পাতা:ধর্ম্মপূজা-বিধান.djvu/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छूभिक ૨ છે দক্ষিণে উড়িষ্যার মহানদীর ধার পর্য্যন্ত আসিয়াছিলেন ; কিন্তু পূৰ্ব্বদিকে আর অগ্রসর হইতেই পারিলেন না। এ দিকেও শিক্ষু নদ বাছিয়া আর্য্যগণ দক্ষিণে গুজরাট পৰ্য্যস্ত আসিলেন । কিন্তু বিন্ধ্যাচল তাঙ্কাদের গতিরোধ করিল। রামায়ণ পড়িয়া বিন্ধ্য পৰ্ব্বতের দক্ষিণে রাক্ষসদের কথা সকলেষ্ট জানেন । আর্য্যগণ বিন্ধ্যাচলের দক্ষিণের লোকের স্থায় বাঙ্গলার লোকদেরও মানুষের মধ্যেই গণনা করিতেন না ; তাহাদের ভাষা পাখীর কিচিরমিচির বলিয়া বর্ণনা করিতেন । যাহা হোক, বাঙ্গলার বহু পূৰ্ব্বে দাক্ষিণাত্যে আর্য্যপ্রভাব বিস্তৃত হইতে থাকে—অগস্ত্যই তাহার মূলাধার; কিন্তু বাঙ্গলার আর্য-ইতিহাস অন্ধকারাচ্ছন্ন। আর্য্য-চক্ষুর অন্তরালে, পৃথিবীর চক্ষুর অন্তরালে, বদলায় যে কি হইতেছিল, আজও জানা যায় না । শ্ৰীহৰ্ষদেবের সময়, যখন ইউয়েনচীপ ভারত-ভ্রমণে আসেন—সেই সময়, মাত্র ১৪০০ বৎসর পূৰ্ব্বে, সৰ্ব্বপ্রথম বিদ্যুৎফুরণের স্তায় চকিতের মত বাঙ্গলায় সামান্ত আলোক দেখা গেল—শশাঙ্কদেব তখন কর্ণসুবর্ণের রাজা । তার পর আবার যে অণধার, সেই আঁধার। ক্রহর্ষের ১০ বৎসর পরে আবার বাজলার কথা শুনা গেল—তখন কুমারিল ও র্তাহার শিষ্যগণ দেশ ব্যাপিয়া ব্রাহ্মণ্যধৰ্ম্মের তরঙ্গ তুলিয়া দিয়াছেন। তরঙ্গ বাঙ্গল পৰ্য্যন্ত পৌছিয়াছে। তখন বাঙ্গলায় পঞ্চ ব্রাহ্মণ আসিয়া তাহাঙ্গেয় কাৰ্য্য আরম্ভ করিয়া দিয়াছেন । এই ত হইল বাঙ্গলার অবস্থা। এখন রাশি রাশি তালপাতায় বাঙ্গল অক্ষরে বাঙ্গলায় বসিয়া লেখা বৌদ্ধপুথিরুসন্ধান পাওয়া গেল।