পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృ6 \ల ধৰ্ম্মবিজ্ঞান । অদ্বৈত মতে এই সমস্ত বিভিন্নপ্রকার স্বৰ্গনরকের এবং আমরা সকল ধৰ্ম্মে যে নানাবিধ ভাব দেখিতে পাই, এ সকলের কিরূপে ব্যাখ্যা করে ? যখন মানুষের মৃত্যু হয়, কথিত হইয়া থাকে যে, সে স্বগে বা নরকে যায়, এখানে ওখানে নানাস্থানে যায় অথবা স্বগে বা অন্য কোন লোকে দেহধারণ করিয়া জন্মপরিগ্রহ করে। অদ্বৈতবাদী বলেন, এ সমুদয়ই ভ্রম। প্রকৃতপক্ষে কেহই জন্মায়ও না, মরেও না । স্বৰ্গও নাই, নরকও নাই অথবা ইহলোকও নাই। এই তিনটীরই কোন কালেই অস্তিত্ব নাই । একটা ছেলেকে অনেক ভূতের গল্প বলিয়া সন্ধ্যাবেল তাহাকে বাহিরে যাইতে বল। একটা স্থাণু রহিয়াছে। বালক কি দেখে ? সে দেখে—একটা ভূত হাত বাড়াইয়া তাহাকে ধরিতে আসিতেছে। মনে করুন, একজন প্রণয়ী রাস্তার এক কোণ হইতে তাহার প্রণয়িনীর সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিতেছে—সে সেই স্থাপুটাকে তাহার প্রণয়িনী মনে করে। একজন পাহারাওয়ালা উহাকে চোর বলিয়া মনে করিবে, আবার চোর উহাকে পাহারাওয়াল ঠাওরাইবে । সেই একই স্থাণু বিভিন্নরূপে দৃষ্ট হইতেছে। স্থাণুটাই সত্য আর এই যে বিভিন্নভাবে উহার দর্শন— তাহা কেবল নানাপ্রকার মনের বিকার মাত্র। একমাত্র পুরুষ— এই আত্মাই আছেন। তিনি কোথাও যানও না, আসেনও না। অজ্ঞান মানব স্বৰ্গ বা তথাবিধ স্থানে যাইবার বাসনা করে, সারা জীবন সে কেবল ক্রমাগত উহারই চিন্তা করিয়াছে । এই পৃথিবীর স্বপ্ন যখন তাহার চলিয়া যায়, তখন সে এই জগৎকেই