বিত হইয়া কহিল, এ ইব্রীয়দের এক বালক। * তখন তাহার ভগিনী ফিরেীণের কন্যাকে কহিল, তোমার নিমিত্তে এই বালককে দুগ্ধপান করাইতে আমি যাইয়া কি দুগ্ধবতী এক ইব্রীয় স্ত্রীকে ডাকিয়া আনিব ? ৮ তাহাতে ফিরেণের কন্যা কহিল, যাও। তখন সে কন্যা যাইয়া ঐ বালকের মাতাকে ডাকিয়া আনিল । * তখন ফিরেীণের কন্যা তাহাকে কহিল, ভূমি এই বালককে লইয়া আমার নিমিত্তে দুগ্ধপান করাও ; আমি তোমার বেতন দিব । তাহাতে সে স্ত্রী বালককে লইয়া দুগ্ধপান করাইল । ** পরে বালক বড় হইলে সে তাহাকে লইয়া ফিরেীণের কন্যাকে দিল ; তাহাতে বালক তাহারি পুত্ৰ হইল ; তখন সে তাহার নাম মূসা (আকর্ষিত) রাখিল, কেননা সে কহিল, আমি জলহইতে ইহাকে আকর্ষণ করিলাম ।
- কালক্রমে মূসা বড় হইয়া এক দিন আপন ভাতৃগণের নিকটে গিয়া তাহাদিগকে ভার বহনে ক্লিষ্ট দেখিল ; বিশেষতঃ এক জন মিস্ত্রী তাহার ভাতৃগণের মধ্যে এক ইব্রিকে মারিতেছে, ইহা দেখিল। ** অতএব সে এ দিগে ও দিগে চাহিয়া কাহাকেও দেখিতে না পাওয়াতে ঐ মিস্ট্রীয়কে বধ করিয়া বালুকামধ্যে পুঁতিয়া রাখিল। ** অপর দ্বিতীয় দিবসে বাহিরে গেলে সে দুই জন ইব্রিকে পরসপর বিরোধ করিতে দেখিয়া দোষি ব্যক্তিকে কহিল, তুমি আপন ভাতাকে কেন মারিতেছ ? ** তাহাতে সে কহিল, তোকে শাস্তা ও বিচার কৰা করিয়া আমাদের উপরে কে নিযুক্ত করিয়াছে ? তুই যেমন সেই মিস্ট্রীয় লোককে বধ করিলি, তদ্রুপ কি আমাকেও বধ করিতে চাহিম ? তাহাতে মূসা ভীত হইয়া কহিল, ঐ কথা অবশ্য প্রকাশ হইয়াছে।
- পরে ফিরেীন ঐ কথা শুনিয়া মূসাকে বধ করিতে চেষ্টা করিল। অতএব মূসা ফিরেীণের সন্মুখহইতে পলায়ন করিয়া মিদিয়নদেশে বাস করিতে গিয়া এক কুপের নিকটে বসিল। ** অনন্তর মিদিয়নীয় যাজকের সাত কন্যা সেই স্থানে