পাতা:ধর্ম্মপূজা-বিধান.djvu/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ンゲ ধৰ্ম্মপূজা-বিধান দেশের দেবদেবী বা ভূতপ্রেতের পূজা করে, এ দেশেও এক দিন সেইরূপ পূজা চলিত। তখন কোন এক উচ্ছখল মানব-সমাজে পড়িয়া, তাহাদের উপাস্য "দেবগ”দের সহিত মিশিয়া, গিয়া, তথাগতও বিকৃত হইয়া গেলেন। এই ঘোর বিকারের মধ্যেই নানা বৌদ্ধতন্ত্রের উৎপত্তি—মন্ত্রধান, বজ্রযান, কালচক্র্যাম। ইহাদের সাধারণ নাম ‘সহজামায়' । ইহার অতীঞ্জিয়ের কোন ধারই ধারে না। যে ইন্দ্রিয়গণের সহিত মানুষের উৎপত্তি—যাহা লইয়াই মানুষ-যাহ। সহজ-মেই ইঞ্জিয়ের ভোগ-যত রকমে পার, করিতে থাক, মুক্তি মিলিবেই। আর চাই কি ? বীভৎস রস উপভোগের ক্ষমতা রাখেন ত এই সকল তন্ত্ৰ পড়িয়া দেখুন। আপনারা, মালতীমাধব ও প্রবোধচন্দ্রোদয় নাটকে “বৌদ্ধপাষণ্ড” বা এই সময়ের বিকৃত বৌদ্ধদিগের বীভৎস কাও কতক দেখিয়াছেন। তাহাদের কত রকমের তুম্ব-কত রকমের মন্ত্ৰ—কত রকমের গান-কক্ত রকমের গাথাই ধে আছে বলিয়া পুথি বাড়াইতে চাহি না । শীঘ্রই পূজ্যপাদ মহামহোপাধ্যায় ত্রযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয়ের বৌদ্ধতন্ত্রগ্রন্থের বিবরণ বাহির হইবে, পড়িয়া দেখিবেন। এখন আমাদের দ্রষ্টব্য, কোন দেশে পড়িয়া অনাৰ্য্য-সঙ্গমে তথাগত এরূপ বিকারগ্রস্ত হইলেন। । ৯। বৌদ্ধতন্ত্রের উৎপত্তিস্থান-নির্ণয় সকলেই জানেন, আর্য্যগণ যে দিক্ দিয়া গিয়াছেন—সে দিকের লোক আর রাখেন নাই ; হয় তাহাদিগকে উচ্ছেদ করিয়াছেন, নয় ত তাহাদের স্বতন্ত্রতা একেবারে লোপ করিয়া দিয়া আপনাদের