পাতা:ধর্ম্মপূজা-বিধান.djvu/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रै २ ধৰ্ম্মপূজা-বিধান আমাদের সোসাইটতে হাজার বৎসরের পুরাণ একখানি বৌদ্ধতন্ত্রের পুথি আছে। পুথিখানি হরিবল্মদেবের রাজত্বের সময় লেখা হয় । আরও সন্ধান পাওয়া গিয়াছে, ৯০০ বৎসর পূৰ্ব্বে দীপঙ্কর প্রজ্ঞান ও অভয়াকরগুপ্ত প্রভৃতি কত কত বাঙ্গলার বৌদ্ধ পণ্ডিত, তিব্বতে নিজে গিয়া বা মিশন পাঠাইয়া, তিব্বতের ভাষা বৌদ্ধ গ্রন্থ তর্জম of I, AfS GT for CS “Grossly idolatrous Boodhism" চলিতেছে, তাহারই প্রচার করেন ; এই সব দেখিয়া শুনিয়া আপনারাই বলুন, কি মনে হয় ? - বিন্ধ্যাচলের দক্ষিণাঞ্চলে ভাল করিয়া সন্ধান হয় নাই। সেখানেও, মৃচ্ছকটিক পড়িয়া, কাঞ্চীতে দিঙনাগের মত পণ্ডিতকে দেখিয়া, মালতীমাধবের কাপালিকদের দেখিয়া ও চালুক্যদের ইতিহাস আলোচনা করিয়া, যথেষ্ট বৌদ্ধপ্রভাবের প্রমাণ পাওয়া যায়। ফিপ্ত পুথি-পাঁজি না পাওয়া পৰ্য্যস্ত কোন কথা বলা চলে না। তাহা হইলে যত দূর জানা যায়, বাঙ্গল দেশেই অনাৰ্য্য-সঙ্গমে বুদ্ধদেবের চরম অধোগতি হয়। এইখানেই বুদ্ধদেব “নৈরাত্মা দেবীর সহিত শূন্তে বাপ দিয়া, করুণায় "দ্রব” হইয়া গেলেন। ক্রমশঃ সনাতন ধৰ্ম্ম প্রবল হইয়া উঠিয় তাহার দল গ্রাস করিতে লাগিল। সত্য সত্যই এইবার বুদ্ধদেব শূন্ত-সাগরে ঝাপ দিলেন, তিনি কোথায় মিশিয়া গেলেন, খুজিয়া পাওয়া যায় না ; কিন্তু তাহার করুণ রহিয়া গেল। শূন্তত করুণাভিা—শুন্ততারও শেষ নাই, তাহার করুণারও শেষ নাই।