শু ২ সেফটিক প্রযুক্ত মায়াবির মূসার সম্মুখে দাড়াইতে পারিল না, কারণ মায়াবি প্রভূতি সকল মিস্ট্রীয় লোকের গাত্রে সেফাটক জন্মিল। **তথাপি পরমেশ্বর ফিরেীণের অন্তঃকরণ কঠিন করিলে সে মূসার উক্ত পরমেশ্বরের বাক্যানুসারে তাহাদের কথাতে মনোযোগ করিল না।
- পরে পরমেশ্বর মূসাকে কহিলেন, তুমি প্রত্যুষে উঠিয় ফিরেীণের সম্মুখে দাড়াইয়া তাহাকে এই কথা কহ, ইরিদের প্রভু পরমেশ্বর কহেন, আমার সেবা করিতে তুমি আমার প্রজাদিগকে ছাড়িয়া দেও ; ** নতুবা এই বার আমি তোমার অন্তঃকরণের বিরুদ্ধে এবং তোমার দাসগণের ও প্রজাদের উপরে আমার সৰ্ব্বপ্রকার দণ্ডাঘাত প্রেরণ করিব ; তাহাতে তাবৎ জগতে আমার তুল্য কেহ নাই, ইহা তুমি জ্ঞাত হইব। * কেননা ইহার পূৰ্ব্বে আমি আপন হস্ত বিস্তার করিয়া মহামারীদ্বারা তোমাকে ও তোমার প্রজাদিগকে দণ্ড দিতে পারিতাম , তাহা করিলে তুমি পৃথিবীহইতে উচ্ছিন্ন হইত। - কিন্তু আমি সত্য কহিতেছি, তোমাদ্বারা নিজ পরাক্রম দেখাইতে ও সমস্ত পৃথিবীতে আপন নাম প্রকাশ করিতে, এতন্নিমিত্তেই তোমাকে স্থাপন করিলাম। ১৭ এখনও তুমি আমার প্রজাগণের প্রতি অভিমান করিয়া তাহাদিগকে ছাড়িয়া দিতে অসম্মত আছ। ১৮ দেখ, কল্য এই সময়ে আমি মিসরদেশে এমত ভারি শিলাবৃষ্টি করিব, যে মিসরের পত্তনাবধি অদ্য পর্যন্ত এতাদৃশ কখনো হয় নাই। • • অতএব তুমি এখন লোক প্রেরণ করিয়া ক্ষেত্রে তোমার পশু প্রভূতি যাহা আছে, তাহা একত্র কর ; কেননা যে মনুষ্য ও পশু গৃহে আনীত না হইয় ক্ষেত্রে থাকিবে, তাহাদৈর উপরে শিলাবৃষ্টি হইলে তাহারা প্রাণত্যাগ করিবে। ই * তখন ফিরেীণের দাসগণের মধ্যে যে কেহ পরমেশ্বরের কথাতে ভীত ছিল, সে শীঘু আপন দাস ও পশুগণকে গৃহে আনিল। ২ ১ কিন্তু যে কেহ পরমেশ্বরের বাক্যেতে আমনোযোগী, সে আপিন দাস ও পশুদিগকে ক্ষেত্রে ত্যাগ করিল।
, ২২ পরে পরমেশ্বর মূসাকে কহিলেন, তুমি আকাশের দিগে অাপন হস্ত বিস্তার করা, তাহাতে মিসরদেশের সর্বত্র ক্ষেত্রস্থ মনুষ্য ও পশু ও তৃণ সকলের উপরে শিলাবৃষ্টি হইবে। ং ও পরে মূসা আপন যষ্টি আকাশের দিগে বিস্তার করিলে পরমেশ্বর মেঘগৰ্জ্জন ও শিলাবৃষ্টি করিলেন, এবং বিদ্যুৎ ভূমির উপরে বেগে গমন করিল ; এই রূপে পরমেশ্বর : fমসরদেশে শিলাবৃটি করিলেন। ২• তাহাতে শিলার সহিত মিশ্রিত অগ্নিবৃষ্টিও হইলে তাহা অতি দুঃসহ 62 যাত্রাপুস্তক l [১০ অধ্যায়। হইল ; এরূপ শিলাবৃষ্টি মিসরদেশে রাজ্য স্থাপনাবধি কখনো হয় নাই। ২৭ তাহাতে তাবৎ মিসরদেশের ক্ষেত্রস্থ মনুষ্য ও পশু সকলেই শিলাদ্বারা হত হইল, ও ক্ষেত্রের সকল তুণ শিলাবৃষ্টির দ্বারা নষ্ট হইল, ও ক্ষেত্রের সকল বৃক্ষ ভগ্ন হইল। ২২ কিন্তু ইসুয়েল বংশের বাসস্থান গোশন প্রদেশে শিলাবৃষ্টি হইল না।
- পরে ফিরেীন লোক প্রেরণ করিয়া মূসাকে ও হারোণকে ডাকাইয়া কহিল, এই বার আমি পাপ করিলাম ; পরমেশ্বর নিদোষ, কিন্তু আমি ও আমার লোকেরা দোষী। ২৮ তোমরা পরমেশ্বরের কাছে প্রার্থনা কর। অধিক মেঘগৰ্জ্জনে ও শিলাবৃষ্টিতে কি প্রয়োজন ? আমি তোমাদিগকে ছাড়িয়া দিব, তোমাদের আর বিলম্ব হইবে না। * তখন মুসা তাহাকে কহিল, আমি নগর হইতে বহির্গমনকালে পরমেশ্বরের প্রতি আপন হস্ত বিস্তার করিব, তাহাতে মেঘগৰ্জ্জন নিবৃত্ত হইবে ও শিলাবৃষ্টি আর হইবে না ; এবং এই পৃথিবী পরমেশ্বরের, তাহ তুমি জ্ঞাত হইবা৷ ” কিন্তু তুমি ও তোমার দাসগণ তোমরা এখনও প্রভু পরমেশ্বরহইতে ভীত নও, তাহা অামি জানি i ** মশিন ও যব সকলি নষ্ট হইল, কেননা যব শীর্ষযুক্ত ও মশিনা পুপিত ছিল। ৩২ কিন্তু গোম ও জনরা বড় না হওয়াতে নষ্ট হইল না। ** পরে মূসা ফিরেীণের নিকটহইতে নগরের বাহিরে গিয়া পরমেশ্বরের প্রতি আপন, হস্ত বিস্তার করিলে মেঘগম্ভজন ও শিলাপাত নিবৃত্ত হইল, এব^ ভূমিতে আর বৃষ্টি হইল না। " তখন বৃষ্টি ও শিলাপাত ও মেঘগজ্জন নিবৃত্ত দেখিয় ফিরেীন আরো পাপ করিল, ফলতঃ সে ও তাহার দাসগণ আপন ২ অন্তঃকরণ কঠিন করিল ও মুলার উক্ত পরমেশ্বরের বাক্যানুসারে ফিরোণের অন্তঃকরণ কঠিন হওয়াতে যে ইসায়েল বংশকে যাইতে দিল না ।
১ ০ অধ্যায়। ১ পঙ্গপালের কথা, ৭ ও ফিরেীণের প্রতি দাসগনের ' কথা, ১২ ও পঙ্গপালের আগমন, ১৬ ও মলায় প্রতি ফিরেীণের নিবেদন, ২ ১ ও ঘোর অন্ধকারের কথা, ২৪ ও মুসার প্রতি ফিরেীণের শেষকথা ।
- পরে পরমেশ্বর মূসাকে কহিলেন, তুমি কিরৌণের নিকটে যাও ; আমি যেন এই লোকদের মধ্যে আপন চিহ্ন, প্রকাশ করি, এই জন্যে ফিরেীণের ও-তান্থার দাসগণের অন্তঃকরণ কঠিন করিলাম। * তাহাতে আমি মিসরেতে যে ২ কর্ম ও তাহদের মধ্যে যে ২ চিহ্ন করিয়াছি, তাহ তোমরা আপন পুত্র, ও পৌত্রের কণে কহিবা,