পাতা:ধর্ম্মপূজা-বিধান.djvu/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छूबिक ఇ ভূকীস্তান, চীন, পরে চীন হইতে কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া, জাপান প্রভৃতি দেশে বিস্তৃত হইয়া পড়ে। এমন কি, কালচক্রতন্ত্রের টীকা বিমলপ্ৰভ হইতে জানা ধায় যে, নল (Nile) নদীর তীরে ও । রুস্ক-দেশভাষায় সদ্ধৰ্ম্মের প্রচার হয় । সত্য সত্যই বুদ্ধদেবের গুগ্মে জগতে এক মহাবিপ্লব ঘটিয়াছিল। প্রাচীন মানব-সমাজে মামুষের গড়া কোন ধৰ্ম্মেরক্ট অস্তিত্ব ছিল না। ’ আমাদের যেমন ‘অপৌরুষেয় বেদ—তেমনই পুরাকালে সকল লোক-সমাজেই, আকাশমণ্ডলে অনন্ত গ্রহ-নক্ষত্রের মত, অনন্ত । সংস্কারপুঞ্জ, আপন আপনি ফুটিয়া উঠিয়া সমস্ত অন্ধকার দূর করিয়া দিত, মহা জীবনসমস্তার সমাধান করিয়া দিত ; ত সে সমাধান সর্প ব্যান্ত্রের পূজাতেই হউক, কি প্রকৃতির শক্তিবিশেষের স্তবস্তোত্রেই হউক। সৰ্ব্ব প্রম বুদ্ধদেব আসিয়া জগতের এক দিকে প্রাচীন কালের এই সংস্কারসম্পত্তি চূৰ্ণবিচূর্ণ করিয়া দিলেন, জগৎ নূতন করিয়া গড়িলেন। অন্ত দিকেও আবার বুদ্ধদেবের পর, আরও দুইটি পুরুষ ( যিশুখ্ৰীষ্ট ও মহম্মদ ) উঠিয় তাহাই করিয়া গেলেন। জগৎ গুভাজু (যাহার গুরু ভজনা করে) হইয় গেল। কেবল কি জানি কেন, এই ভাঙ্গাগড়ার মধ্যে ভারতের আর্য্যসমাজ আজিও সেই পুরাকালের অপৌরুষেয় সনাতন ধৰ্ম্ম ধারণ করিয়া বর্তমান। যাহা হোক, এই অৰ্দ্ধজগদ্বব্যাপী মহাবিপ্লবের মধ্যে আমাদের এই ক্ষুদ্র ধৰ্ম্মপূজাবিধানের স্থান কোথায়–নির্ণয় করিতে হইবে। স্তরের পর স্তর ৰৌদ্ধসাহিত্য আলোচনা করিয়া দেখিব, কোথায় কিরূপে সম্বর্ণের মধ্যে পূজাপাঠের স্বত্রপাত হইল, কিরূপেই বা তাহার আমাদের এই ধৰ্ম্মপূজাতে অবসান হইল। .