পাতা:ধর্ম্মপূজা-বিধান.djvu/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ye ধৰ্ম্মপূজা-বিধান । 0 । প্রথম স্তর বৌদ্ধধর্মের মধ্যে পূজাপাঠ কোথা হইতে আসিল ? বুদ্ধদেবের নিজ মুখের কথা কি, জানা যায় না। সে বিষয়ে কোন লেখাপড়াই নাই। লেখাপড়ায় প্রথম আমরা পাই, বিশ্বপূজ্য শাক্যসিংহের বিশ্বপূজ্য শিষ্য অশোকরাজার শিলালিপিগুলি। তাহাতে ত ধৰ্ম্ম বলিতে যাঙ্গ বুঝি, সে সম্বন্ধে ত বিশেষ কোন কথা নাই। তাহাতে কেবল দয়াদাক্ষিণ্যের কথা, আর ত্রিরত্নশরণের ব্যবস্থা । লেখাপড়ায় প্রথম বৌদ্ধধৰ্ম্মের কথা পালিভাষায় সিংহলের ত্রিপিটক শাস্ত্রেই পাওয়া যায়। অশোক রাজার উদ্যোগে ত্যিমোগগলিপুত্তের অধীনে পাটলিপুত্রে বৌদ্ধ মহাসভার যে বৈঠক হয়, তাহারই সিদ্ধান্ত লইয়া এই ত্রিপিটক শাস্ত্র গঠিত হয়। ত্রিপিটকে মহাসভার সিদ্ধান্তগুলি ঠিক থাকিলেও ভাষায় ত তাহার অনেক পরিবর্তন হইয়াছে। পালি অশোকের অন্ততঃ ২০০ বৎসর পরের ভাষা। তাহ হইলে বুদ্ধদেবের ৫০০ বৎসর পর, আমরা প্রথম র্তাহার যে ধৰ্ম্মের কথা শুনি, তাহাতে ত পূজাপাঠের কোন বিষয়ই নাই। - বুদ্ধদেব ইজ, অগ্নি, বরুণ প্রভৃতি দেবতাগণের অস্তিত্ব অস্বীকার করিলেন না ; কিন্তু বলিলেন–র্তাহার সহিত র্তাহাদের কোন সম্পর্কই নাই। বৈদিক ধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে তিনি কথাটি কহিলেন না । ব্রাহ্মণের যাগযজ্ঞে দেবতাগণকে প্রসন্ন করিয়া যাহা ধাহা লাভ করেন, সকলই তাহার চক্ষে অকিঞ্চিৎকর। মানুষের জীবনে কোন দেবতার কোন হাত নাই। তিনি দ্বাদশ নিদানের ব্যাখ্যা করিয়া দেখাইলেন, এ সংসার এক কারণপরম্পরার উপর প্রতিষ্ঠিত।