পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় । ">8○ SAASAASAASAAeAMAeAAA AAASS SAASASAAAAASAAAA ^^^^^అసా~్స سینما حیاتیحیی بستگی به سیسی = --سمیہ۔ ঈশ্বরও অনন্ত, জীবাত্মাও অনন্ত এবং প্রকৃতিও অনন্ত, তবে এইরূপ অনন্তের সংখ্যা আপনি যত ইচ্ছা বাড়াইতে পারেন, কিন্তু এইরূপ অনেকগুলি অনন্ত কল্পনা করা যুক্তিবিরুদ্ধ ; কারণ, এই ‘অনন্ত’গুলি পরস্পর পরস্পরের সঙ্কোচ করিয়া প্রত্যেককেই সসীম করিয়া তুলিবে, প্রকৃতপক্ষে অনন্ত বলিয়া কিছু থাকিবে না । অতএব ই হাদের সিদ্ধান্ত এই যে, ঈশ্বরই জগতের নিমিত্ত ও উপাদান কারণ ; তিনি নিজের ভিতর হইতে এই জগৎ বাহির করিয়াছেন। ইহার অর্থ কি ঈশ্বরই এই দেয়াল, এই টেবিল, এই পশু, হত্যাকারী এবং জগতের অন্তর্গত আর আর মন্দ জিনিষ সব হইয়াছেন ? ঈশ্বর শুদ্ধস্বরূপ, তিনি কিরূপে এ সকল মন্দ জিনিষ হইতে পারেন ? ই হার একথার উত্তরে বলেন, ন, তিনি হন নাই। ঈশ্বর অপরিণামী, এ সকল পরিণাম প্রকৃতিগত মাত্র—যেমন আমি আত্মা, অথচ তস্মার দেহ রহিয়াছে । এক অর্থে এই দেহ আম হইতে পৃথক নহে, কিন্তু আমি, যথার্থ আমি কখনই দেহ নই। আমি কখন বালক, কখন যুব, কখন বা বৃদ্ধ হইতেছি, কিন্তু উহাতে আমার আত্মার কিছুমাত্র পরিবৰ্ত্তন হয় নাই। উহা সেই যে আত্মা, সেই আত্মাই থাকে । এইরূপ প্রকৃতি এবং অনন্ত আত্মা সমন্বিত এই জগৎ যেন ঈশ্বরের অনন্ত শরীরস্বরূপ । তিনি ইহার সর্ববাংশে ওতপ্রোতভাবে রহিয়াছেন। তিনিই একমাত্র অপরিণামী, কিন্তু প্রকৃতি পরিণামী এবং আত্মীগণও পরিণামী । প্রকৃতির কিরূপ পরিণাম হয় ? প্রকৃতির রূপু বা আকার ক্রমাগত পরিবর্তিত